এমন বার্তা কে চায়! by তালুকদার মোঃ ইউনুছ
আমাদের একমাত্র পুত্র ভালবাসার ধন সায়াম-উর-রহমান সায়েমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য শুক্রবার বিকেল ৪টায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি'_ জাহাঙ্গীর কবির নানক/সৈয়দা আর্জুমান বানু নার্গিস। মোবাইল ফোনে কয়েকবার এসেছে এ বার্তা। উপলক্ষ চেহলাম। দেখতে দেখতে চলি্লশ দিন হয়ে গেল। বার্তাটি যতবার পড়ি, চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। জীবনে অনেক বোঝা কাঁধে নিয়েছি। অনেক প্রিয়জনকে কবরে
নামানোর জন্য লাশ বহন করেছি। কিন্তু সায়াম-উর-রহমানকে যখন আরও অনেকের সঙ্গে মিলে কাঁধে নিয়েছি, তখন মনে হয়েছে, এমন দুঃসহ ভার, যা সইতে পারি না। কারও যেন এমন দুর্ভাগ্য না হয়। জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে পরিচয় চার দশকেরও বেশি সময়। আমাদের উভয়ের বাড়ি বরিশাল জেলায়। রাজনীতি করছি একসঙ্গে। তার গ্রাম সেরাল পড়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। আমি গৌরনদীর বাসিন্দা। সায়েমের বাবা তিনি। সন্তানের লাশ তাকে কাঁধে বহন করে কবরে শুইয়ে দিতে হয়েছে। এ যে কী নিদারুণ যন্ত্রণা! তিনি জীবনের এক কঠিন সময় অতিক্রম করছেন। রাজনীতি করার কারণে অনেক বিপদ তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে জীবনে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। স্বাধীন দেশে সামরিক স্বৈর শাসকদের নির্যাতন ভোগ করেছেন। দেশের আনাচে-কানাচে ছুটে গেছেন। এ সময়ে সংসার সামাল দিয়েছেন সায়েমের আম্মা আমাদের নার্গিস ভাবি। কখনও তার ম্লান মুখ দেখিনি। তিনটি সন্তান মানুষ হয়ে উঠছে_ এটাই ছিল তার বড় সান্ত্ব্বনা। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে নানক ভাই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে বেড়ে যায় সাংগঠনিক দায়িত্ব। ফলে সংসারের দায় আরও বেশি চাপে সায়েমের আম্মার কাঁধে। সবকিছু হাসিমুখে সামলেছেন তিনি। কিন্তু এখন তার সামনে দাঁড়াতে আমার সাহস নেই। বাকরুদ্ধ হয়ে আসে। অশ্রুধারায় সিক্ত হতে থাকি। কী সান্ত্বনা দেব তাদের! নিজেই যে অনিঃশেষ যন্ত্রণায় দগ্ধ হতে থাকি।
সায়েমের সঙ্গে খুব যে দেখা হয়েছে, তা নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় তার অকালমৃত্যু হয়েছে। তার মায়াবী মুখটি কখনও ভোলার নয়। সম্ভ্রম বজায় রেখে, সম্মান দিয়ে কথা বলত সবার সঙ্গে। আর এ কারণে তার প্রতিই সৃষ্টি হতো সমীহবোধ। অনেক অনেক দিন মনে থাকবে প্রিয় এ মুখটি। তাকে হারানোর বেদনা তাই তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মতো আমাদের সবার জন্যই দুঃসহ।
বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে কীর্তনখোলা নদী বয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় এ শহরেই রয়েছে কবি জীবনানন্দের বাসস্থান। তার বাড়ির নাম ধানসিড়ি। ব্রজমোহন কলেজে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এ শহর নিয়ে নানক ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন। তার স্বপ্নে আরও ছিল প্রিয় স্বদেশের চিত্র। রাজনীতির প্রয়োজনেই তাকে রাজধানী ঢাকার একটি আসনে নির্বাচন করতে হয়েছে। কিন্তু মন পড়ে থাকে কীর্তনখোলার তীরের জনপদে। তার প্রিয় সন্তানের জন্য এ জনপদের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা।
তালুকদার মোঃ ইউনুছ :সাংসদ
সায়েমের সঙ্গে খুব যে দেখা হয়েছে, তা নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় তার অকালমৃত্যু হয়েছে। তার মায়াবী মুখটি কখনও ভোলার নয়। সম্ভ্রম বজায় রেখে, সম্মান দিয়ে কথা বলত সবার সঙ্গে। আর এ কারণে তার প্রতিই সৃষ্টি হতো সমীহবোধ। অনেক অনেক দিন মনে থাকবে প্রিয় এ মুখটি। তাকে হারানোর বেদনা তাই তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মতো আমাদের সবার জন্যই দুঃসহ।
বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে কীর্তনখোলা নদী বয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় এ শহরেই রয়েছে কবি জীবনানন্দের বাসস্থান। তার বাড়ির নাম ধানসিড়ি। ব্রজমোহন কলেজে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এ শহর নিয়ে নানক ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন। তার স্বপ্নে আরও ছিল প্রিয় স্বদেশের চিত্র। রাজনীতির প্রয়োজনেই তাকে রাজধানী ঢাকার একটি আসনে নির্বাচন করতে হয়েছে। কিন্তু মন পড়ে থাকে কীর্তনখোলার তীরের জনপদে। তার প্রিয় সন্তানের জন্য এ জনপদের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা।
তালুকদার মোঃ ইউনুছ :সাংসদ
No comments