কুয়ালালামপুরের একটি ফ্ল্যাটে আছেন নুরুল ও মোবারক by হায়দার আলী
নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেনকে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মোবারক হোসেন মোবা ও নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁরা লোকমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। শহরের পূর্ব দত্তপাড়ার (বেপারীপাড়া) দুর্ধর্ষ ডাকাত সুমন ওরফে হামজার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মজিদ ইন্ডিয়ার সানওয়ে লেগুনপার্কের বাড়িতে উঠেছেন এ দুজন।
সুমন ওরফে হামজা লোকমান হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকারের বিয়াই। মেয়র লোকমান নিহত হওয়ার আগেই মোবারক ও নুরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে যান।
মোবারক হোসেন মোবা শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং নুরুল ইসলাম সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দুজনের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লোকমান হত্যার আগেই ডাকাত সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবারক নিরাপদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে মালয়েশিয়া থেকে একটি সূত্র কালের কণ্ঠকে জানায়।
মালয়েশিয়ায় মোবারক ও নুরুল ইসলামের আশ্রয়দাতা সুমন ওরফে হামজা ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরার অন্যতম সহযোগী ছিলেন সুমন। মালয়েশিয়ায় তিনি বাংলা মাফিয়া নামে পরিচিত। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে মালয়েশিয়ায়ও এক বছর জেল খাটেন তিনি; এ খবর সে দেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সুমন দত্তপাড়ার আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে। মোবারক হোসেন মোবার ফুফাতো বোন জাহানারা বেগমের ছেলে সুমন ওরফে হামজা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দত্তপাড়ার সুমনের এক আত্মীয় বলেন, লোকমান হত্যার আগেই মালয়েশিয়ায় গিয়ে সুমনের ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন মোবারক ও নুরুল ইসলাম। মতিন সরকার তাঁদের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, মোবারক মালয়েশিয়া গেলে আবদুল মতিন সরকার তাঁর বিয়াই সুমনকে সহযোগিতা করতে বলেন। মোবারক একাধিকবার মালয়েশিয়ায় গিয়ে সুমনের সঙ্গে লোকমান হত্যার বিষয়ে কথা বলেন। সুমনের কাছ থেকে মালয়েশিয়ায় নিরাপদে থাকার আশ্বাস পেয়ে সহযোগীদের নিয়ে লোকমান হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। খুনিদের ভাড়া এবং অগ্রিম কয়েক লাখ টাকা পরিশোধ করে খুনের কয়েক দিন আগে মোবারক ও নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় চলে যান।
মালয়েশিয়ার সূত্র জানায়, মোবারক হোসেন মোবা ও নুরুল ইসলাম কুয়ালালামপুর সানওয়ে লেগুনপার্কের বাড়িতে রাত কাটালেও আড্ডা দিতেন মজিদ ইন্ডিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে। বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই হাজি সেলিমকে টঙ্গী থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর মোবারক ও নুরুল ইসলাম ওই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। মালয়েশীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন সুমন। তাঁর শ্বশুর ও সম্বন্ধী মালয়েশিয়া পুলিশের বড় কর্মকর্তা। তাঁদের সহযোগিতায় মোবারক ও নুরুল ইসলাম নিরাপদে অবস্থান করছেন বলে সুমনের মালয়েশীয় কয়েকজন প্রতিবেশী কালের কণ্ঠকে জানান।
রাশেদা সোপ ফ্যাক্টরির মালিক নরসিংদীর বিশিষ্ট শিল্পপতি মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, '১৯৯৩ সালে নাগরিয়াকান্দিতে আমার শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতি করে সুমন। ৭০ ভরি স্বর্ণ ও লাইসেন্স করা একটি রিভলবার লুট করে নিয়ে যায় সে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুমনকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় সুমনের সাত বছরের সাজা হয়। সেই থেকে সুমন মালয়েশিয়ায়।'
গত ১ নভেম্বর নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহামেদ বাচ্চু, তাঁর সহকারী একান্ত সচিব মাসুদুর রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজউদ্দিন ভুঁইয়া ও মোবারক হোসেন মোবাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ এরই মধ্যে আবদুল মতিন সরকার, তাঁর ছোট ভাই আশরাফ হোসেন সরকার, টিপ্পন কাজী ও হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে। অবশ্য মতিন সরকারের আটকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।
