আবু বকর হত্যা মামলাটি দুর্বল করা যাবে না-অভিযোগপত্র নিয়ে অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকর মারা গেলেন ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পুলিশ এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিল এ বছরের এপ্রিলে। এক বছরেরও বেশি সময় পর দেওয়া পুলিশের এই অভিযোগপত্র নিয়েও এখন তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
পুলিশের তরফ থেকে মামলার অভিযোগপত্রে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের যে জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে, তা সাক্ষীরা দেননি বলে অভিযোগ করেছেন। আর পুলিশ বলছে, তারা সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়েছে এবং সেটাই অভিযোগপত্রে যুক্ত করেছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিহত এই মেধাবী ছাত্র হত্যা মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সংশয়।
মামলার যে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রয়েছেন, তাঁদের বক্তব্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা যখন বলছেন যে তদন্তকারী পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়নি এবং তাঁরা পুলিশের কাছে কোনো জবানবন্দি দেননি, তখন তাঁদের বক্তব্যকে উপেক্ষা করার সুযোগ কোথায়? অথচ পুলিশের অভিযোগপত্রে তাঁদের জবানবন্দি যুক্ত করা আছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা যদি এই একই কথা আদালতে বলেন, তবে পুলিশের এই অভিযোগপত্রের আদৌ কোনো মূল্য থাকবে কি? আর মামলারই বা কী হবে?
সাক্ষীরা যে অভিযোগ করেছেন তা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে এটি মামলার তদন্তে একটি গুরুতর অনিয়ম বলেই ধরে নিতে হবে। কারণ, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো কথা না বলে বা বক্তব্য না নিয়ে অভিযোগপত্রে তা জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি তখনই হতে পারে, যখন কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে চাইবে। যে পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগপত্র তৈরি করেছেন, তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করায় বিষয়টি সত্যিই জটিল হয়ে পড়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র আবু বকর পরদিন হাসপাতালে মারা যান। মেধাবী এই ছাত্রের করুণ মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল। আবু বকর ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপের কর্মীদের হাতে, না পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেলের আঘাতে মারা গেছেন, সেটাই এখন বড় বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পুলিশ যেহেতু এই মামলার একটি পক্ষ, সুতরাং পুলিশকে বাঁচানোর একটি চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে।
যেভাবেই এই ছাত্রের মৃত্যু হয়ে থাকুক, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি বলেছেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সাজানো জবানবন্দি লিখে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়ে থাকলে এবং সাক্ষীরা তা আদালতে বললে মামলাটি দুর্বল হয়ে যাবে। এতে লাভবান হবে আসামিরা। মামলা প্রমাণিত হবে না।’ বাস্তবিকই মামলাটি এখন এ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। মামলাটি দুর্বল হয়ে আদালতে কিছুই প্রমাণিত না হোক তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ফলে এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা যে অভিযোগ করেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার একটি সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
মামলার যে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রয়েছেন, তাঁদের বক্তব্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা যখন বলছেন যে তদন্তকারী পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়নি এবং তাঁরা পুলিশের কাছে কোনো জবানবন্দি দেননি, তখন তাঁদের বক্তব্যকে উপেক্ষা করার সুযোগ কোথায়? অথচ পুলিশের অভিযোগপত্রে তাঁদের জবানবন্দি যুক্ত করা আছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা যদি এই একই কথা আদালতে বলেন, তবে পুলিশের এই অভিযোগপত্রের আদৌ কোনো মূল্য থাকবে কি? আর মামলারই বা কী হবে?
সাক্ষীরা যে অভিযোগ করেছেন তা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে এটি মামলার তদন্তে একটি গুরুতর অনিয়ম বলেই ধরে নিতে হবে। কারণ, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো কথা না বলে বা বক্তব্য না নিয়ে অভিযোগপত্রে তা জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি তখনই হতে পারে, যখন কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে চাইবে। যে পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগপত্র তৈরি করেছেন, তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করায় বিষয়টি সত্যিই জটিল হয়ে পড়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র আবু বকর পরদিন হাসপাতালে মারা যান। মেধাবী এই ছাত্রের করুণ মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল। আবু বকর ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপের কর্মীদের হাতে, না পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেলের আঘাতে মারা গেছেন, সেটাই এখন বড় বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পুলিশ যেহেতু এই মামলার একটি পক্ষ, সুতরাং পুলিশকে বাঁচানোর একটি চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে।
যেভাবেই এই ছাত্রের মৃত্যু হয়ে থাকুক, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি বলেছেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সাজানো জবানবন্দি লিখে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়ে থাকলে এবং সাক্ষীরা তা আদালতে বললে মামলাটি দুর্বল হয়ে যাবে। এতে লাভবান হবে আসামিরা। মামলা প্রমাণিত হবে না।’ বাস্তবিকই মামলাটি এখন এ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। মামলাটি দুর্বল হয়ে আদালতে কিছুই প্রমাণিত না হোক তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ফলে এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা যে অভিযোগ করেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার একটি সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments