চট্টগ্রামে রোড মার্চের তোরণে আগুন
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রামে চারদলীয় জোটের রোড মার্চ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টাঙানো তোরণগুলো শনিবার গভীর রাতে কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। কয়েক জায়গায় পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর দলীয় কার্যালয় নূর আহমেদ সড়কের নাসিমন ভবনে জরুরি সংবাদ পৃষ্ঠা ৫ কলাম ১
সম্মেলন ডাকে নগর বিএনপির নেতারা।
এতে রোড মার্চ বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। বলেছেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে একযোগে রোড মার্চের এসব ব্যানার, বিলবোর্ড খুলে ফেলা ও তোরণে আগুন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
নেতা-কর্মীরা আরও জানান, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক। যা সব মতাদর্শের লোকজনের মনে অসন্তোষ তৈরি করবে। এতে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, শামসুল আলম, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিমুদ্দিন, বিএনপি নেতা এম সবুর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার জনগণের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত। কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই বিএনপির শান্তিপূর্ণ রোড মার্চ বানচাল করতে বেছে নিয়েছে ষড়যন্ত্র। রাতের আঁধারে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। পুলিশ দিয়ে বিশেষ অভিযানের নামে আমাদের ৩০০ কর্মী সমর্থককে ধরে নিয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, শনিবার রাত দেড়টায় আমার বাসার সামনে তৈরি করা একটি তোরণ কে বা কারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসন্ন রোড মার্চ উপলক্ষে মেহেদীবাগের বাসার সামনে এই তোরণটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাতে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির প্রহরীরা ছুটে এসে আগুন নেভায়। সকাল হলেই জানতে পারি এভাবে পুরো নগরীর সব তোরণ সরাতে কাজ করেছে সন্ত্রাসীরা। দেশের মানুষ কি এসব ষড়যন্ত্র বোঝে না। জনগণকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। আমীর খসরু ঘটনার সময় তোরণের আলোকসজ্জার জন্য লাগানো বাতিগুলো ভেঙে ফেলার কথাও জানান। একইসঙ্গে ব্যানারে লাগানো খালেদা জিয়ার ছবি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা রোড মার্চের আগে পুলিশের একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের আড়ালে নগরী ও তার বাইরের থানা থেকে নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী থেকে বেছে বেছে প্রচুরসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে- যাতে এসব সক্রিয় কর্মী রোড মার্চেও কোন কাজে অংশ নিতে না পারে। বিএনপি সরকারের এসব ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
খালেদার জনসভা
পলোগ্রাউন্ড মাঠে
ওদিকে নির্ধারিত হলো খালেদা জিয়ার জনসভাস্থল। রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে চিঠি দিয়ে ও তার সঙ্গে দেখা করার পর অবশেষে নগরীর রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড মাঠকে রোড মার্চের জনসভা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ চট্টগ্রামের নেতারা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ বেশ কয়েকজন নেতা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাদের কথা শোনেন, পরে পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ করার অনুমতির কথা জানান।
ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে রোড মার্চের প্রস্তুতি উপলক্ষে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী ৮ ও ৯ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখী রোড মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
কিন্তু এর পরপরই বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যান চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা। রোড মার্চের দিনক্ষণ ঠিক হলেও চূড়ান্ত করতে পারেননি নেত্রীর সমাবেশস্থল। নগরীর বেশ কয়েকটি জায়গা জনসভার জন্য নির্ধারণ করার পর সেখানে অনুমতি নেয়া নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।
গতকাল সন্ধ্যায় নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনসভাস্থলের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি মানবজমিনের কাছে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ (রোববার) বিকাল সাড়ে ৩টায় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ঢাকার বিএনপি নেতারা। পরে তারা টেলিফোনে অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।
তিনি সমাবেশস্থলের অনুমতির বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনসভাস্থলের জায়গায় মেলা করতে পারলে আমরা কেন সমাবেশ করতে পারবো না? তবে দেরি হলেও রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
সম্মেলন ডাকে নগর বিএনপির নেতারা।
এতে রোড মার্চ বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। বলেছেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে একযোগে রোড মার্চের এসব ব্যানার, বিলবোর্ড খুলে ফেলা ও তোরণে আগুন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
নেতা-কর্মীরা আরও জানান, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক। যা সব মতাদর্শের লোকজনের মনে অসন্তোষ তৈরি করবে। এতে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, শামসুল আলম, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিমুদ্দিন, বিএনপি নেতা এম সবুর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার জনগণের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত। কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই বিএনপির শান্তিপূর্ণ রোড মার্চ বানচাল করতে বেছে নিয়েছে ষড়যন্ত্র। রাতের আঁধারে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। পুলিশ দিয়ে বিশেষ অভিযানের নামে আমাদের ৩০০ কর্মী সমর্থককে ধরে নিয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, শনিবার রাত দেড়টায় আমার বাসার সামনে তৈরি করা একটি তোরণ কে বা কারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসন্ন রোড মার্চ উপলক্ষে মেহেদীবাগের বাসার সামনে এই তোরণটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাতে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির প্রহরীরা ছুটে এসে আগুন নেভায়। সকাল হলেই জানতে পারি এভাবে পুরো নগরীর সব তোরণ সরাতে কাজ করেছে সন্ত্রাসীরা। দেশের মানুষ কি এসব ষড়যন্ত্র বোঝে না। জনগণকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। আমীর খসরু ঘটনার সময় তোরণের আলোকসজ্জার জন্য লাগানো বাতিগুলো ভেঙে ফেলার কথাও জানান। একইসঙ্গে ব্যানারে লাগানো খালেদা জিয়ার ছবি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা রোড মার্চের আগে পুলিশের একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের আড়ালে নগরী ও তার বাইরের থানা থেকে নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী থেকে বেছে বেছে প্রচুরসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে- যাতে এসব সক্রিয় কর্মী রোড মার্চেও কোন কাজে অংশ নিতে না পারে। বিএনপি সরকারের এসব ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
খালেদার জনসভা
পলোগ্রাউন্ড মাঠে
ওদিকে নির্ধারিত হলো খালেদা জিয়ার জনসভাস্থল। রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে চিঠি দিয়ে ও তার সঙ্গে দেখা করার পর অবশেষে নগরীর রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড মাঠকে রোড মার্চের জনসভা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ চট্টগ্রামের নেতারা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ বেশ কয়েকজন নেতা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাদের কথা শোনেন, পরে পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ করার অনুমতির কথা জানান।
ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে রোড মার্চের প্রস্তুতি উপলক্ষে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী ৮ ও ৯ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখী রোড মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
কিন্তু এর পরপরই বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যান চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা। রোড মার্চের দিনক্ষণ ঠিক হলেও চূড়ান্ত করতে পারেননি নেত্রীর সমাবেশস্থল। নগরীর বেশ কয়েকটি জায়গা জনসভার জন্য নির্ধারণ করার পর সেখানে অনুমতি নেয়া নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।
গতকাল সন্ধ্যায় নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনসভাস্থলের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি মানবজমিনের কাছে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ (রোববার) বিকাল সাড়ে ৩টায় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ঢাকার বিএনপি নেতারা। পরে তারা টেলিফোনে অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।
তিনি সমাবেশস্থলের অনুমতির বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনসভাস্থলের জায়গায় মেলা করতে পারলে আমরা কেন সমাবেশ করতে পারবো না? তবে দেরি হলেও রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
No comments