দয়া ও ক্ষমা প্রসঙ্গে ইসলাম by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
ইসলামের কাছে আদর্শের শক্তিটাই বড় শক্তি। অন্যকে সহ্য করতে পারাই সবচেয়ে বড় বীরত্ব। সামাজিক সহাবস্থানে সম্পর্কের টানাপড়েন হতেই পারে। অসংলগ্ন ও অবাঞ্ছিত কিছু আচরণের কারণে সামাজিক শৃঙ্খলায় মাঝে মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাও বিচিত্র কিছু নয়। তবে এসব মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখা, বাড়াবাড়ি না করে ধৈর্য, ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার পথ অবলম্বন করা ইসলামেরই মহান শিক্ষা বিশ্ববাসীর সামনে ইসলাম ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার যে নজির পেশ করেছে তার তুলনা বিরল।
ইসলামের কাছে আদর্শের শক্তিটাই বড় শক্তি। অন্যকে সহ্য করতে পারাই সবচেয়ে বড় বীরত্ব। সামাজিক সহাবস্থানে সম্পর্কের টানাপড়েন হতেই পারে। অসংলগ্ন ও অবাঞ্ছিত কিছু আচরণের কারণে সামাজিক শৃঙ্খলায় মাঝে মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাও বিচিত্র কিছু নয়। তবে এসব মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখা, বাড়াবাড়ি না করে ধৈর্য, ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার পথ অবলম্বন করা ইসলামেরই মহান শিক্ষা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আজীবনের মিশন ছিল শান্তি-সৌহার্দ্যপূর্ণ স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা।
এ জন্য তিনি দয়া এবং ক্ষমার আদর্শকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে এই মহৎ গুণ বিকাশের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এই গুণ মানুষকে কেবল মহান হিসেবে পরিচিত করে না বরং তিনি অন্যের কাছে হয়ে ওঠেন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। আল্লাহতায়ালার একটি গুণবাচক নাম হলো, আর রাহমান বা পরম দয়ালু। তাঁর দয়ার মহাসমুদ্র থেকে একবিন্দু দয়া তিনি বান্দাদের দান করেছেন। এ জন্যই অপরের প্রতি দয়া দেখানো মানুষের একটি অপরিহার্য ও অনন্য বৈশিষ্ট্য। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'আর ইবাদত কর আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে। পিতামাতার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্মীয়, এতিম-মিসকিন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে।' ৪ :৩৬
আল্লাহতায়ালা গাফুরুর রাহিম বা ক্ষমাশীল। তাই মানুষকেও ক্ষমাশীল হতে হবে। সব ধরনের লোভ, অহঙ্কার, প্রতিশোধস্পৃৃহা এবং প্রতিহিংসার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। এসব একজন মানুষকে করে তোলে হিংস্র ও পাশবিক। এরা কখনোই মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি লাভ করে না। এরা যেমন কাউকে ক্ষমা করতে পারে না, তেমনি পারে না উদার হতে। ইসলাম মানুষকে ক্ষমা করতে শেখায়। আমাদের নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বহু ত্যাগ, কষ্ট, অত্যাচার, নির্যাতন ও অমানবিক ক্লেশ সহ্য করেছেন। আর এ সবকিছুই তিনি সহ্য করেছেন হাসিমুখে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়েও তিনি তাঁর প্রতি যারা অত্যাচার করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ক্ষমার আদর্শ স্থাপন না করে তিনি যদি প্রতিশোধ নিতেন তাহলে ধর্ম হিসেবে ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করত না। ইসলাম মানুষের মন জয় করতে পারত না এবং ইসলামের সৌন্দর্যও মানুষ উপলব্ধি করার সুযোগ পেত না। ইসলামের সৌন্দর্যবোধ এখানেই। মুসলিম দেশ ও মুসলিম সমাজে যতই এর চর্চা হবে ততই ইসলামী আদর্শের ঝাণ্ডা উঁচু থেকে উঁচুতর হতে থাকবে।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ক্ষমার এ আদর্শ কতটা অনুসরণ করা হচ্ছে? ২০০৭ সালে সংঘটিত ডাকাতির অভিযোগে গত সপ্তাহে সৌদি আরবে আট প্রবাসী বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। রাজধানী রিয়াদে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পত্রিকার খবরে প্রকাশ, আরও চার বাংলাদেশি অন্য একটি মামলায় শিরশ্ছেদের হুকুম মাথায় নিয়ে সৌদি কারাগারে আছে। সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থায় মূলত শরিয়ার আইন অনুসরণ করা হয়। শরিয়া আইনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় যথেষ্ট সুযোগ আছে। কিন্তু বাংলাদেশিদের বিচারের ক্ষেত্রে সে সুযোগ কতটা কাজে লাগানো হয়েছে সে প্রশ্ন দেশে-বিদেশে উঠছে। পাশাপাশি আইন যেন সবার জন্য সমানভাবে প্রযুক্ত হয় কি-না সে প্রশ্নও আছে। সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থায় শরিয়ার নীতিমালা যথাযথভাবে মানা হয়েছে কি-না তাই বিবেচ্য বিষয়।
