রেলের সঙ্গে জাইকা’র দ্বন্দ্ব মেট্রোরেল নাও হতে পারে
আশরাফ খান: পদ্মা সেতুর মতো মেট্রোরেলও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর মেট্রোরেল প্রকল্পে বাধা এলো সরকারের দিক থেকেই। রেল মন্ত্রণালয় চাইছে, বাংলাদেশ রেলওয়েই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে। উন্নয়ন সহযোগী জাইকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তা হবে না। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাইকা’র সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী মেট্রোরেলের জন্য ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসি) গঠন করতেই হবে। মেট্রোরেলের জন্য এরই মধ্যে পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
স্পেশাল প্রজেক্ট অর্গানাইজেশন (এসপিও) গঠন করা হয়েছে। একেই ডিএমটিসিতে রূপান্তর করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে এটা মানতে রাজি নয়। বলেছে, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য রেলওয়েই উপযুক্ত সংস্থা। জাইকা বলেছে, ডিএমটিসি গঠন করা না হলে তারা মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন সম্পর্কে দ্বিতীয় চিন্তা করবে। মার্চে তারা ঋণচুক্তি স্বাক্ষর না-ও করতে পারে।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড ও জাইকা সূত্রে জানা যায়, ডিপোর স্থান ও সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে রুট নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হলেও উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রকল্পটি অনিশ্চিত করে তুলেছে। এ জটিলতার অবসানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর ও ৩০শে ডিসেম্বর ছুটির দিনেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিটিসিবি সড়ক বিভাগ ও জাইকা’র সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণে রেলের প্রস্তাবে একমত হওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকে ডিটিসিবিকে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালনার জন্য ডিএমটিসি গঠনের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ ধরনের কোম্পানির মাধ্যমে মেট্রোরেল পরিচালিত হচ্ছে। রেলওয়ে এখন এর সঙ্গে দ্বিমত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ও মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়। জাইকা এর বিরোধিতা করে মেট্রোরেল পরিচালনায় রেলের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, রেলওয়ে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। মেট্রোরেল হবে ব্যাপক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবে। একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান দিয়ে মেট্রোরেল পরিচালনার যুক্তি নেই। তাছাড়া, সব দেশেই এ জন্য পৃথক কোম্পানি থাকে। মেট্রোরেল শহরাঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা, জাতীয় রেল ট্রান্সপোর্ট নয়। এ কারণে রেলওয়েকে এর দায়িত্ব দেয়ার সুযোগও নেই। মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সবকিছু আলাদা। অপরদিকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেল একটি ঐতিহ্যবাহী দক্ষ প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র বিনিয়োগের অভাবে রেলকে লাভজনকভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
খসড়া মেট্রোরেল আইনেও পৃথক কোম্পানির প্রস্তাব করা হয়েছে। ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা জরিপসহ তিন বছর ধরে জাইকা মেট্রোরেল নিয়ে কাজ করছে। আগামী বছরের অক্টোবর নাগাদ ফাইনাল ডিজাইনের কাজ শেষ হবে। এ বছরের শেষে কিংবা ২০১৩-এর শুরুতে বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। উত্তরা থেকে মিরপুর-পল্লবী রোকেয়া সরণি-খামারবাড়ি ফার্মগেট-শাহবাগ-বাংলা একাডেমী, দোয়েল চত্বর-জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কাজের রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে মেট্রোরেল নেয়ার ব্যাপারে যে আপত্তি উঠেছিল তার সুরাহা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় মেট্রোরেল হবে পুরোপুরি সাউন্ড প্রুফ। ফাইনাল ডিজাইন এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে সংসদ ভবনের সৌন্দর্য ব্যাহত না হয়। খামারবাড়ির এলাকার কোন ভবনও ভাঙতে হবে না।
