অস্ট্রেলিয়ায় ১০ বছরের এক জাহানারার বাঁচার লড়াই
মানবজমিন ডেস্ক: বিরল রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশের জাহানারা জব্বার (১০)। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে কোনমতে বেঁচে আছে সে। পিতা-মাতার সঙ্গে বসবাস করছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ টাউনে। এরই মধ্যে তার শরীরে বড় ধরনের পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৩
৬টি অপারেশন হয়েছে। ২০০৪ সালে তাকে বাঁচানোর স্বপ্ন নিয়ে পিতা-মাতা অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের নজরে পড়ে যান তারা। তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আসতে বলা হয়। এমন অবস্থায় এগিয়ে আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও আইনজীবীরা। তাদের হস্তক্ষেপে জাহানারার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে দ্য মর্নিং হেরাল্ড। এতে আরও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের অনুমতি পাওয়ার জন্য জাহানারার পরিবারের সদস্যদের বিশ্বের নামী-দামি অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিতে হয়েছে। দৌড়াতে হয়েছে আইনজীবীদের কাছে। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে জাহানারার পক্ষ নেন। তারা বলেন, জাহানারাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া মানে এক অবুঝ শিশুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া। তাদের এমন মতামতের পরই কেবল তার পরিবারকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বা পিআর দেয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ টাউনে বসবাস করেন বাংলাদেশী অভিবাসী আবদুল জব্বার। তার মেয়ে জাহানারা। সে এক্সোফেলুস নামের এক বিরল রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মকালে তার কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেটের বাইরে ছিল। চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার পরিবার ২০০৪ সালে সুদূর অস্ট্র্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে সিডনির রেন্ডউইক হাসপাতালে জাহানারার এক সফল অস্ত্রোপচার করা হলেও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন জটিলতায় ভোগার কারণে তাকে তখন থেকেই হাসপাতালটির শিশু বিশেষজ্ঞদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এই ৭ বছরে তার এতটুকুন ছোট শরীরটির ওপর দিয়ে ৬ বার বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। চিকিৎসকরা আরও অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে বলে তার পরিবারকে আগাম জানিয়ে রেখেছেন। জাহানারাকে এখনও তরল খাবার দিতে হয়। তার পরিবার যখন তাকে বাঁচিয়ে তুলতে এমন নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই সবচেয়ে বড় আঘাতটি আসে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। তারা জাহানারার পরিবারকে জানিয়ে দেয়, তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। বাংলাদেশী এই পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে সেখানকার পত্রিকা দ্য সান হেরাল্ড মানবিক আবেদনসম্পন্ন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ অবস্থায় সিডনির অভিবাসন আইনজীবী অ্যানি ও’ডনুগুইয়ে এবং তার দল প্রচারণায় নামেন। তারা বলেন, জাহানারাকে বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমান চিকিৎসা ও পরিচর্যা চালিয়ে যেতে হবে। এ মর্মে তারা সারা বিশ্ব থেকে চিকিৎসকদের মতামত সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস বাউয়েনের কাছে জমা দেন এবং জাহানারার মামলাটি পুনর্বিবেচনায় সম্মত করান। তারা মন্ত্রী বাউয়েনকে বলেন, জাহানারাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো আর একটি অবুঝ শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া একই কথা। ফলে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকার জাহানারার পরিবারকে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের অনুমতি দেয়। তার সঙ্গে তার পিতা আবদুল জব্বার, মা পপি ও সিডনিতে জন্ম নেয়া এক বোন জেসমিনকেও স্থায়ী আবাসিক অনুমোদন দেয়া হয়। দ্য সান হেরাল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারার আইনজীবী অ্যানি বলেন, আমরা সব কিছুই করেছি তার জীবন বাঁচাতে। আমরা যদি ব্যর্থ হতাম তাহলে তা হতো এক ট্র্যাজেডি। অস্ট্রেলিয়ার নিউ টাউনে বসবাসকারী আবদুল জব্বার সরকারের এই সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর তার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আবারও চালু করার পরিকল্পনা করছেন। রোগাক্রান্ত জাহানারাও আবারও সেখানকার ম্যারিকভেলি ওয়েস্ট প্রাইমারি স্কুলে যেতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে থাকার এবং বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে।
