দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান-অরক্ষিত উপকূলীয় জনপদ
উপকূলীয় জনপদের মানুষ অরক্ষিত। অনেক জায়গাতেই আগ্রাসী সমুদ্র আর মানুষের বসতির মাঝখানে কোনো বাধা নেই। তার ওপর আইলা ও সিডরে উদ্বাস্তু হওয়া লাখো মানুষ এখনো বাঁধ বা সড়কের ওপর বসবাস করছে। তাদের এই বিপন্নতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে মৌসুমি নিম্নচাপ ও ঝড়-প্লাবনে।
এ রকম অবস্থায় মাঝারি মাত্রার জলোচ্ছ্বাসও যে চরম বিপর্যয় ঘটাতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই দিন ধরে চলা উত্তাল জোয়ার ও ঝড় এই ভয়টাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কিন্তু সরকার কি এর প্রতিকারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে?
সিডর ও আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। আইলার আঘাতে ১৬৬ কি.মি. বেড়িবাঁধ আংশিক বা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূল পোল্ডার ও স্লুইসগেট এবং সড়ক যোগাযোগের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। দুই বছর পরও অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়া দুঃখজনক। এখন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এল এবারের ঝড় ও প্লাবন। দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত শুক্রবারের নিম্নচাপেও বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে, বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক এলাকায়, কক্সবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আইলসহ চিংড়িঘের ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে, দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
দুই বছর ধরে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত করা হোক। সিডর ও আইলায় দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে? কেনই বা বারবার দুর্গত হয়ে তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও শারীরিক শক্তি নিঃশেষ হওয়া দেখতে হবে? সরকার যেন উপকূলীয় দুর্গতদের অনেকটা উপেক্ষার চোখে দেখছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও দায়সারা। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যর্থতার দিক বাদ দিলেও, নতুন কোনো ঘূর্ণিঝড় থেকে এদের বাঁচানোয় কোনো উদ্যোগহীনতা বা শিথিলতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই বর্ষা আর ঝড়-প্লাবনের মৌসুমে সরকার দক্ষিণাঞ্চলের অসহায় মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেই প্রত্যাশা।
সিডর ও আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। আইলার আঘাতে ১৬৬ কি.মি. বেড়িবাঁধ আংশিক বা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূল পোল্ডার ও স্লুইসগেট এবং সড়ক যোগাযোগের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। দুই বছর পরও অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়া দুঃখজনক। এখন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এল এবারের ঝড় ও প্লাবন। দেখা যাচ্ছে, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে কিংবা নাজুক অংশ ভেঙে গিয়ে চার-পাঁচ ফুট উঁচু জোয়ারের পানি গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে দিচ্ছে। গত শুক্রবারের নিম্নচাপেও বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে, বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক এলাকায়, কক্সবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আইলসহ চিংড়িঘের ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে, দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
দুই বছর ধরে প্রথম আলোর সংবাদ ও সম্পাদকীয়তে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, সিডর-আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল রক্ষা বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্রসহ ওই এলাকার অবকাঠামো মেরামত করা হোক। সিডর ও আইলায় দুর্গত লাখ লাখ মানুষকে কেন এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধ বা সড়কের ওপর জীবন ধারণ করতে হবে? কেনই বা বারবার দুর্গত হয়ে তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও শারীরিক শক্তি নিঃশেষ হওয়া দেখতে হবে? সরকার যেন উপকূলীয় দুর্গতদের অনেকটা উপেক্ষার চোখে দেখছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও দায়সারা। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যর্থতার দিক বাদ দিলেও, নতুন কোনো ঘূর্ণিঝড় থেকে এদের বাঁচানোয় কোনো উদ্যোগহীনতা বা শিথিলতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই বর্ষা আর ঝড়-প্লাবনের মৌসুমে সরকার দক্ষিণাঞ্চলের অসহায় মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেই প্রত্যাশা।
No comments