গল্প অন্তরাল-সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছি

জ রাত ৮টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে রয়েছে আশরাফুল আলম রিপনের পরিচালনায় এক ঘণ্টার ধারাবাহিক নাটক 'বন্ধুতা'। আজ অন্তরালের গল্প বলেছেন এ নাটকের অভিনেত্রী তৃষা।রিপন ভাইয়া চার-পাঁচ মাস আগে হঠাৎ ফোন করে বললেন, 'সমাজ সচেতনতামূলক ছোট ছোট গল্প নিয়ে এক ঘণ্টার ধারাবাহিক নির্মাণ করতে চাই।' নাটকের গল্প এবং চরিত্র শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি রাজি হয়ে গেলাম। নাটকে আমার চরিত্রের নাম অহনা।


এখানে আমি একজন সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূল নাটকের শুটিং শুরু হয় আগস্ট মাসে। প্রথম দিন থেকেই অনেক দুষ্টুমি ও আড্ডার মধ্য দিয়ে সময় কাটত। প্রায়ই নাটকের গল্পে নতুন চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে। আমরা যে বাড়িটিতে শুটিং করেছিলাম, ওই বাড়ির মালিকের নাম আলমগীর। তাঁর অনেক ইচ্ছা ছিল এ নাটকে অভিনয় করার। রিপন ভাই তাঁকে আমাদের সঙ্গে একটি পুলিশের দৃশ্যে অভিনয়ের সুযোগ করে দিলেন। এরপর ঘটে মজার কিছু ঘটনা। নাটকে আমরা তিনজনের একটি দল। আমি সাংবাদিক, অন্যরা ডাক্তার ও ডিবি পুলিশ। সমাজে অপচিকিৎসা দূরীকরণে কাজ করছি। ডিবি পুলিশের সঙ্গে এলাকার লোকাল পুলিশের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান আলমগীর ভাই। কিন্তু যখনই সংলাপ বলতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখনই সব উল্টাপাল্টা করে ফেলেন। তাঁর সংলাপ ছিল, 'স্যার, আপনারা ঢাকায় চলে যান, এদিকে সব কিছু আমি সামলে নেব।' এই সংলাপ বলতে গিয়ে তিনি বলে ফেললেন, 'স্যার ও মেম, আপনারা এখানে থাকেন, আমি ঢাকা চলে যাই।' এ নিয়ে সে কী হাসাহাসি! এরপর অন্য একজনকে তাঁর পরিবর্তে অভিনয় করাতে বাধ্য হলেন পরিচালক।
নাটকে আমরা ভণ্ড পীর বাবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমাজ সচেতনতার জন্য কাজ করেছি। গ্রামের অনেকেই ভণ্ড পীর বাবার কাছে গিয়ে সর্বস্ব হারায়। মূলত এ অসচেতনতার বিরুদ্ধেই আমার চরিত্রটি।
অনুলিখন : কামরুজ্জামান মিলু
« পূর্ববর্তী সংবাদ
   

No comments

Powered by Blogger.