আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা যেন নাজুক না হয়-শেয়ারবাজারে গতি ফেরানো
প্রায় তলানিতে এসে ঠেকা পুঁজিবাজার উদ্ধার করতে অবশেষে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হলো। তাঁর সভাপতিত্বে গত বুধবার রাতে আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর বাজারে গতি ফেরানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কী কী করা হবে, সে বিষয়ে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেছে, তাতে আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি উদ্বিগ্ন হওয়ারও কারণ আছে বৈকি। বিশেষত, দেশের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই একটা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে। আর এই সংকটের অন্যতম উৎস হলো আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সরকারের দুর্বলতা। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী যখন শেয়ারবাজার নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন, তখন এর পরিধিটা পুঁজিবাজারের মধ্যেই সীমিত থাকে না। বরং বৃহত্তর আর্থিক খাতকেই বিবেচনায় নিতে হয়।
শেয়ারবাজারে গতি ফেরানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ যা-ই নেওয়া হোক না কেন, সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হলো বাজারের প্রতি আস্থা ফেরানো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক যে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে, তা মনস্তাত্ত্বিকভাবে একটি বিরাট আশঙ্কা তৈরি করেছে। বাজার এখন যে জায়গায় আছে, তা দীর্ঘমেয়াদি ও প্রকৃত বিনিয়োগের একটি ভালো সময় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আর এই বিনিয়োগটা প্রথমত করতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। আরও কমলে পরে তারা কিনবে বা বিনিয়োগ করবে—এটা কোনোভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাজ হতে পারে না। বরং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারকে কিছুদিন স্থিতিশীল পর্যায়ে ধরে রেখে আস্থা ফেরানো জরুরি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন আবার বিনিয়োগের জন্য নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে এবং নীতি-বিধিতে ছাড় চাইছে। সুদূরপ্রসারী ও যৌক্তিক বিবেচনায় সতর্কতার সঙ্গে এসব শর্ত ও ছাড় দিতে হবে। কেননা, এসব ছাড় আর্থিক খাতের শৃঙ্খলাকে নাজুক করে দিতে পারে, যার নেতিবাচক প্রভাব হবে অনেক ভয়াবহ। যেমন, প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর হ্রাস বা পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্টতার সীমা নির্ধারণ পদ্ধতির পরিবর্তন। একইভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে মুদ্রানীতি শিথিলের পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই রাজস্ব নীতি দিয়ে সমন্বয় করতে হবে। শেয়ারবাজারকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে চলবে না। এই বাজার আর্থিক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাজেই একটা অংশে বা উপখাতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে অন্য অংশের ভারসাম্য অটল থাকবে—এটা ভাবা যাবে না। একইভাবে অন্য উপখাত থেকে এসে আরেকটির বা শেয়ারবাজারের ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে গিয়ে নতুনভাবে আরেকটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে—সেটাও কাম্য নয়।
শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা সরকারের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে একটি সুযোগও। যদি নীতিনির্ধারকেরা দক্ষতার সঙ্গে সুসমন্বয় করে সামনে অগ্রসর হতে পারেন, তাহলে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন কাজ হবে না। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরী মনে রাখতে হবে, এটা ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। গুজবে কান দিয়ে এবং প্রলুব্ধ হয়ে নিজের সক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে ধার-কর্জ করে বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়ার দায় নিজেদেরই নিতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছেন বা বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে।
শেয়ারবাজারে গতি ফেরানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ যা-ই নেওয়া হোক না কেন, সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হলো বাজারের প্রতি আস্থা ফেরানো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক যে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে, তা মনস্তাত্ত্বিকভাবে একটি বিরাট আশঙ্কা তৈরি করেছে। বাজার এখন যে জায়গায় আছে, তা দীর্ঘমেয়াদি ও প্রকৃত বিনিয়োগের একটি ভালো সময় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আর এই বিনিয়োগটা প্রথমত করতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। আরও কমলে পরে তারা কিনবে বা বিনিয়োগ করবে—এটা কোনোভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাজ হতে পারে না। বরং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারকে কিছুদিন স্থিতিশীল পর্যায়ে ধরে রেখে আস্থা ফেরানো জরুরি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন আবার বিনিয়োগের জন্য নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে এবং নীতি-বিধিতে ছাড় চাইছে। সুদূরপ্রসারী ও যৌক্তিক বিবেচনায় সতর্কতার সঙ্গে এসব শর্ত ও ছাড় দিতে হবে। কেননা, এসব ছাড় আর্থিক খাতের শৃঙ্খলাকে নাজুক করে দিতে পারে, যার নেতিবাচক প্রভাব হবে অনেক ভয়াবহ। যেমন, প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর হ্রাস বা পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্টতার সীমা নির্ধারণ পদ্ধতির পরিবর্তন। একইভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে মুদ্রানীতি শিথিলের পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই রাজস্ব নীতি দিয়ে সমন্বয় করতে হবে। শেয়ারবাজারকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে চলবে না। এই বাজার আর্থিক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাজেই একটা অংশে বা উপখাতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে অন্য অংশের ভারসাম্য অটল থাকবে—এটা ভাবা যাবে না। একইভাবে অন্য উপখাত থেকে এসে আরেকটির বা শেয়ারবাজারের ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে গিয়ে নতুনভাবে আরেকটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে—সেটাও কাম্য নয়।
শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা সরকারের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে একটি সুযোগও। যদি নীতিনির্ধারকেরা দক্ষতার সঙ্গে সুসমন্বয় করে সামনে অগ্রসর হতে পারেন, তাহলে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন কাজ হবে না। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরী মনে রাখতে হবে, এটা ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। গুজবে কান দিয়ে এবং প্রলুব্ধ হয়ে নিজের সক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে ধার-কর্জ করে বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়ার দায় নিজেদেরই নিতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছেন বা বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে।
No comments