আদিতমারীতে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিককে জবাই করে হত্যা

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রজবপাড়া গ্রামে দিনেদুপুরে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন প্রেমিককে জবাই করে হত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার প্রেমিকার বাড়িতে এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার নেপথ্যে সহযোগিতার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ঘটনার পরপরই প্রেমিকাসহ তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।


খবর পেয়ে আদিতমারী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টও চলে এসেছে পুলিশের কাছে। পুলিশ জানায়, রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রেমিকা কিংবা তার পরিবারের লোকজনকে আটক করতে পারলে খুনের প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রজবপাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের কলেজপড়ুয়া মেয়ে রুমী বেগমের (২২) সঙ্গে সাপ্টাবাড়ী ইউনিয়নের রইচবাগ গ্রামের জাহাঙ্গীরের (২৮) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক জাহাঙ্গীর প্রেমিকা রুমীর সঙ্গে দেখা করতে তাদের রজবপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। এতে রুমীর বাবা মমতাজ উদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়ে জাহাঙ্গীরকে আটক করে রাখেন। এ নিয়ে রাতে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মজিদ ওরফে হোছতসহ বাড়ির লোকজন স্থানীয় পর্যায়ে একটি সালিস বৈঠক করে। পরে সালিস বৈঠকের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন প্রেমিক জাহাঙ্গীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। জাহাঙ্গীরের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
তবে লাশের পাশে পড়ে থাকা ধান কাটার কাস্তেতে কোন রক্ত না থাকায় দেখতে আসা স্থানীয় এলাকাবাসী একে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে।
বৃহস্পতিবার রাতের সালিস বৈঠক ও এ কাজে সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আবদুল মজিদ। আদিতমারী থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই আবদুল মান্নান বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট মতে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, ওই ইউপি সদস্যকে সালিস বৈঠকের বিষয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.