এখনই সব পোস্টার ও ফেস্টুন সরিয়ে ফেলুন-সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপদ্রব
ঢাকা মহানগরে এত বিপুলসংখ্যক দেশদরদি ও জনদরদি নেতা আছেন, তা আমাদের আগে জানা ছিল না। সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সম্ভাব্য নির্বাচন সামনে রেখে স্বঘোষিত সব নেতা মাঠে নেমে পড়েছেন।
কিন্তু মাঠে নামা বলতে যা বোঝায়—জনগণের জন্য কিছু করা, তাদের নিত্যদিনের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া, তার ধারেকাছেও নেই এই নগরপ্রেমিকেরা। তাঁরা সেবা বলতে বোঝেন বিশালকায় নিজের ছবি প্রদর্শন ও বাণী প্রচার, সড়কের মোড়ে মোড়ে পোস্টার ও ফেস্টুন টানিয়ে নগরের সৌন্দর্যহানি করা।
গতকাল প্রথম আলোয় ‘তফসিলের আগেই খরচের মহড়া’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের রংবেরঙের পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো এবং আত্মপ্রচারের বিচিত্র পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁরা সবাই নিজেদের শ্রেষ্ঠ জনসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন।
আইন অনুযায়ী, এভাবে যত্রতত্র পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো যায় না। গত জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপসংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়েছে। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হতে পারেনি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ার কারণে। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দায়িত্ব কার ছিল? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। তাঁরা সেই কাজ এত দিনেও কেন করলেন না? সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ প্রজ্ঞাপন প্রকাশের যে অস্পষ্ট কথাবার্তা বলেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইনটি কার্যকর এবং মহানগরে যত অবৈধ পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে তা তুলে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে যাঁরা মহানগরে এই উপদ্রব সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের দিয়েই সেই কাজ করাতে হবে।
২৮ মের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন বলেছে, মের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে এবং সে অনুযায়ী এপ্রিল মাসে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তার আগে নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো কেবল অনৈতিক নয়, আইনের পরিপন্থী। আশা করি, দুই সিটি করপোরেশনের নিষ্ক্রিয় প্রশাসকেরা অবৈধ পোস্টার ও ফেস্টুন তুলে দিয়ে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করবেন।prth
গতকাল প্রথম আলোয় ‘তফসিলের আগেই খরচের মহড়া’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের রংবেরঙের পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো এবং আত্মপ্রচারের বিচিত্র পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁরা সবাই নিজেদের শ্রেষ্ঠ জনসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন।
আইন অনুযায়ী, এভাবে যত্রতত্র পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো যায় না। গত জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপসংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়েছে। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হতে পারেনি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ার কারণে। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দায়িত্ব কার ছিল? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। তাঁরা সেই কাজ এত দিনেও কেন করলেন না? সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ প্রজ্ঞাপন প্রকাশের যে অস্পষ্ট কথাবার্তা বলেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইনটি কার্যকর এবং মহানগরে যত অবৈধ পোস্টার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে তা তুলে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে যাঁরা মহানগরে এই উপদ্রব সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের দিয়েই সেই কাজ করাতে হবে।
২৮ মের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন বলেছে, মের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে এবং সে অনুযায়ী এপ্রিল মাসে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তার আগে নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো কেবল অনৈতিক নয়, আইনের পরিপন্থী। আশা করি, দুই সিটি করপোরেশনের নিষ্ক্রিয় প্রশাসকেরা অবৈধ পোস্টার ও ফেস্টুন তুলে দিয়ে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করবেন।prth
No comments