৪ সেতুর টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের ভৈরব সেতু, নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন সেতু, নরসিংদীর ঘোড়াশাল সেতু ও চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। কম্পিউটারাইজড পৃষ্ঠা ৮ কলাম ৪
পদ্ধতিতে টোল আদায় ও অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (ওএন্ডএম) সংক্রান্ত দরপত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ও সরকারের নিয়ম-নীতি মানা হয়নি অভিযোগ করে বলা হয়েছে- এ কারণে সরকার প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে অবৈধভাবে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ করছেন। এখন কেবল যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুমোদনের অপেক্ষা। দুদক সূত্র জানিয়েছে, ভৈরব, ঘোড়াশাল ও কাঞ্চন সেতুর টোল আদায়ের জন্য চলতি বছরের ১৪ই আগস্ট গোপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাধারণ ঠিকাদাররা যাতে ৭০ কোটি টাকার এ কাজের টেন্ডারের তথ্য জানতে না পারেন সেজন্য অন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। টেন্ডার দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৫শে আগস্ট। এ ক্ষেত্রে সময় দেয়া হয় মাত্র ৮ কার্য দিবস। প্রাক টেন্ডার মিটিং-এর ঘরেও কোন তারিখ ও সময় ছিল না। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তা সিপিটিইউ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এর ফলে বেশির ভাগ পেশাদার ঠিকাদার বিষয়টি জানতে পারেননি। এছাড়া এসব কাজের মেইনটেন্যান্স ব্যয় বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি টাকা দেয়া হয়। গত অর্থবছরে রেজা কনস্ট্রাকশনকে ভৈরব সেতুর টোল আদায়ের কাজ ৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দেয়া হলেও এবার একই কাজ দেয়া হচ্ছে ৩৬ কোটি টাকায়। একইভাবে এম.এম. বিল্ডার্সকে ঘোড়াশাল সেতুর কাজ ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় দেয়া হলেও এবার এই কাজ দেয়া হচ্ছে ১৮ কোটি টাকায়। একইভাবে কাঞ্চন ব্রিজের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০০ ভাগ বেশি দরে কাজ দেয়া হচ্ছে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানতে পেরে নরসিংদী-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খান তার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত ঘোড়াশাল সেতুর টোল আদায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কাছে নিজের প্যাডে একটি ডিও লেটার দেন। তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগের অনুরোধ জানান। একই ভাবে ৩য় কর্ণফুলী সেতুর টেন্ডার দেয়া হয়েছে। সেতুর প্রকল্প পরিচালক গত ১০ই জুলাই টোল আদায়ের দরপত্র আহ্বান করেন। উক্ত কাজের দরপত্র কেনা ও জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গত ২১শে জুলাই। এত বড় কাজের জন্য দরপত্র দাখিলের সময় দেয়া হয় মাত্র ১৯ কার্যদিবস। এছাড়া দরপত্রে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি জানতে পেরে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ওই সব কাজের অনুমোদন দেননি। তিনি সওজ-এর প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুসকে সরকারি নিয়ম মেনে আবারও দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সওজ) রাজ খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ভৈরব, ঘোড়াশাল ও কাঞ্চন সেতুর অনিয়মের বিষয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
পদ্ধতিতে টোল আদায় ও অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (ওএন্ডএম) সংক্রান্ত দরপত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ও সরকারের নিয়ম-নীতি মানা হয়নি অভিযোগ করে বলা হয়েছে- এ কারণে সরকার প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে অবৈধভাবে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ করছেন। এখন কেবল যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুমোদনের অপেক্ষা। দুদক সূত্র জানিয়েছে, ভৈরব, ঘোড়াশাল ও কাঞ্চন সেতুর টোল আদায়ের জন্য চলতি বছরের ১৪ই আগস্ট গোপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাধারণ ঠিকাদাররা যাতে ৭০ কোটি টাকার এ কাজের টেন্ডারের তথ্য জানতে না পারেন সেজন্য অন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। টেন্ডার দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৫শে আগস্ট। এ ক্ষেত্রে সময় দেয়া হয় মাত্র ৮ কার্য দিবস। প্রাক টেন্ডার মিটিং-এর ঘরেও কোন তারিখ ও সময় ছিল না। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তা সিপিটিইউ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এর ফলে বেশির ভাগ পেশাদার ঠিকাদার বিষয়টি জানতে পারেননি। এছাড়া এসব কাজের মেইনটেন্যান্স ব্যয় বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি টাকা দেয়া হয়। গত অর্থবছরে রেজা কনস্ট্রাকশনকে ভৈরব সেতুর টোল আদায়ের কাজ ৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দেয়া হলেও এবার একই কাজ দেয়া হচ্ছে ৩৬ কোটি টাকায়। একইভাবে এম.এম. বিল্ডার্সকে ঘোড়াশাল সেতুর কাজ ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় দেয়া হলেও এবার এই কাজ দেয়া হচ্ছে ১৮ কোটি টাকায়। একইভাবে কাঞ্চন ব্রিজের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০০ ভাগ বেশি দরে কাজ দেয়া হচ্ছে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানতে পেরে নরসিংদী-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খান তার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত ঘোড়াশাল সেতুর টোল আদায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কাছে নিজের প্যাডে একটি ডিও লেটার দেন। তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগের অনুরোধ জানান। একই ভাবে ৩য় কর্ণফুলী সেতুর টেন্ডার দেয়া হয়েছে। সেতুর প্রকল্প পরিচালক গত ১০ই জুলাই টোল আদায়ের দরপত্র আহ্বান করেন। উক্ত কাজের দরপত্র কেনা ও জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গত ২১শে জুলাই। এত বড় কাজের জন্য দরপত্র দাখিলের সময় দেয়া হয় মাত্র ১৯ কার্যদিবস। এছাড়া দরপত্রে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি জানতে পেরে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ওই সব কাজের অনুমোদন দেননি। তিনি সওজ-এর প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুসকে সরকারি নিয়ম মেনে আবারও দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সওজ) রাজ খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ভৈরব, ঘোড়াশাল ও কাঞ্চন সেতুর অনিয়মের বিষয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
No comments