আট বাংলাদেশির ক্ষেত্রে যে নির্মমতার প্রকাশ ঘটেছে তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে অন্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে। আজ বাংলাদেশ যদি প্রভাবশালী কোনো রাষ্ট্র হতো তাহলে হয়তো অভিযুক্তরা ক্ষমাও পেতে পারত! যেমনটি আমরা দেখেছি ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম স্যাম্পসনের ক্ষেত্রে। ২০০০ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবৃত্তির মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ আনা হলেও ব্রিটিশ সরকারের চাপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন আরও উদাহরণ আছে। সে হিসেবে বলা যায়, হয়তো সৌদি আরবে বিচারের ক্ষেত্রে শ্রেণী, দেশ ও জাতপাতের প্রতি খেয়াল করা হয়। অথচ শরিয়া আইনের মাধ্যমে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের পক্ষপাতের কোনো সুযোগ নেই।
হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে শরিয়া আইনে ক্ষমাপ্রার্থনা ও ক্ষমা করার সুযোগ আছে। নিহতের পরিবার যদি হত্যার দায়ে অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেয়, তবে আদালত ও রাষ্ট্র তাকে ক্ষমা করে দিতে পারে। বাংলাদেশের দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকরা ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। আমাদের রাষ্ট্রপতিও ক্ষমার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমা মেলেনি। বন্ধুভাবাপন্ন দেশ হিসেবে ক্ষমাপ্রার্থনার প্রচেষ্টায় সৌদি আরব যুক্ত হতে পারত। তাহলে হয়তো বাংলাদেশিরা বেঁচে যেতে পারত। সৌদি সরকারের কাছে বাংলাদেশ এমনই আশা করে থাকে। আমরা জানি, শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে একজন মুসলিমকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কার কাফেরদের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। কারণ, এর মধ্যে ছিল কূটনৈতিক সম্পর্কসহ পরস্পরের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বময় ইসলাম প্রচার, দুর্যোগপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোয় সাহায্য-সহযোগিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তাদের বেশ সুনাম রয়েছে। সেই সুনামকে আরও বড় করে নিতে পারত দরিদ্র মুসলিম দেশের এই আট নাগরিককে ক্ষমা করে দিয়ে। বাংলাদেশের গরিব মানুষ ওই দেশে কাজ করতে যায় জীবিকার তাগিদে। জীবিকা অর্জনকে ইসলাম অন্যভাবে দেখে। তাই তো অভ্যাসগত চোরকে ইসলাম হাত কাটতে বলেছে; জঠর জ্বালা মেটানো চোরের নয়।
muftianaet@gmail.com
এ জন্য তিনি দয়া এবং ক্ষমার আদর্শকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে এই মহৎ গুণ বিকাশের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এই গুণ মানুষকে কেবল মহান হিসেবে পরিচিত করে না বরং তিনি অন্যের কাছে হয়ে ওঠেন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। আল্লাহতায়ালার একটি গুণবাচক নাম হলো, আর রাহমান বা পরম দয়ালু। তাঁর দয়ার মহাসমুদ্র থেকে একবিন্দু দয়া তিনি বান্দাদের দান করেছেন। এ জন্যই অপরের প্রতি দয়া দেখানো মানুষের একটি অপরিহার্য ও অনন্য বৈশিষ্ট্য। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'আর ইবাদত কর আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে। পিতামাতার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্মীয়, এতিম-মিসকিন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে।' ৪ :৩৬
