‘ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসিনি’
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসিনি। ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখবো। যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগের মতোই ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠা ৫ কলাম ২
পাশে থাকবো। তিনি গতকাল ১৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিনিয়োগ করুন। উৎপাদন বাড়ান। পণ্যের দেশীয় বাজার সৃষ্টি করুন। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখবো। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস বোস বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সহজ হবে। এছাড়া, তিনি উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা একই ধরনের পণ্য উৎপাদনে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবেন না। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করুন। চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এসব পণ্যের বাজার সৃষ্টি করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্দা মোকাবিলার কৌশল হিসেবে অনেক দেশ সংরক্ষণমূলক নীতি গ্রহণ করেছে- যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতির পরিপন্থি। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুখপাত্র হিসেবে আমরা স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট-এর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। আমরা ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধামুক্ত বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারের ক্ষেত্রে আমরা কখনও কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিনি। বরং আমরা চারদলীয় জোট সরকার ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৃষ্ট আতঙ্ক দূরীভূত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারদলীয় জোট সরকার ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অত্যাচার, নির্যাতন ও বাধার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আর বর্তমান সরকার বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে দেশে গত তিন বছরে ২৬৬ কোটি ডলারের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নতুন নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টির প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।
ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে ইপিজেডগুলোতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ইপিজেডগুলো ১০২২ কোটি ডলার আয় করেছে। বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার সফলভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান সরকার জাতীয় গ্রিডে ২৯ শ’ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ যোগ করেছে। ২৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে- যেগুলো থেকে বিদ্যুৎ আসবে ৩৩৭৫ মেগাওয়াট। তাছাড়া, ৫৮৯৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল ঘুরে দেখেন।
পাশে থাকবো। তিনি গতকাল ১৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিনিয়োগ করুন। উৎপাদন বাড়ান। পণ্যের দেশীয় বাজার সৃষ্টি করুন। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখবো। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস বোস বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সহজ হবে। এছাড়া, তিনি উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা একই ধরনের পণ্য উৎপাদনে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবেন না। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করুন। চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এসব পণ্যের বাজার সৃষ্টি করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্দা মোকাবিলার কৌশল হিসেবে অনেক দেশ সংরক্ষণমূলক নীতি গ্রহণ করেছে- যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতির পরিপন্থি। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুখপাত্র হিসেবে আমরা স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট-এর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। আমরা ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধামুক্ত বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারের ক্ষেত্রে আমরা কখনও কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিনি। বরং আমরা চারদলীয় জোট সরকার ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৃষ্ট আতঙ্ক দূরীভূত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারদলীয় জোট সরকার ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অত্যাচার, নির্যাতন ও বাধার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আর বর্তমান সরকার বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে দেশে গত তিন বছরে ২৬৬ কোটি ডলারের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নতুন নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টির প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।
ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে ইপিজেডগুলোতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ইপিজেডগুলো ১০২২ কোটি ডলার আয় করেছে। বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার সফলভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান সরকার জাতীয় গ্রিডে ২৯ শ’ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ যোগ করেছে। ২৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে- যেগুলো থেকে বিদ্যুৎ আসবে ৩৩৭৫ মেগাওয়াট। তাছাড়া, ৫৮৯৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল ঘুরে দেখেন।
No comments