সিলেটে গানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শাবনূরের পিতা
সিলেট অফিস: সিলেটে গাড়ির ভেতরেই দগ্ধ হয়েছেন নায়িকা শাবনূরের পিতা- এ কথা গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন শাবনূরের বিমাতা জোছনা বেগম। গতকাল তিনি বলেন, শাবনূরের পিতা গানপাগল মানুষ। তিনি গানের জন্য সবখানে ঘুরে বেড়াতেন। সিলেটে তিনি গানের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। এরপর তার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। পত্রিকায় তারা পৃষ্ঠা ২০ কলাম ৩
আগুনে জ্বলার কথা শুনেছেন। কিন্তু তখন তারা এ বিষয়টি পাত্তা দেননি। কোন যোগাযোগ না হওয়ায় তারা সিলেটে এসে জুতা দেখে বুঝতে পারেন আগুনে পোড়া ব্যক্তি কাজী নাছির। এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোছনা বেগম। তিনি জানান, শাবনূর কাজী নাছিরের প্রথম স্ত্রীর কন্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শাবনূরের পরিবারের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না এবং কোন যোগাযোগও ছিল না। কাজী নাছির থাকতেন বগুড়ার মালতীনগরে। শনিবার রাতে জোছনা বেগম সিলেট আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন কাজী নাছিরের মেয়ে কাজী আফসানা টিয়া, ছেলে তনয়কে। তাদেরকে নিয়ে এসে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় যান। সেখানে গিয়ে জুতা দেখে কাজী নাছিরের লাশ শনাক্ত করেন। টিয়া গতকাল সকালে জ্বলন্ত গাড়ির কাছে যান। সেখানে গিয়ে কাজী নাছিরের ভিজিটিং কার্ডের অংশ, হাতঘড়ির অংশ খুঁজে পান। এর ফলে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হন কাজী নাছিরই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এরপর সেকেন্ড অফিসার আমিনুল হকের কাছে পরিবারের সব তথ্য জানান। ওই সময় তারা নাছিরের ভাটিয়ালী সংগীতের বই পুলিশকে দেখান। স্মৃতিস্বরূপ আরও কিছু ছবি দেখান। এরপর জোছনা বেগম যান সিলেট নগরীর মানিক পীর (রহঃ) মাজারস্থ কবরে। সেখানেই পুলিশ মাটি দিয়েছিল কাজী নাছিরকে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করেন। পরে তারা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জোছনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, কাজী নাছির একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি অবসর গ্রহণের পর ভাটিয়ালী গানের পরিচালক হিসেবে গোটা দেশ সফর করেন। সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে তার আসার কথা ছিল। পরিবারের লোকজন জানান, কাজী নাছির মোট তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে একটি বিয়ে করেছেন মৌলভীবাজারে। তিনি প্রায় সময় সিলেট আসতেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গতকাল জানিয়েছেন, যিনি মারা গেছেন, তিনি শাবনূরের পিতা- এ কথা জোছনা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা সংক্রান্ত যত সহায়তা চাওয়া হবে পুলিশ সে সাহায্যটুকু তাদের করবে। তিনি জানান, গাড়ি পোড়ানোর মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করেন। এ মামলার চার্জশিটও দাখিল করেছে পুলিশ।
আগুনে জ্বলার কথা শুনেছেন। কিন্তু তখন তারা এ বিষয়টি পাত্তা দেননি। কোন যোগাযোগ না হওয়ায় তারা সিলেটে এসে জুতা দেখে বুঝতে পারেন আগুনে পোড়া ব্যক্তি কাজী নাছির। এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোছনা বেগম। তিনি জানান, শাবনূর কাজী নাছিরের প্রথম স্ত্রীর কন্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শাবনূরের পরিবারের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না এবং কোন যোগাযোগও ছিল না। কাজী নাছির থাকতেন বগুড়ার মালতীনগরে। শনিবার রাতে জোছনা বেগম সিলেট আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন কাজী নাছিরের মেয়ে কাজী আফসানা টিয়া, ছেলে তনয়কে। তাদেরকে নিয়ে এসে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় যান। সেখানে গিয়ে জুতা দেখে কাজী নাছিরের লাশ শনাক্ত করেন। টিয়া গতকাল সকালে জ্বলন্ত গাড়ির কাছে যান। সেখানে গিয়ে কাজী নাছিরের ভিজিটিং কার্ডের অংশ, হাতঘড়ির অংশ খুঁজে পান। এর ফলে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হন কাজী নাছিরই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এরপর সেকেন্ড অফিসার আমিনুল হকের কাছে পরিবারের সব তথ্য জানান। ওই সময় তারা নাছিরের ভাটিয়ালী সংগীতের বই পুলিশকে দেখান। স্মৃতিস্বরূপ আরও কিছু ছবি দেখান। এরপর জোছনা বেগম যান সিলেট নগরীর মানিক পীর (রহঃ) মাজারস্থ কবরে। সেখানেই পুলিশ মাটি দিয়েছিল কাজী নাছিরকে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করেন। পরে তারা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জোছনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, কাজী নাছির একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি অবসর গ্রহণের পর ভাটিয়ালী গানের পরিচালক হিসেবে গোটা দেশ সফর করেন। সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে তার আসার কথা ছিল। পরিবারের লোকজন জানান, কাজী নাছির মোট তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে একটি বিয়ে করেছেন মৌলভীবাজারে। তিনি প্রায় সময় সিলেট আসতেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গতকাল জানিয়েছেন, যিনি মারা গেছেন, তিনি শাবনূরের পিতা- এ কথা জোছনা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা সংক্রান্ত যত সহায়তা চাওয়া হবে পুলিশ সে সাহায্যটুকু তাদের করবে। তিনি জানান, গাড়ি পোড়ানোর মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করেন। এ মামলার চার্জশিটও দাখিল করেছে পুলিশ।
No comments