মামলার বাদী কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ চাইলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের মালয়েশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে আনতে পারবে। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মামলাটি তদারকি করছেন, সেহেতু সমস্যা হবে না।'
মোবারক হোসেন মোবা শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং নুরুল ইসলাম সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দুজনের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লোকমান হত্যার আগেই ডাকাত সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবারক নিরাপদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে মালয়েশিয়া থেকে একটি সূত্র কালের কণ্ঠকে জানায়।
মালয়েশিয়ায় মোবারক ও নুরুল ইসলামের আশ্রয়দাতা সুমন ওরফে হামজা ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরার অন্যতম সহযোগী ছিলেন সুমন। মালয়েশিয়ায় তিনি বাংলা মাফিয়া নামে পরিচিত। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে মালয়েশিয়ায়ও এক বছর জেল খাটেন তিনি; এ খবর সে দেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সুমন দত্তপাড়ার আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে। মোবারক হোসেন মোবার ফুফাতো বোন জাহানারা বেগমের ছেলে সুমন ওরফে হামজা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দত্তপাড়ার সুমনের এক আত্মীয় বলেন, লোকমান হত্যার আগেই মালয়েশিয়ায় গিয়ে সুমনের ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন মোবারক ও নুরুল ইসলাম। মতিন সরকার তাঁদের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, মোবারক মালয়েশিয়া গেলে আবদুল মতিন সরকার তাঁর বিয়াই সুমনকে সহযোগিতা করতে বলেন। মোবারক একাধিকবার মালয়েশিয়ায় গিয়ে সুমনের সঙ্গে লোকমান হত্যার বিষয়ে কথা বলেন। সুমনের কাছ থেকে মালয়েশিয়ায় নিরাপদে থাকার আশ্বাস পেয়ে সহযোগীদের নিয়ে লোকমান হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। খুনিদের ভাড়া এবং অগ্রিম কয়েক লাখ টাকা পরিশোধ করে খুনের কয়েক দিন আগে মোবারক ও নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় চলে যান।
মালয়েশিয়ার সূত্র জানায়, মোবারক হোসেন মোবা ও নুরুল ইসলাম কুয়ালালামপুর সানওয়ে লেগুনপার্কের বাড়িতে রাত কাটালেও আড্ডা দিতেন মজিদ ইন্ডিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে। বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই হাজি সেলিমকে টঙ্গী থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর মোবারক ও নুরুল ইসলাম ওই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। মালয়েশীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন সুমন। তাঁর শ্বশুর ও সম্বন্ধী মালয়েশিয়া পুলিশের বড় কর্মকর্তা। তাঁদের সহযোগিতায় মোবারক ও নুরুল ইসলাম নিরাপদে অবস্থান করছেন বলে সুমনের মালয়েশীয় কয়েকজন প্রতিবেশী কালের কণ্ঠকে জানান।
রাশেদা সোপ ফ্যাক্টরির মালিক নরসিংদীর বিশিষ্ট শিল্পপতি মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, '১৯৯৩ সালে নাগরিয়াকান্দিতে আমার শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতি করে সুমন। ৭০ ভরি স্বর্ণ ও লাইসেন্স করা একটি রিভলবার লুট করে নিয়ে যায় সে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুমনকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় সুমনের সাত বছরের সাজা হয়। সেই থেকে সুমন মালয়েশিয়ায়।'
গত ১ নভেম্বর নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহামেদ বাচ্চু, তাঁর সহকারী একান্ত সচিব মাসুদুর রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজউদ্দিন ভুঁইয়া ও মোবারক হোসেন মোবাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ এরই মধ্যে আবদুল মতিন সরকার, তাঁর ছোট ভাই আশরাফ হোসেন সরকার, টিপ্পন কাজী ও হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে। অবশ্য মতিন সরকারের আটকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।
মামলার বাদী কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ চাইলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের মালয়েশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে আনতে পারবে। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মামলাটি তদারকি করছেন, সেহেতু সমস্যা হবে না।'
No comments