ক্রেতাদের সতর্কতাই চূড়ান্ত রক্ষাকবচ-অননুমোদিত আবাসন মেলা!
মাত্র ২৮টি অনুমোদিত আর ২৩৫টি অননুমোদিত প্রকল্প নিয়ে যে আবাসন মেলা, আসলে তা কিসের মেলা? অনুমোদনহীন প্রকল্পের মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান আবাসন মেলাটি সম্পর্কে এটাই হলো সবচেয়ে বড় বিশেষণ। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মেলাটি, যা আজ শেষ হওয়ার কথা।
মেলা শুরুর আগের দিন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজউকের অনুমোদন নেই, এমন কোনো আবাসন কোম্পানি ও প্রকল্প ওই মেলায় যাতে অংশ নিতে না পারে, সংস্থাটি যেন তা নিশ্চিত করে।
কিন্তু রাজউক সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি। রাজউকের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টের নির্দেশের প্রত্যায়িত অনুলিপি মেলা শুরুর আগের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের কাছে পৌঁছেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করার উদ্যোগ কি রাজউক হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়াই নিতে পারে না? বিশেষ ফ্ল্যাটের বিষয়ে রাজউকের হাতে তো ইমারত নির্মাণ আইনের বলে বিশেষ ক্ষমতা আছেই। বিপলুসংখ্যক মানুষ অনুমোদনহীন প্রকল্পের প্লট ও ফ্ল্যাটের বায়না করেন, কিস্তিতে কিস্তিতে দাম পরিশোধ করে অবশেষে প্রতারিত হয়েছেন—এমন দৃষ্টান্ত তো প্রচুর রয়েছে এই দেশে। আবাসন মেলার প্রথম দিনে অনুমোদনহীন নানা প্রকল্পের স্টল থেকে মাইকে লোভনীয় প্রচারণা চালিয়ে কীভাবে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা চলেছে, আর কীভাবে অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ফ্ল্যাট ও প্লটের বুকিং দিয়েছেন, তার কিছু বিবরণ পরদিন শুক্রবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে। ক্রেতাদের উদ্দেশে মাইকে হাঁকডাক চলেছে: ‘পানির দামে প্লট পাবেন, আসেন’।
হাইকোর্টের বেঞ্চের ওই নির্দেশের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, অননুমোদিত যেসব আবাসন প্রকল্প সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, সেগুলোর তালিকা সাত দিনের মধ্যে মিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে রাজউককে। রাজউক নিজে এর আগে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত না হওয়ার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছিল। এ ধরনের প্রচারণা সারা বছর ধরেই চালালে ভালো হয়। তবে শুধু রাজউক নয়, এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনুমোদনহীন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যম যদি প্রচার না করে, তাহলে প্রতারক আবাসন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অনেক কমে যাবে। রাজউকের অনুমোদনের সত্যায়িত কপি ছাড়া কোনো আবাসন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন কোনো সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বা বেতার প্রচার করবে না—সংবাদমাধ্যমগুলো মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলে এবং তা যথাযথভাবে মেনে চললে, আবাসন খাতে প্রতারণার মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। প্রথম আলো এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। অননুমোদিত কোনো আবাসন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রথম আলো প্রকাশ করে না। আমরা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিও একই আহ্বান জানাচ্ছি।
সবশেষে, চূড়ান্ত সতর্কতা প্রয়োজন ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরাই। আকর্ষণীয় প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকল্পের বৈধ অনুমোদনপত্র যাচাই-বাছাই করে, প্রয়োজনে রাজউকের সাহায্য নিয়ে কোম্পানিটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও সঠিক ধারণা লাভের পরই কেবল কোনো প্রকল্পের প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা দূর হতে পারে।
কিন্তু রাজউক সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি। রাজউকের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টের নির্দেশের প্রত্যায়িত অনুলিপি মেলা শুরুর আগের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের কাছে পৌঁছেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করার উদ্যোগ কি রাজউক হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়াই নিতে পারে না? বিশেষ ফ্ল্যাটের বিষয়ে রাজউকের হাতে তো ইমারত নির্মাণ আইনের বলে বিশেষ ক্ষমতা আছেই। বিপলুসংখ্যক মানুষ অনুমোদনহীন প্রকল্পের প্লট ও ফ্ল্যাটের বায়না করেন, কিস্তিতে কিস্তিতে দাম পরিশোধ করে অবশেষে প্রতারিত হয়েছেন—এমন দৃষ্টান্ত তো প্রচুর রয়েছে এই দেশে। আবাসন মেলার প্রথম দিনে অনুমোদনহীন নানা প্রকল্পের স্টল থেকে মাইকে লোভনীয় প্রচারণা চালিয়ে কীভাবে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা চলেছে, আর কীভাবে অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ফ্ল্যাট ও প্লটের বুকিং দিয়েছেন, তার কিছু বিবরণ পরদিন শুক্রবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে। ক্রেতাদের উদ্দেশে মাইকে হাঁকডাক চলেছে: ‘পানির দামে প্লট পাবেন, আসেন’।
হাইকোর্টের বেঞ্চের ওই নির্দেশের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, অননুমোদিত যেসব আবাসন প্রকল্প সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, সেগুলোর তালিকা সাত দিনের মধ্যে মিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে রাজউককে। রাজউক নিজে এর আগে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত না হওয়ার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছিল। এ ধরনের প্রচারণা সারা বছর ধরেই চালালে ভালো হয়। তবে শুধু রাজউক নয়, এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনুমোদনহীন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যম যদি প্রচার না করে, তাহলে প্রতারক আবাসন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অনেক কমে যাবে। রাজউকের অনুমোদনের সত্যায়িত কপি ছাড়া কোনো আবাসন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন কোনো সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বা বেতার প্রচার করবে না—সংবাদমাধ্যমগুলো মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলে এবং তা যথাযথভাবে মেনে চললে, আবাসন খাতে প্রতারণার মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। প্রথম আলো এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। অননুমোদিত কোনো আবাসন প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রথম আলো প্রকাশ করে না। আমরা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিও একই আহ্বান জানাচ্ছি।
সবশেষে, চূড়ান্ত সতর্কতা প্রয়োজন ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরাই। আকর্ষণীয় প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকল্পের বৈধ অনুমোদনপত্র যাচাই-বাছাই করে, প্রয়োজনে রাজউকের সাহায্য নিয়ে কোম্পানিটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও সঠিক ধারণা লাভের পরই কেবল কোনো প্রকল্পের প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা দূর হতে পারে।
No comments