১৭ জানুয়ারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও করবে জাতীয় কমিটি
আগামী ১৭ জানুয়ারি দেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। ওই দিন ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ। গত ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় কমিটির সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং গ্যাস-বিদ্যুৎসংকট সমাধানে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে
গতকালের সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করে রাষ্ট্রীয় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, পুরোনোগুলোর মেরামত, নবায়ন ও সম্প্রসারণ করে বিদ্যুৎসংকট সমাধানের দাবি জানানো হয়।
কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সমাবেশে বলেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার যত অপকর্ম করার চেষ্টা করবে, তার সবকিছুর প্রতিবাদ করবে জাতীয় কমিটি। তিনি অভিযোগ করেন, সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তেল-গ্যাস নিয়ে সব চুক্তি করা হচ্ছে। কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করেছে, তাতে সমুদ্রবক্ষের গ্যাস পাচার হয়ে যাবে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ-সংকটের সাময়িক সমাধান হিসেবে কুইক রেন্টাল পদ্ধতির প্রচলন অর্থনীতির ওপর চাপ ফেলছে, যার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এর ফলে যেমন অতিরিক্ত দামে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে, তেমনি জ্বালানিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সেই ভর্তুকিও জনগণের ঘাড়ে চাপছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘কুইক রেন্টাল থেকে যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্লান্ট মেরামত, নবায়ন ও সম্প্রসারণ করে। কিন্তু সরকার তা করবে না। সরকার চায় ব্যক্তিবিশেষকে সুবিধা দিতে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ও কমিশনভোগীদের কুঠিতে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা এই মন্ত্রণালয়কে বলছি কাশিমবাজারের কুঠি।’
এই কারণে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের অধিকার জাতীয় কমিটির আছে। কিন্তু পুলিশ সেই কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কর্মীদের রক্ত ঝরিয়েছে। তবে সরকারকে মনে রাখতে হবে, যে আন্দোলনে রক্ত ঝরে সেই আন্দোলন বৃথা যায় না।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল পুরানা পল্টন হয়ে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সমাবেশে বলেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার যত অপকর্ম করার চেষ্টা করবে, তার সবকিছুর প্রতিবাদ করবে জাতীয় কমিটি। তিনি অভিযোগ করেন, সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তেল-গ্যাস নিয়ে সব চুক্তি করা হচ্ছে। কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করেছে, তাতে সমুদ্রবক্ষের গ্যাস পাচার হয়ে যাবে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ-সংকটের সাময়িক সমাধান হিসেবে কুইক রেন্টাল পদ্ধতির প্রচলন অর্থনীতির ওপর চাপ ফেলছে, যার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এর ফলে যেমন অতিরিক্ত দামে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে, তেমনি জ্বালানিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সেই ভর্তুকিও জনগণের ঘাড়ে চাপছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘কুইক রেন্টাল থেকে যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্লান্ট মেরামত, নবায়ন ও সম্প্রসারণ করে। কিন্তু সরকার তা করবে না। সরকার চায় ব্যক্তিবিশেষকে সুবিধা দিতে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ও কমিশনভোগীদের কুঠিতে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা এই মন্ত্রণালয়কে বলছি কাশিমবাজারের কুঠি।’
এই কারণে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের অধিকার জাতীয় কমিটির আছে। কিন্তু পুলিশ সেই কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কর্মীদের রক্ত ঝরিয়েছে। তবে সরকারকে মনে রাখতে হবে, যে আন্দোলনে রক্ত ঝরে সেই আন্দোলন বৃথা যায় না।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল পুরানা পল্টন হয়ে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
No comments