জাইকা প্রথমে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন এ প্রকল্পে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ দিতে সম্মতির কথা জানিয়েছে। সুদ নেবে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য এক শতাংশ হারে। এত স্বল্প সুদে কোন উন্নয়ন সহযোগী দেশ, সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার ঘটনা এই প্রথম। এ ঋণও ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এখন ঋণ চুক্তি সম্পাদন নিয়েই সমস্যা দেখা দিলো। ডিএমটিসি নামে পৃথক কোম্পানি করা না হলে এই ঋণ না-ও দিতে পারে জাইকা। এ ব্যাপারে তারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও কথা বলতে পারেন।
স্পেশাল প্রজেক্ট অর্গানাইজেশন (এসপিও) গঠন করা হয়েছে। একেই ডিএমটিসিতে রূপান্তর করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে এটা মানতে রাজি নয়। বলেছে, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য রেলওয়েই উপযুক্ত সংস্থা। জাইকা বলেছে, ডিএমটিসি গঠন করা না হলে তারা মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন সম্পর্কে দ্বিতীয় চিন্তা করবে। মার্চে তারা ঋণচুক্তি স্বাক্ষর না-ও করতে পারে।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড ও জাইকা সূত্রে জানা যায়, ডিপোর স্থান ও সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে রুট নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হলেও উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রকল্পটি অনিশ্চিত করে তুলেছে। এ জটিলতার অবসানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর ও ৩০শে ডিসেম্বর ছুটির দিনেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিটিসিবি সড়ক বিভাগ ও জাইকা’র সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণে রেলের প্রস্তাবে একমত হওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকে ডিটিসিবিকে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালনার জন্য ডিএমটিসি গঠনের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ ধরনের কোম্পানির মাধ্যমে মেট্রোরেল পরিচালিত হচ্ছে। রেলওয়ে এখন এর সঙ্গে দ্বিমত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ও মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়। জাইকা এর বিরোধিতা করে মেট্রোরেল পরিচালনায় রেলের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, রেলওয়ে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। মেট্রোরেল হবে ব্যাপক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবে। একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান দিয়ে মেট্রোরেল পরিচালনার যুক্তি নেই। তাছাড়া, সব দেশেই এ জন্য পৃথক কোম্পানি থাকে। মেট্রোরেল শহরাঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা, জাতীয় রেল ট্রান্সপোর্ট নয়। এ কারণে রেলওয়েকে এর দায়িত্ব দেয়ার সুযোগও নেই। মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সবকিছু আলাদা। অপরদিকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেল একটি ঐতিহ্যবাহী দক্ষ প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র বিনিয়োগের অভাবে রেলকে লাভজনকভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
খসড়া মেট্রোরেল আইনেও পৃথক কোম্পানির প্রস্তাব করা হয়েছে। ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা জরিপসহ তিন বছর ধরে জাইকা মেট্রোরেল নিয়ে কাজ করছে। আগামী বছরের অক্টোবর নাগাদ ফাইনাল ডিজাইনের কাজ শেষ হবে। এ বছরের শেষে কিংবা ২০১৩-এর শুরুতে বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। উত্তরা থেকে মিরপুর-পল্লবী রোকেয়া সরণি-খামারবাড়ি ফার্মগেট-শাহবাগ-বাংলা একাডেমী, দোয়েল চত্বর-জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কাজের রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে মেট্রোরেল নেয়ার ব্যাপারে যে আপত্তি উঠেছিল তার সুরাহা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় মেট্রোরেল হবে পুরোপুরি সাউন্ড প্রুফ। ফাইনাল ডিজাইন এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে সংসদ ভবনের সৌন্দর্য ব্যাহত না হয়। খামারবাড়ির এলাকার কোন ভবনও ভাঙতে হবে না।
জাইকা প্রথমে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন এ প্রকল্পে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ দিতে সম্মতির কথা জানিয়েছে। সুদ নেবে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য এক শতাংশ হারে। এত স্বল্প সুদে কোন উন্নয়ন সহযোগী দেশ, সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার ঘটনা এই প্রথম। এ ঋণও ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এখন ঋণ চুক্তি সম্পাদন নিয়েই সমস্যা দেখা দিলো। ডিএমটিসি নামে পৃথক কোম্পানি করা না হলে এই ঋণ না-ও দিতে পারে জাইকা। এ ব্যাপারে তারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও কথা বলতে পারেন।
No comments