এ দায় বাংলাদেশ আর কত দিন বইবে?-রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফররত মার্কিন সহকারী মন্ত্রী এরিক পি শুয়ার্টজ রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ গোড়া থেকেই মানবিকতা দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের ভূমি ও অর্থনীতির সুবিধাও তারা
পাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেবল কথাই বলে চলেছে, বাংলাদেশের বাস্তব অসুবিধার দিকটির দিকে নজরে দিচ্ছে না। সমস্যা জিইয়ে রাখলে তা সংকটে গড়াতে পারে, বাংলাদেশের এই উদ্বেগ ক্ষমতাবান আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝতে হবে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার জন্ম ১৯৯০-৯১ সালে। সে সময় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নিপীড়নে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এদের বেশির ভাগকেই শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো কয়েক লাখ শরণার্থী বাংলাদেশের মাটিতে অবস্থান করছে। নতুন শরণার্থী আসাও বন্ধ হয়নি। তাদের মধ্যে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার জন। কিন্তু উপকূলীয় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এর কয়েক গুণ বেশি। আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত না থাকায় এদের চিহ্নিত করা কঠিন। এদের ভার নিতে গিয়ে ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও ঘটছে। অন্যদিকে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গার জাল বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদি আরবে যাওয়ার খবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দেশেও তারা গেছে। সব মিলিয়ে সমস্যাটি আরও গভীর হচ্ছে।
এ সমস্যার আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক মাত্রাটিও উপেক্ষণীয় নয়। সুদানের দারফুরে শরণার্থী সমস্যার পরিণতিতে বহু বছর গৃহযুদ্ধ চলেছে। এসব দিক বিচার করে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য চাপ দিয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের উচিত মিয়ানমারকে বাধ্য করা, যাতে তার নাগরিকদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়। বাংলাদেশ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যাযুক্ত এই বাড়তি চাপ দীর্ঘকাল বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। অতএব, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার জন্ম ১৯৯০-৯১ সালে। সে সময় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নিপীড়নে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এদের বেশির ভাগকেই শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো কয়েক লাখ শরণার্থী বাংলাদেশের মাটিতে অবস্থান করছে। নতুন শরণার্থী আসাও বন্ধ হয়নি। তাদের মধ্যে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার জন। কিন্তু উপকূলীয় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এর কয়েক গুণ বেশি। আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত না থাকায় এদের চিহ্নিত করা কঠিন। এদের ভার নিতে গিয়ে ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও ঘটছে। অন্যদিকে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গার জাল বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদি আরবে যাওয়ার খবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দেশেও তারা গেছে। সব মিলিয়ে সমস্যাটি আরও গভীর হচ্ছে।
এ সমস্যার আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক মাত্রাটিও উপেক্ষণীয় নয়। সুদানের দারফুরে শরণার্থী সমস্যার পরিণতিতে বহু বছর গৃহযুদ্ধ চলেছে। এসব দিক বিচার করে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য চাপ দিয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের উচিত মিয়ানমারকে বাধ্য করা, যাতে তার নাগরিকদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়। বাংলাদেশ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যাযুক্ত এই বাড়তি চাপ দীর্ঘকাল বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। অতএব, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই।
No comments