অস্ট্রেলিয়া-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট-সিডনি ম্যাজিকের অপেক্ষায় ভারত
চার বছর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এ সময়েই শুরু হয়েছিল কুখ্যাত সেই টেস্ট ম্যাচ, যেটি বিতর্কিত হয়ে আছে মাঙ্কিগেট কেলেঙ্কারির জন্য। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, বর্ণবাদী আচরণ, অতিরিক্ত আউটের আবেদন আর বাজে ব্যবহারের জন্য ক্রিকেট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সেই টেস্ট ম্যাচটি 'কুখ্যাত' হয়েই থাকবে। দুই খলনায়ক ভারতের হরভজন সিং কিংবা অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের কেউই এবার দলে নেই। ওই টেস্ট পরিচালনায় দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ
হওয়া দুই আম্পায়ার মার্ক বেনসন এবং স্টিভ বার্কনারও অবসরে। চার বছর পর আবারও একই ভেন্যুতে সম্পূর্ণ বিতর্ক আর কেলেঙ্কারিমুক্ত একটি টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে আজ। দুই প্রতিপক্ষের নাম অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত।
সূর্যের দেখা নেই সিডনির আকাশে। গত পাঁচ দিন কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা। আজ সকালে যখন মাইকেল ক্লার্ক আর মহেন্দ্র সিং ধোনি টস করতে নামবেন, তখনও সূর্য হাসবে কি-না সন্দেহ। সূর্য হাসুক আর না হাসুক, ব্যাটিংয়ের সব অন্ধকার দূরে ঠেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েই আজ মাঠে নামছে ধোনির দল। ভারতীয়দের সামনে একটাই প্রেরণা, এখানকার পুরনো স্মৃতি। গত ১৫ বছরে অবশ্য এ মাঠে এক ইংল্যান্ড ছাড়া আর কারও কাছে হারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবুও দুই ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার আর ভিভিএস লক্ষ্মণের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ইতিহাসই স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতীয়দের। শততম টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের সামনে দাঁড়িয়ে সিডনি। এখানেই শততম প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি আবারও হতে চলেছে! সিডনি কি এক সেঞ্চুরির উদযাপন আরেক সেঞ্চুরি দিয়ে করবে? জবাব মিলবে আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় টসের পর থেকে। অপেক্ষায় পুরো ভারতবর্ষ। একই সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাখো-কোটি শচীনভক্ত। মাঠের ইতিহাস বলছে, সিডনিই হতে পারে সেই লাকি গ্রাউন্ড, যেখানে শচীন তার শততম সেঞ্চুরিটি উদযাপনের জন্য প্রয়াত বাবার উদ্দেশ্যে ব্যাট তুলে ধরবেন আকাশ পানে। শচীনের এ সেঞ্চুরিকেই এখন যত ভয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। ইতিহাস যদি কথা বলে তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতও। এই মাঠে শচীনের ব্যাটিং গড় ২২১-এর উপরে, লক্ষ্মণের গড় ৯৬। চার বছর আগে বিতর্কিত সেই ম্যাচে শচীন এবং লক্ষ্মণ দু'জনই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা যে ফর্মে আছেন তাতে কথা কিন্তু থেকেই যায়। মেলবোর্নে সিডল, প্যাটিনসন আর হিলফেনহাস মিলে যে তোপের আগুন ছড়িয়েছিলেন ভারতীয়দের ওপর, সেই শঙ্কা সিডনিতেও থাকছে। এই মাঠের উইকেটের বৈশিষ্ট্য খুব গতিময়, তবে বাউন্স কম। যে কারণে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হতো অনেক; কিন্তু সময় বদলেছে অনেক। কিউরেটর টম পার্কারের কথা যদি বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কপালে দুঃখ আছে বলতে হবে। টম পার্কার জানিয়েছেন, 'ইংলিশ সিম এবং সুইং কন্ডিশনের সঙ্গে মিল রেখে সিডনির উইকেট অনেক বদলে ফেলা হয়েছে। সুতরাং গতবারের মতো এবারও এই উইকেটে রান তোলা খুব কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রথমে যারা ব্যাটিং করবেন তাদের জন্য। পুরোটাকেই বলা যায় সিমার ফ্রেন্ডলি উইকেট।' স্বাগতিক ব্যাটসম্যান মাইক হাসিও শঙ্কিত 'সিমার ফ্রেন্ডলি' উইকেট বলে, 'এমন উইকেটে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।'
বক্সিং ডে টেস্ট জয়ী দলের পুরো একাদশই রেখে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর অর্থ রায়ান হ্যারিসকে রাখা হয়নি। নাথান লিয়নকে আরও একটি সুযোগ দেওয়া হলো নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। স্বাগতিকরা সেরা একাদশ ঠিক করে ফেললেও, ভারত এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মেলবোর্নের একাদশে একটিই পরিবর্তন আসতে পারে। সেটি বিরাট কোহলি। তাকে বাদ দিয়ে রোহিত শর্মাকে অভিষেক করানো হতে পারে আজ। জহির খান, ইশান্ত শর্মা আর উমেশ যাদবকে দিয়েই সাজানো হয়েছে বোলিং অ্যাটাক। সঙ্গে থাকছেন স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন। মেলবোর্নে ১২২ রানে জয়ের পর বোলারদের ওপর আস্থা রেখেই অস্ট্রেলিয়ানরা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, তারা সিরিজ জিতবে ৪-০ ব্যবধানে। এমন কথার জবাবটা খুব ভালোভাবেই দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক ধোনি, 'কেউ যদি ভাবে যে ভারত শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তিনি ভুল করবেন।'
