কথাগুলো সংসদে গিয়ে বলাই ভালো-খালেদা জিয়ার পূর্বশর্ত
সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের আলোকে সরকার যখন বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অব্যাহত রাখার কোনো সুযোগ নেই এবং তার বিপরীতে বিরোধী দলের অনড় প্রতিবাদী অবস্থানের ফলে যখন রাজনীতির সামনের দিনগুলো সম্পর্কে বেশ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তখন এ প্রসঙ্গে মোটা দাগে নির্দিষ্টভাবে তিনটি বিষয়ে
আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ পেল প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে। সেদিন বিকেলে দলটির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ কী হবে, কে প্রধান উপদেষ্টা হবেন এবং কী উপায়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা যায়—এসব বিষয়ে আলোচনায় বসতে বিএনপি রাজি আছে; জাতীয় সংসদের ভেতরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে, যে কারও সঙ্গে।
স্বস্তিদায়ক সংবাদ। কেননা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ সমস্যা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিএনপিসহ চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলো দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করেছে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপি বলেছে, দরকার হলে তারা ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ হরতাল ডাকবে, আরও কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবে। মেয়াদপূর্তির আগেই সরকারের পতন ঘটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুমকির মতো চূড়ান্ত কথাবার্তাও বিরোধী দলের পক্ষে উচ্চারিত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি পক্ষকেও নমনীয় মনে হচ্ছে না। তারাও নিজেদের অবস্থানে দৃশ্যত অনড়। ফলে, দুই প্রতিপক্ষের এই অনড় অবস্থান দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামগ্রিক জনজীবনকে আবার কোন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে, তা নিয়ে শঙ্কার কারণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার আলোচনায় বসার আগ্রহের প্রকাশ নিশ্চয়ই এক ইতিবাচক অগ্রগতি।
তবে খালেদা জিয়ার আগ্রহের সঙ্গে একটি শর্তের কথাও তিনি বলেছেন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল থাকবে—সরকার এই ঘোষণা দিলেই কেবল তিনি উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় বসবেন। ব্যবস্থাটিই যদি না থাকে, তাহলে এ নিয়ে আলোচনায় বসার কোনো প্রয়োজন বা অবকাশ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্যের পক্ষে কিছু জোরালো যুক্তি আছে বটে; কিন্তু তাঁর এমন ধারণা সম্ভবত ঠিক নয় যে এসব নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা বা অবকাশ নেই। যে কথাগুলো তিনি সংসদের বাইরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলছেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে সেগুলো বলাই বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হতো। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতের রায়ের সরকারি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কীভাবে কতটা বেঠিক ও বিভ্রান্তিকর, সরকারপক্ষ এখানে কী কী ‘চালাকি’র আশ্রয় নিতে চাচ্ছে—এসব নিয়ে জাতীয় সংসদে গিয়ে তাঁরা বিতর্কে লিপ্ত হলেই তো সংসদ প্রাণবন্ত হতে পারে, এই বিতর্কের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বেরিয়ে আসতে পারে উভয় পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য একটা রাস্তা, যা দেশকে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে রক্ষা করবে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ সুগম করবে। সংসদ থেকে দূরে থাকাকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্যবহার করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
স্বস্তিদায়ক সংবাদ। কেননা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ সমস্যা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিএনপিসহ চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলো দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করেছে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপি বলেছে, দরকার হলে তারা ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ হরতাল ডাকবে, আরও কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবে। মেয়াদপূর্তির আগেই সরকারের পতন ঘটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুমকির মতো চূড়ান্ত কথাবার্তাও বিরোধী দলের পক্ষে উচ্চারিত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি পক্ষকেও নমনীয় মনে হচ্ছে না। তারাও নিজেদের অবস্থানে দৃশ্যত অনড়। ফলে, দুই প্রতিপক্ষের এই অনড় অবস্থান দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামগ্রিক জনজীবনকে আবার কোন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে, তা নিয়ে শঙ্কার কারণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার আলোচনায় বসার আগ্রহের প্রকাশ নিশ্চয়ই এক ইতিবাচক অগ্রগতি।
তবে খালেদা জিয়ার আগ্রহের সঙ্গে একটি শর্তের কথাও তিনি বলেছেন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল থাকবে—সরকার এই ঘোষণা দিলেই কেবল তিনি উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় বসবেন। ব্যবস্থাটিই যদি না থাকে, তাহলে এ নিয়ে আলোচনায় বসার কোনো প্রয়োজন বা অবকাশ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্যের পক্ষে কিছু জোরালো যুক্তি আছে বটে; কিন্তু তাঁর এমন ধারণা সম্ভবত ঠিক নয় যে এসব নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা বা অবকাশ নেই। যে কথাগুলো তিনি সংসদের বাইরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলছেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে সেগুলো বলাই বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হতো। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতের রায়ের সরকারি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কীভাবে কতটা বেঠিক ও বিভ্রান্তিকর, সরকারপক্ষ এখানে কী কী ‘চালাকি’র আশ্রয় নিতে চাচ্ছে—এসব নিয়ে জাতীয় সংসদে গিয়ে তাঁরা বিতর্কে লিপ্ত হলেই তো সংসদ প্রাণবন্ত হতে পারে, এই বিতর্কের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বেরিয়ে আসতে পারে উভয় পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য একটা রাস্তা, যা দেশকে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে রক্ষা করবে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ সুগম করবে। সংসদ থেকে দূরে থাকাকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্যবহার করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
No comments