বিশ্ব শরণার্থী দিবস-৬০ বছর ধরেই চলছে যে সমস্যা by ক্রেইগ স্যান্ডারস
এবার ২০ জুন যখন আমরা বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করছি, তখন সারা বিশ্বে প্রায় চার কোটি ৩৭ লাখ মানুষ রয়েছে, যারা নিপীড়ন ও সহিংসতার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ শরণার্থী এবং এক কোটি ৪৭ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, যারা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার বা
ইউএনএইচসিআরের কাছ থেকে সুরক্ষা ও সহায়তা পাচ্ছে। আরও এক কোটি ২০ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন অবস্থায় আছে। নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা থাকলে এসব মানুষ যেসব মৌলিক অধিকার ভোগ করত, তা তারা করতে পারছে না। কেবল গত বছর সারা বিশ্বে ৮,৪৫,৮০০ মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিল শিশু এবং ১৫,৫০০ জনেরও বেশি ছিল সঙ্গীহীন বা তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। শরণার্থীদের প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে নারী এবং কিশোরী, আর এর প্রায় সমান সংখ্যক শরণার্থীর বয়স ১৮ বছরের কম। উন্নয়নশীল দেশগুলো শরণার্থী জনগোষ্ঠীর প্রায় চার-পঞ্চমাংশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে ৭২ লাখ শরণার্থীর একটি বড় অংশ রয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থার মধ্যে আটকা পড়ে আছে এবং যাদের সমস্যার কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না।
এসব পরিসংখ্যান এক কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরছে, যখন আমরা ২০১১ সালকে ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন এবং ১৯৬১ সালের রাষ্ট্রহীনতা হ্রাসবিষয়ক কনভেনশনের বর্ষপূর্তির বছর হিসেবে বিবেচনা করছি। সারা বিশ্বে শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এসব চুক্তি যেমন দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে চলেছে, তেমনি এগুলো রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজকে এসব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাস্তব দিকনির্দেশনাও প্রদান করছে।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপিত হচ্ছে, ২০১১ সালটি এ কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাংলাদেশির মনে ১৯৭১ সালের ঘটনা জীবন্ত হয়ে ওঠে, যখন প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি পার্শ্ববর্তী ভারতে নিরাপদ আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল। এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও কম সময়ে ঘটা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা। এ ধরনের টালমাটাল ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ইউএনএইচসিআর আন্তসংস্থা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য জাতিসংঘের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
১৯৭৮ ও ১৯৯১ সালে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের নিয়ে আমাদের কাজ করার সুবাদে অনেক বাংলাদেশি ইউএনএইচসিআরকে চেনে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব শরণার্থীকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতীক্ষা করেছে, যা আজও অস্পষ্টই রয়ে গেছে। কক্সবাজার জেলার দুটি আশ্রয় শিবিরে ২৯ হাজার তালিকাভুক্ত শরণার্থী রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হিসাবমতে দুই থেকে পাঁচ লাখ মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিক এই জেলায় আছে, যারা এখনো ইউএনএইচসিআরের বিবেচনাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে আছে। বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী এ শরণার্থী সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এন্টোনিও গুটারেস এটিকে তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসা বিশ্বে আমরা নতুন এবং অনেক সময় অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। এ বছরের গোড়ার দিকে, লিবিয়ার ঘটনাবলি এক অনন্য পরিস্থিতির জন্ম দেয়, যেখানে সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে নিরাপদ আশ্রয়প্রার্থী লিবীয় নাগরিকদের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক ‘তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা’ অর্থাৎ অলিবীয় যথা মিসর, ঘানা, ভিয়েতনাম এবং অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। বিশেষজ্ঞরা সঠিকভাবেই বলবেন যে লিবিয়া থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশিরা অভিবাসী শ্রমিক, তারা শরণার্থী নয়, তবে তাদের মধ্যে স্পষ্টতই কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। লিবিয়ার শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের মতো অনেক বাংলাদেশিই লিবিয়া ছাড়তে চায়নি বরং তারা যে নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে, সে কারণে লিবিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের মতো বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের অনেক অভিবাসী শ্রমিক লিবিয়া থেকে পালিয়ে আসার সময় গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং তিউনিসিয়া, মিসর ও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশে পৌঁছানোর পর তাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এসব দেশ, এনজিও এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ইউএনএইচসিআর অন্য যেকোনো বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে যেভাবে সহায়তা প্রদান করে থাকে, সেভাবেই তাদের তাঁবু, খাবার, পানি এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। ইউএনএইচসিআর ১৭টি বিমান ভাড়া করে ৫,৬৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
মানবিক ও নৈতিক পরিস্থিতির কারণেই ইউএনএইচসিআর এটি করেছে, এ ধরনের আবেগ থেকেই জন্ম হয়েছিল শরণার্থী সংস্থাটির এবং শরণার্থী ও রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইন পাস হয়েছিল এসব চিন্তা থেকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রেও এ ধরনের আবেগই কাজ করেছিল। ২০ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের মধ্যে একই আবেগ কাজ করে।
এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী, যিনি বলেছিলেন, ‘যেখানে আমাদের মানবতার বিষয় আসে সেখানে আমরা দুর্বল, কেননা কিছু মানুষকে আমরা মানবজাতির অংশ বলে বিবেচনা করি না।’ এই বিশ্বে যেখানে বিদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ ও বৈষম্য কেবল বাড়ছে, সেখানে রবীন্দ্রনাথের কথার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যদি আমরা, এই বিশ্ব সম্প্রদায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সমস্যার সমাধান করতে চাই, যা শরণার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি এবং এমনকি অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে বা যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাহলে প্রথমেই আমাদের রবীন্দ্রনাথের সতর্কবাণী শুনতে হবে। আমরা ৬০ বছর আগে এ বিষয়ে যে সংহতি প্রকাশ করেছিলাম, তা পুনর্ব্যক্ত করতে হবে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচনা করতে হবে।
ক্রেইগ স্যান্ডারস: বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি।
এসব পরিসংখ্যান এক কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরছে, যখন আমরা ২০১১ সালকে ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন এবং ১৯৬১ সালের রাষ্ট্রহীনতা হ্রাসবিষয়ক কনভেনশনের বর্ষপূর্তির বছর হিসেবে বিবেচনা করছি। সারা বিশ্বে শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এসব চুক্তি যেমন দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে চলেছে, তেমনি এগুলো রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজকে এসব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাস্তব দিকনির্দেশনাও প্রদান করছে।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপিত হচ্ছে, ২০১১ সালটি এ কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাংলাদেশির মনে ১৯৭১ সালের ঘটনা জীবন্ত হয়ে ওঠে, যখন প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি পার্শ্ববর্তী ভারতে নিরাপদ আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল। এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও কম সময়ে ঘটা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা। এ ধরনের টালমাটাল ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ইউএনএইচসিআর আন্তসংস্থা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য জাতিসংঘের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
১৯৭৮ ও ১৯৯১ সালে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের নিয়ে আমাদের কাজ করার সুবাদে অনেক বাংলাদেশি ইউএনএইচসিআরকে চেনে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব শরণার্থীকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতীক্ষা করেছে, যা আজও অস্পষ্টই রয়ে গেছে। কক্সবাজার জেলার দুটি আশ্রয় শিবিরে ২৯ হাজার তালিকাভুক্ত শরণার্থী রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হিসাবমতে দুই থেকে পাঁচ লাখ মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিক এই জেলায় আছে, যারা এখনো ইউএনএইচসিআরের বিবেচনাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে আছে। বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী এ শরণার্থী সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এন্টোনিও গুটারেস এটিকে তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসা বিশ্বে আমরা নতুন এবং অনেক সময় অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। এ বছরের গোড়ার দিকে, লিবিয়ার ঘটনাবলি এক অনন্য পরিস্থিতির জন্ম দেয়, যেখানে সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে নিরাপদ আশ্রয়প্রার্থী লিবীয় নাগরিকদের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক ‘তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা’ অর্থাৎ অলিবীয় যথা মিসর, ঘানা, ভিয়েতনাম এবং অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। বিশেষজ্ঞরা সঠিকভাবেই বলবেন যে লিবিয়া থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশিরা অভিবাসী শ্রমিক, তারা শরণার্থী নয়, তবে তাদের মধ্যে স্পষ্টতই কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। লিবিয়ার শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের মতো অনেক বাংলাদেশিই লিবিয়া ছাড়তে চায়নি বরং তারা যে নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে, সে কারণে লিবিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের মতো বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের অনেক অভিবাসী শ্রমিক লিবিয়া থেকে পালিয়ে আসার সময় গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং তিউনিসিয়া, মিসর ও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশে পৌঁছানোর পর তাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এসব দেশ, এনজিও এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ইউএনএইচসিআর অন্য যেকোনো বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে যেভাবে সহায়তা প্রদান করে থাকে, সেভাবেই তাদের তাঁবু, খাবার, পানি এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। ইউএনএইচসিআর ১৭টি বিমান ভাড়া করে ৫,৬৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
মানবিক ও নৈতিক পরিস্থিতির কারণেই ইউএনএইচসিআর এটি করেছে, এ ধরনের আবেগ থেকেই জন্ম হয়েছিল শরণার্থী সংস্থাটির এবং শরণার্থী ও রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইন পাস হয়েছিল এসব চিন্তা থেকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রেও এ ধরনের আবেগই কাজ করেছিল। ২০ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের মধ্যে একই আবেগ কাজ করে।
এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী, যিনি বলেছিলেন, ‘যেখানে আমাদের মানবতার বিষয় আসে সেখানে আমরা দুর্বল, কেননা কিছু মানুষকে আমরা মানবজাতির অংশ বলে বিবেচনা করি না।’ এই বিশ্বে যেখানে বিদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ ও বৈষম্য কেবল বাড়ছে, সেখানে রবীন্দ্রনাথের কথার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যদি আমরা, এই বিশ্ব সম্প্রদায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সমস্যার সমাধান করতে চাই, যা শরণার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি এবং এমনকি অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে বা যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাহলে প্রথমেই আমাদের রবীন্দ্রনাথের সতর্কবাণী শুনতে হবে। আমরা ৬০ বছর আগে এ বিষয়ে যে সংহতি প্রকাশ করেছিলাম, তা পুনর্ব্যক্ত করতে হবে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচনা করতে হবে।
ক্রেইগ স্যান্ডারস: বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি।
No comments