সূর্যের দেখা নেই সিডনির আকাশে। গত পাঁচ দিন কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা। আজ সকালে যখন মাইকেল ক্লার্ক আর মহেন্দ্র সিং ধোনি টস করতে নামবেন, তখনও সূর্য হাসবে কি-না সন্দেহ। সূর্য হাসুক আর না হাসুক, ব্যাটিংয়ের সব অন্ধকার দূরে ঠেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েই আজ মাঠে নামছে ধোনির দল। ভারতীয়দের সামনে একটাই প্রেরণা, এখানকার পুরনো স্মৃতি। গত ১৫ বছরে অবশ্য এ মাঠে এক ইংল্যান্ড ছাড়া আর কারও কাছে হারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবুও দুই ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার আর ভিভিএস লক্ষ্মণের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ইতিহাসই স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতীয়দের। শততম টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের সামনে দাঁড়িয়ে সিডনি। এখানেই শততম প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি আবারও হতে চলেছে! সিডনি কি এক সেঞ্চুরির উদযাপন আরেক সেঞ্চুরি দিয়ে করবে? জবাব মিলবে আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় টসের পর থেকে। অপেক্ষায় পুরো ভারতবর্ষ। একই সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাখো-কোটি শচীনভক্ত। মাঠের ইতিহাস বলছে, সিডনিই হতে পারে সেই লাকি গ্রাউন্ড, যেখানে শচীন তার শততম সেঞ্চুরিটি উদযাপনের জন্য প্রয়াত বাবার উদ্দেশ্যে ব্যাট তুলে ধরবেন আকাশ পানে। শচীনের এ সেঞ্চুরিকেই এখন যত ভয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। ইতিহাস যদি কথা বলে তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতও। এই মাঠে শচীনের ব্যাটিং গড় ২২১-এর উপরে, লক্ষ্মণের গড় ৯৬। চার বছর আগে বিতর্কিত সেই ম্যাচে শচীন এবং লক্ষ্মণ দু'জনই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা যে ফর্মে আছেন তাতে কথা কিন্তু থেকেই যায়। মেলবোর্নে সিডল, প্যাটিনসন আর হিলফেনহাস মিলে যে তোপের আগুন ছড়িয়েছিলেন ভারতীয়দের ওপর, সেই শঙ্কা সিডনিতেও থাকছে। এই মাঠের উইকেটের বৈশিষ্ট্য খুব গতিময়, তবে বাউন্স কম। যে কারণে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হতো অনেক; কিন্তু সময় বদলেছে অনেক। কিউরেটর টম পার্কারের কথা যদি বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কপালে দুঃখ আছে বলতে হবে। টম পার্কার জানিয়েছেন, 'ইংলিশ সিম এবং সুইং কন্ডিশনের সঙ্গে মিল রেখে সিডনির উইকেট অনেক বদলে ফেলা হয়েছে। সুতরাং গতবারের মতো এবারও এই উইকেটে রান তোলা খুব কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রথমে যারা ব্যাটিং করবেন তাদের জন্য। পুরোটাকেই বলা যায় সিমার ফ্রেন্ডলি উইকেট।' স্বাগতিক ব্যাটসম্যান মাইক হাসিও শঙ্কিত 'সিমার ফ্রেন্ডলি' উইকেট বলে, 'এমন উইকেটে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।'
বক্সিং ডে টেস্ট জয়ী দলের পুরো একাদশই রেখে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর অর্থ রায়ান হ্যারিসকে রাখা হয়নি। নাথান লিয়নকে আরও একটি সুযোগ দেওয়া হলো নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। স্বাগতিকরা সেরা একাদশ ঠিক করে ফেললেও, ভারত এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মেলবোর্নের একাদশে একটিই পরিবর্তন আসতে পারে। সেটি বিরাট কোহলি। তাকে বাদ দিয়ে রোহিত শর্মাকে অভিষেক করানো হতে পারে আজ। জহির খান, ইশান্ত শর্মা আর উমেশ যাদবকে দিয়েই সাজানো হয়েছে বোলিং অ্যাটাক। সঙ্গে থাকছেন স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন। মেলবোর্নে ১২২ রানে জয়ের পর বোলারদের ওপর আস্থা রেখেই অস্ট্রেলিয়ানরা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, তারা সিরিজ জিতবে ৪-০ ব্যবধানে। এমন কথার জবাবটা খুব ভালোভাবেই দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক ধোনি, 'কেউ যদি ভাবে যে ভারত শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তিনি ভুল করবেন।'
No comments