কলেজে ভর্তির অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ হোক-বেশি দামে লেখাপড়া
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এর অন্যতম হলো একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফি পাঁচ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, এ মর্মে নির্দেশনা জারি। কিন্তু রাজধানীর অনেক কলেজে ১৭-১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তি ফির নির্দিষ্ট সীমা আরোপ করা হয়েছিল।
তবে সেখানে একটি শর্ত ছিল। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা সরকার থেকে মূল বেতন পান (এমপিওভুক্ত), সেখানেই কেবল এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। অতিরিক্ত ফি আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের সব শিক্ষক সরকার থেকে মূল বেতন পান না, তাই অতিরিক্ত ফি আদায় না করে উপায় নেই। তারা এটাও বলছে যে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, পরিচালনা কমিটি কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারে? সেই অধিকার কি তাদের দেওয়া হয়েছে? আর নির্ধারিত সীমার দুই-তিন গুণ বেশি ফি আদায় কতটা যৌক্তিক? পড়াশোনার দাম কত হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে শিক্ষক-অভিভাবক মহলে গ্রহণযোগ্য হিসাব থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে কাজই করেছে। এ ব্যাপারে কারও আপত্তি থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করে একটি অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। কিন্তু এর আগে পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সবার মেনে চলাই উচিত।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিজাত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই বেশি বেতন-ফি চালু রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া ভালো বলে দাবি করা হয়। বাহ্যত সেটা সত্য। কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো। কিন্তু এটাও ঠিক যে বেছে বেছে শুধু ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরই সেখানে ভর্তি করা হয়। ফলে মেধাবীরাই শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখে। শুধু উন্নতমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভালো শিক্ষাদানের যুক্তিতে মাত্রাতিরিক্ত বেতন-ফি আদায়ের প্রথা ভাঙা দরকার।
মানসম্মত শিক্ষা সর্বজনীন অধিকার রূপেই বিবেচিত। সন্তানের ভালো শিক্ষার জন্য অভিভাবককে যেন বেশি দাম দিতে বাধ্য না করা হয়, সেটা মন্ত্রণালয় দেখুক। আবার যোগ্য শিক্ষকদের জন্য ভালো বেতন-ভাতার ব্যবস্থাও করতে হবে। মন্ত্রণালয় সে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, পরিচালনা কমিটি কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারে? সেই অধিকার কি তাদের দেওয়া হয়েছে? আর নির্ধারিত সীমার দুই-তিন গুণ বেশি ফি আদায় কতটা যৌক্তিক? পড়াশোনার দাম কত হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে শিক্ষক-অভিভাবক মহলে গ্রহণযোগ্য হিসাব থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে কাজই করেছে। এ ব্যাপারে কারও আপত্তি থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করে একটি অভিন্ন সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। কিন্তু এর আগে পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সবার মেনে চলাই উচিত।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিজাত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই বেশি বেতন-ফি চালু রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া ভালো বলে দাবি করা হয়। বাহ্যত সেটা সত্য। কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো। কিন্তু এটাও ঠিক যে বেছে বেছে শুধু ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরই সেখানে ভর্তি করা হয়। ফলে মেধাবীরাই শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখে। শুধু উন্নতমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভালো শিক্ষাদানের যুক্তিতে মাত্রাতিরিক্ত বেতন-ফি আদায়ের প্রথা ভাঙা দরকার।
মানসম্মত শিক্ষা সর্বজনীন অধিকার রূপেই বিবেচিত। সন্তানের ভালো শিক্ষার জন্য অভিভাবককে যেন বেশি দাম দিতে বাধ্য না করা হয়, সেটা মন্ত্রণালয় দেখুক। আবার যোগ্য শিক্ষকদের জন্য ভালো বেতন-ভাতার ব্যবস্থাও করতে হবে। মন্ত্রণালয় সে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
No comments