বেহাল সড়কপথ-টনক নড়ল ঠিকই ...
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাঘাট সংস্কারের সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগেই দ্রুততম সময়ে সড়কপথ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা আগে ব্যয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে। ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ টানা সপ্তাহখানেক বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রীর জরুরি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরই দেশবাসী জানতে পেল, শত শত কিলোমিটার সড়কপথ মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ ঠিকই ছিল এবং তার পরিমাণ মোটেই কম নয়_ ৬৯০ কোটি টাকা। তাহলে কেন এতদিন কাজ হয়নি_ সে প্রশ্ন স্বাভাবিক। স্পষ্টতই মেরামতের কাজ সময়মতো সম্পন্ন করায় গাফিলতি ঘটেছে এবং তার মাত্রা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সীমাহীন বলেই প্রতীয়মান। এ জন্য একদিকে জনদুর্ভোগ যেমন চরমে পেঁৗছেছে, তেমনি জরুরি কাজের জন্য সরকারকেও বাড়তি অর্থ গচ্চা দিতে হবে। 'যে কোনো মূল্যে সড়কপথ সচল করা'র জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অতিমাত্রায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। অনেক কর্মকর্তার ছুটি বাতিল হয়েছে। সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সংস্কার কাজের প্রতি নিবিড় মনোযোগ রাখার অনুরোধ জানাব। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৩৫০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৫৩০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৫০০ কিলোমিটার জেলা পর্যায়ের সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এই মন্ত্রণালয় থেকেই বলা হয়েছিল, 'সবকিছু ঠিক আছে।' স্বাধীনতার চার দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। এতদিনে সবার নিশ্চয়ই অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, সময়ের কাজ সময়ে না করলে নানাভাবেই তার মূল্য দিতে হয়। সরকার গতকাল বুধবার সড়ক ও জনপথ বিভাগে সব ছুটি বাতিল করেছে। জরুরি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ তদারকির প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ। এমন বোধোদয় কয়েক সপ্তাহ আগে হলে কত দুর্ভোগ ও অর্থদণ্ড থেকেই না রেহাই মিলত!
বাংলাদেশের সড়কপথের বড় অংশই পিচঢালা। বর্ষায় এ পথের প্রচুর ক্ষতি হয় এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের সড়ক নির্মিত হলে তাতে ব্যয় বেশি পড়ে ঠিকই, কিন্তু টেকসই হবে এবং চূড়ান্ত বিচারে তা হবে তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী। নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কংক্রিটের সড়কপথের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশের সড়কপথের বড় অংশই পিচঢালা। বর্ষায় এ পথের প্রচুর ক্ষতি হয় এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর পরিবর্তে কংক্রিটের সড়ক নির্মিত হলে তাতে ব্যয় বেশি পড়ে ঠিকই, কিন্তু টেকসই হবে এবং চূড়ান্ত বিচারে তা হবে তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী। নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কংক্রিটের সড়কপথের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
No comments