আল্লাহতায়ালা গাফুরুর রাহিম বা ক্ষমাশীল। তাই মানুষকেও ক্ষমাশীল হতে হবে। সব ধরনের লোভ, অহঙ্কার, প্রতিশোধস্পৃৃহা এবং প্রতিহিংসার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। এসব একজন মানুষকে করে তোলে হিংস্র ও পাশবিক। এরা কখনোই মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি লাভ করে না। এরা যেমন কাউকে ক্ষমা করতে পারে না, তেমনি পারে না উদার হতে। ইসলাম মানুষকে ক্ষমা করতে শেখায়। আমাদের নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বহু ত্যাগ, কষ্ট, অত্যাচার, নির্যাতন ও অমানবিক ক্লেশ সহ্য করেছেন। আর এ সবকিছুই তিনি সহ্য করেছেন হাসিমুখে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়েও তিনি তাঁর প্রতি যারা অত্যাচার করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ক্ষমার আদর্শ স্থাপন না করে তিনি যদি প্রতিশোধ নিতেন তাহলে ধর্ম হিসেবে ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করত না। ইসলাম মানুষের মন জয় করতে পারত না এবং ইসলামের সৌন্দর্যও মানুষ উপলব্ধি করার সুযোগ পেত না। ইসলামের সৌন্দর্যবোধ এখানেই। মুসলিম দেশ ও মুসলিম সমাজে যতই এর চর্চা হবে ততই ইসলামী আদর্শের ঝাণ্ডা উঁচু থেকে উঁচুতর হতে থাকবে।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ক্ষমার এ আদর্শ কতটা অনুসরণ করা হচ্ছে? ২০০৭ সালে সংঘটিত ডাকাতির অভিযোগে গত সপ্তাহে সৌদি আরবে আট প্রবাসী বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। রাজধানী রিয়াদে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পত্রিকার খবরে প্রকাশ, আরও চার বাংলাদেশি অন্য একটি মামলায় শিরশ্ছেদের হুকুম মাথায় নিয়ে সৌদি কারাগারে আছে। সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থায় মূলত শরিয়ার আইন অনুসরণ করা হয়। শরিয়া আইনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় যথেষ্ট সুযোগ আছে। কিন্তু বাংলাদেশিদের বিচারের ক্ষেত্রে সে সুযোগ কতটা কাজে লাগানো হয়েছে সে প্রশ্ন দেশে-বিদেশে উঠছে। পাশাপাশি আইন যেন সবার জন্য সমানভাবে প্রযুক্ত হয় কি-না সে প্রশ্নও আছে। সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থায় শরিয়ার নীতিমালা যথাযথভাবে মানা হয়েছে কি-না তাই বিবেচ্য বিষয়।
আট বাংলাদেশির ক্ষেত্রে যে নির্মমতার প্রকাশ ঘটেছে তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে অন্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে। আজ বাংলাদেশ যদি প্রভাবশালী কোনো রাষ্ট্র হতো তাহলে হয়তো অভিযুক্তরা ক্ষমাও পেতে পারত! যেমনটি আমরা দেখেছি ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম স্যাম্পসনের ক্ষেত্রে। ২০০০ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবৃত্তির মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ আনা হলেও ব্রিটিশ সরকারের চাপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন আরও উদাহরণ আছে। সে হিসেবে বলা যায়, হয়তো সৌদি আরবে বিচারের ক্ষেত্রে শ্রেণী, দেশ ও জাতপাতের প্রতি খেয়াল করা হয়। অথচ শরিয়া আইনের মাধ্যমে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের পক্ষপাতের কোনো সুযোগ নেই।
হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে শরিয়া আইনে ক্ষমাপ্রার্থনা ও ক্ষমা করার সুযোগ আছে। নিহতের পরিবার যদি হত্যার দায়ে অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেয়, তবে আদালত ও রাষ্ট্র তাকে ক্ষমা করে দিতে পারে। বাংলাদেশের দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকরা ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। আমাদের রাষ্ট্রপতিও ক্ষমার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমা মেলেনি। বন্ধুভাবাপন্ন দেশ হিসেবে ক্ষমাপ্রার্থনার প্রচেষ্টায় সৌদি আরব যুক্ত হতে পারত। তাহলে হয়তো বাংলাদেশিরা বেঁচে যেতে পারত। সৌদি সরকারের কাছে বাংলাদেশ এমনই আশা করে থাকে। আমরা জানি, শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে একজন মুসলিমকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কার কাফেরদের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। কারণ, এর মধ্যে ছিল কূটনৈতিক সম্পর্কসহ পরস্পরের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বময় ইসলাম প্রচার, দুর্যোগপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোয় সাহায্য-সহযোগিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তাদের বেশ সুনাম রয়েছে। সেই সুনামকে আরও বড় করে নিতে পারত দরিদ্র মুসলিম দেশের এই আট নাগরিককে ক্ষমা করে দিয়ে। বাংলাদেশের গরিব মানুষ ওই দেশে কাজ করতে যায় জীবিকার তাগিদে। জীবিকা অর্জনকে ইসলাম অন্যভাবে দেখে। তাই তো অভ্যাসগত চোরকে ইসলাম হাত কাটতে বলেছে; জঠর জ্বালা মেটানো চোরের নয়।
muftianaet@gmail.com
No comments