৬টি অপারেশন হয়েছে। ২০০৪ সালে তাকে বাঁচানোর স্বপ্ন নিয়ে পিতা-মাতা অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের নজরে পড়ে যান তারা। তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আসতে বলা হয়। এমন অবস্থায় এগিয়ে আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও আইনজীবীরা। তাদের হস্তক্ষেপে জাহানারার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে দ্য মর্নিং হেরাল্ড। এতে আরও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের অনুমতি পাওয়ার জন্য জাহানারার পরিবারের সদস্যদের বিশ্বের নামী-দামি অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিতে হয়েছে। দৌড়াতে হয়েছে আইনজীবীদের কাছে। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে জাহানারার পক্ষ নেন। তারা বলেন, জাহানারাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া মানে এক অবুঝ শিশুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া। তাদের এমন মতামতের পরই কেবল তার পরিবারকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বা পিআর দেয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ টাউনে বসবাস করেন বাংলাদেশী অভিবাসী আবদুল জব্বার। তার মেয়ে জাহানারা। সে এক্সোফেলুস নামের এক বিরল রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মকালে তার কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেটের বাইরে ছিল। চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার পরিবার ২০০৪ সালে সুদূর অস্ট্র্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে সিডনির রেন্ডউইক হাসপাতালে জাহানারার এক সফল অস্ত্রোপচার করা হলেও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন জটিলতায় ভোগার কারণে তাকে তখন থেকেই হাসপাতালটির শিশু বিশেষজ্ঞদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এই ৭ বছরে তার এতটুকুন ছোট শরীরটির ওপর দিয়ে ৬ বার বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। চিকিৎসকরা আরও অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে বলে তার পরিবারকে আগাম জানিয়ে রেখেছেন। জাহানারাকে এখনও তরল খাবার দিতে হয়। তার পরিবার যখন তাকে বাঁচিয়ে তুলতে এমন নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই সবচেয়ে বড় আঘাতটি আসে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। তারা জাহানারার পরিবারকে জানিয়ে দেয়, তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। বাংলাদেশী এই পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে সেখানকার পত্রিকা দ্য সান হেরাল্ড মানবিক আবেদনসম্পন্ন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ অবস্থায় সিডনির অভিবাসন আইনজীবী অ্যানি ও’ডনুগুইয়ে এবং তার দল প্রচারণায় নামেন। তারা বলেন, জাহানারাকে বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমান চিকিৎসা ও পরিচর্যা চালিয়ে যেতে হবে। এ মর্মে তারা সারা বিশ্ব থেকে চিকিৎসকদের মতামত সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস বাউয়েনের কাছে জমা দেন এবং জাহানারার মামলাটি পুনর্বিবেচনায় সম্মত করান। তারা মন্ত্রী বাউয়েনকে বলেন, জাহানারাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো আর একটি অবুঝ শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া একই কথা। ফলে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকার জাহানারার পরিবারকে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের অনুমতি দেয়। তার সঙ্গে তার পিতা আবদুল জব্বার, মা পপি ও সিডনিতে জন্ম নেয়া এক বোন জেসমিনকেও স্থায়ী আবাসিক অনুমোদন দেয়া হয়। দ্য সান হেরাল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারার আইনজীবী অ্যানি বলেন, আমরা সব কিছুই করেছি তার জীবন বাঁচাতে। আমরা যদি ব্যর্থ হতাম তাহলে তা হতো এক ট্র্যাজেডি। অস্ট্রেলিয়ার নিউ টাউনে বসবাসকারী আবদুল জব্বার সরকারের এই সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর তার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আবারও চালু করার পরিকল্পনা করছেন। রোগাক্রান্ত জাহানারাও আবারও সেখানকার ম্যারিকভেলি ওয়েস্ট প্রাইমারি স্কুলে যেতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে থাকার এবং বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে।
No comments