পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন নয়-শিশুদের অপুষ্টি
শিশুদের পুষ্টির বিষয়টি যে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের কাছে একটি উপেক্ষিত দিক, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়েও নাজুক। বিষয়টি এমন নয় যে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বা সেই ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।
কারণ, দেশি উপাদানে তৈরি পথ্য দিয়েই এই পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দেওয়া সম্ভব। সমস্যা হচ্ছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়া।
তীব্র অপুষ্টি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক এক আঞ্চলিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী যত শিশু মারা যায়, তার একটি বড় অংশ তীব্র অপুষ্টির শিকার। এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী বড় কোনো কর্মসূচি নেই। আমাদের দেশে শিশুদের পুষ্টি-সমস্যার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এভাবে উপেক্ষিত রয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপুষ্টির শিকার শিশুদের ৮৫ শতাংশকেই বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও উদ্যোগ থাকলে এবং সরকারের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পেলে নাজুক এই পুষ্টি-পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন কাজ নয়।
কর্মশালায় পুষ্টির সমস্যা মোকাবিলায় ‘রেডি টু ইউজ থেরাপিক ফুড’ বা সংক্ষেপে আরইউটিএফের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুষ্টিচাহিদা পূরণের জন্য এই পথ্য প্রস্তুত করে বিপণন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন দেশীয় উপাদানেও আরইউটিএফ তৈরি সম্ভব এবং তা দিয়ে পুষ্টির অভাব দূর করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, দামের দিক থেকেও তা সাশ্রয়ী। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের পুষ্টি কর্মসূচির প্রধান তাঁদের গবেষণার সূত্র ধরে জানিয়েছেন, দেশি দানাদার শস্য, সবজি, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি ধরনের আরইউটিএফ শিশুর তীব্র অপুষ্টি দূর করতে পারে।
এখন যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, সরকারের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাওয়া। আমরা মনে করি, তীব্র অপুষ্টির সমস্যা মোকাবিলায় সারা দেশে একটি বড় ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া। কারণ বাড়িতে রেখে যদি ৮৫ শতাংশ অপুষ্টির শিকার শিশুকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়, তবে সেখানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজটি হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি। এ জন্য প্রচার-প্রচারণার বিষয়টিও সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
তীব্র অপুষ্টি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক এক আঞ্চলিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী যত শিশু মারা যায়, তার একটি বড় অংশ তীব্র অপুষ্টির শিকার। এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী বড় কোনো কর্মসূচি নেই। আমাদের দেশে শিশুদের পুষ্টি-সমস্যার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এভাবে উপেক্ষিত রয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপুষ্টির শিকার শিশুদের ৮৫ শতাংশকেই বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও উদ্যোগ থাকলে এবং সরকারের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পেলে নাজুক এই পুষ্টি-পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন কাজ নয়।
কর্মশালায় পুষ্টির সমস্যা মোকাবিলায় ‘রেডি টু ইউজ থেরাপিক ফুড’ বা সংক্ষেপে আরইউটিএফের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুষ্টিচাহিদা পূরণের জন্য এই পথ্য প্রস্তুত করে বিপণন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন দেশীয় উপাদানেও আরইউটিএফ তৈরি সম্ভব এবং তা দিয়ে পুষ্টির অভাব দূর করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, দামের দিক থেকেও তা সাশ্রয়ী। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের পুষ্টি কর্মসূচির প্রধান তাঁদের গবেষণার সূত্র ধরে জানিয়েছেন, দেশি দানাদার শস্য, সবজি, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি ধরনের আরইউটিএফ শিশুর তীব্র অপুষ্টি দূর করতে পারে।
এখন যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, সরকারের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাওয়া। আমরা মনে করি, তীব্র অপুষ্টির সমস্যা মোকাবিলায় সারা দেশে একটি বড় ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া। কারণ বাড়িতে রেখে যদি ৮৫ শতাংশ অপুষ্টির শিকার শিশুকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়, তবে সেখানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজটি হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি। এ জন্য প্রচার-প্রচারণার বিষয়টিও সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
No comments