এক বছরে পণ্যমূল্য বেড়েছে ১২.৭৭ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার: গত এক বছরের দ্রব্যমূল্য নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। প্রতিবেদনে বাজার পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৫
তথ্য পর্যালোচনা করে বলা হয়, ২০১১ সালে এক বছরে বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ১২ দশমিক ৭৭ ভাগ। এটি শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়-বহির্ভূত। ক্যাব সংগৃহীত জরিপের মাধ্যমে এই পর্যালোচনা করে। গতকাল সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছর জুড়েই নিত্যপণ্যের দাম ছিল বেসামাল। তবে বছরের শেষে আকস্মিক জ্বালানির দাম বাড়ানোয় এবার সহনীয় পণ্যমূল্যকে উস্কে দেবে। অন্যদিকে ডলারের আগ্রাসনে টাকার মূল্যমান কমছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বাড়ছে আমদানি ব্যয়। ১৯৭১ সালে প্রতি ডলারের মূল্যমান ছিল ৭.৩০ টাকা, ২০১১ সালে সেটি এসে ঠেকেছে ৮১.৮২ টাকায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা ছিল ভোজ্য তেলের। শতকরা হারে এটি ২৬ দশমিক ৪৪ ভাগ বেড়েছে। মসলার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ১১ ভাগ। শাক-সবজি ১৭ দশমিক ৩৩ ভাগ, নারকেল ১৯ দশমিক ৬৬, গরুর মাংস ৫ দশমিক ৬৮, মাছ ৮ দশমিক ১৯, জ্বালানি ৩ দশমিক ৬৪, ওয়াসার পানি প্রতি ১ হাজার লিটারে ৫ দশমিক ০৫ এবং সোনা-রুপায় ২৭ দশমিক ৬৩ ভাগ। চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ ভাগ। গাড়িভাড়া অত্যধিক বাড়ায় এখন যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সেক্টরে বিরাজ করছে এক তুঘলকি কাণ্ড। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাসাবাড়ি ভাড়া। ২০১১ সালে গড়ে শতকরা ১৫ দশমিক ৮৩ ভাগ বেড়েছে। এর মধ্যে পাকা বাড়িতে ১৩ দশমিক ২৭, আধাপাকা ১৪ দশমিক ৭১, মেসরুম ১৭ দশমিক ৩৯ এবং বস্তি বাড়িতে ভাড়া বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিয়মনীতি ও বিদ্যমান আইন-কানুনকে বাড়িওয়ালারা সচরাচর তোয়াক্কা করেন না। চলতি জানুয়ারি মাসে বাড়িওয়ালারা আবারও বাড়িভাড়া বাড়ানোর নির্দেশনা জারি করেছেন। এভাবে ভাড়া বাড়ার কারণে মূল শহর থেকে অনেক পরিবার উপশহরে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনা ও যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। ক্যাব তাদের প্রতিবেদনে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ১৫টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আছে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রোধে প্রতিযোগিতামূলক নীতি ও আইন জারি এবং তা কার্যকর করা, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা, টিসিবিকে বাস্তবতার ভিত্তিতে ঢেলে সাজানো, খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া এবং বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে একে রক্ষা করা ও বাড়িভাড়া আইন ১৯৯১ হালনাগাদ করে তা বাস্তবায়ন করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনার সুপারিশও করা হয়।
তথ্য পর্যালোচনা করে বলা হয়, ২০১১ সালে এক বছরে বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ১২ দশমিক ৭৭ ভাগ। এটি শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়-বহির্ভূত। ক্যাব সংগৃহীত জরিপের মাধ্যমে এই পর্যালোচনা করে। গতকাল সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছর জুড়েই নিত্যপণ্যের দাম ছিল বেসামাল। তবে বছরের শেষে আকস্মিক জ্বালানির দাম বাড়ানোয় এবার সহনীয় পণ্যমূল্যকে উস্কে দেবে। অন্যদিকে ডলারের আগ্রাসনে টাকার মূল্যমান কমছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বাড়ছে আমদানি ব্যয়। ১৯৭১ সালে প্রতি ডলারের মূল্যমান ছিল ৭.৩০ টাকা, ২০১১ সালে সেটি এসে ঠেকেছে ৮১.৮২ টাকায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা ছিল ভোজ্য তেলের। শতকরা হারে এটি ২৬ দশমিক ৪৪ ভাগ বেড়েছে। মসলার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ১১ ভাগ। শাক-সবজি ১৭ দশমিক ৩৩ ভাগ, নারকেল ১৯ দশমিক ৬৬, গরুর মাংস ৫ দশমিক ৬৮, মাছ ৮ দশমিক ১৯, জ্বালানি ৩ দশমিক ৬৪, ওয়াসার পানি প্রতি ১ হাজার লিটারে ৫ দশমিক ০৫ এবং সোনা-রুপায় ২৭ দশমিক ৬৩ ভাগ। চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ ভাগ। গাড়িভাড়া অত্যধিক বাড়ায় এখন যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সেক্টরে বিরাজ করছে এক তুঘলকি কাণ্ড। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাসাবাড়ি ভাড়া। ২০১১ সালে গড়ে শতকরা ১৫ দশমিক ৮৩ ভাগ বেড়েছে। এর মধ্যে পাকা বাড়িতে ১৩ দশমিক ২৭, আধাপাকা ১৪ দশমিক ৭১, মেসরুম ১৭ দশমিক ৩৯ এবং বস্তি বাড়িতে ভাড়া বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিয়মনীতি ও বিদ্যমান আইন-কানুনকে বাড়িওয়ালারা সচরাচর তোয়াক্কা করেন না। চলতি জানুয়ারি মাসে বাড়িওয়ালারা আবারও বাড়িভাড়া বাড়ানোর নির্দেশনা জারি করেছেন। এভাবে ভাড়া বাড়ার কারণে মূল শহর থেকে অনেক পরিবার উপশহরে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনা ও যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। ক্যাব তাদের প্রতিবেদনে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ১৫টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আছে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রোধে প্রতিযোগিতামূলক নীতি ও আইন জারি এবং তা কার্যকর করা, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা, টিসিবিকে বাস্তবতার ভিত্তিতে ঢেলে সাজানো, খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া এবং বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে একে রক্ষা করা ও বাড়িভাড়া আইন ১৯৯১ হালনাগাদ করে তা বাস্তবায়ন করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনার সুপারিশও করা হয়।
No comments