সদরে অন্দরে-কেমন আছেন নির্মলদা by মোস্তফা হোসেইন
সাংবাদিক সম্প্রদায়ের পেশাগত সমৃদ্ধি নিয়ে যাঁরা ভাবতেন, উদ্যোগী হতেন_নিঃসন্দেহে নির্মল সেন তাঁদের অন্যতম। পাকিস্তানের জাঁতাকল ভেঙে বাংলাদেশের সবুজ মাটিতে নতুন আঙ্গিকে সাংবাদিকদের বিচরণক্ষেত্রটিকে উর্বর করার প্রয়াস নিতে যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন, নির্মল সেন তাঁদের অগ্রসৈনিক। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বা বিএফইউজের তিনি ছিলেন সভাপতি। চিরতারুণ্যে ভরপুর রাখতে চেয়েছেন সংবাদজগৎকে।
নিজের প্রাপ্তিকে প্রাধান্য দেননি কখনো। সেই সাংবাদিক যখন বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত তখন আমাদের প্রশ্ন করতে হয় বার্ধক্যে কি সাংবাদিকদের ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রম? প্রশ্নটি আসতে পারে অকৃতদার এই মানুষটির সাম্প্রতিক হাল দেখে। প্রশ্ন আসে তাঁরই প্রাণপ্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা কি তাঁর আপনজন হতে পেরেছেন? কতটা খবর রাখছেন নির্মল সেনের? একজন সিনিয়র সাংবাদিক প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করায়। সেই ক্ষোভ তাঁর ব্যক্তিগত হলে হয়তো সেই সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার সুযোগ থাকত। কিন্তু তাঁর কথায় যে সুর ভেসে এল তাতে স্পষ্টতই মনে হতে পারে, আমরা নির্মল সেনকে ভুলে গেছি। নির্মল সেন এখন আর গোটা বাংলাদেশের কেউ নন, তিনি একান্তই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড়ের একজন অধিবাসী। অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ওঠে_আমরা ভুলে গেছি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগের ও পরের সেই নির্মল সেনকে। এমনকি আমরা ভুলে যাই সেই নির্মল সেনকে, যিনি একটি মাত্র শিরোনাম দিয়ে সারা বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সত্তরের দশকে।
সেই শিরোনাম সাংবাদিকদের শিখিয়ে দিয়েছিল, একজন সাংবাদিককে একটি লেখার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এমন গুরুজন কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামে বার্ধক্যের কশাঘাতে জর্জরিত। আমাদের জানতে হচ্ছে অর্থ সংকটে এমন একজন সাংবাদিকের চিকিৎসা হয়নি এমন তথ্যও। সরকারি-বেসরকারি যেসব সহযোগিতা পাওয়া গেছে সেগুলোও যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে সবই ক্ষণস্থায়ী মাত্র। একজন বিদগ্ধ মানুষের জন্য যা করা প্রয়োজন, রাষ্ট্র তা করেনি এবং এখনো করছে না। হুইল চেয়ারে বসে তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার। এখনো তিনি প্রত্যাশা করেন এই জাতিকে তিনি কিছু দিতে চান। তিনি মনে করেন, মাতৃভূমির জন্য তাঁরও কিছু করার আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার কোটালীপাড়া যাওয়ার পর তাই তিনি একটাই দাবি করেছেন_তাঁর গ্রামে যেন একটি মহিলা কলেজ করা হয়। কারণ তাঁর এলাকায় নারী শিক্ষাক্ষেত্রে এখনো উন্নয়ন ঘটেনি আশানুরূপ। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, 'কলেজটি করে দাও, আমি জমি লিখে দেব।'
আশার কথা প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন নির্মল সেনকে। নিজের আসন ছেড়ে চলে গেছেন দর্শকের সারিতে। জানতে চেয়েছেন নির্মল সেনের স্বাস্থ্যের খবর। কথা প্রসঙ্গেই তিনি জানতে চেয়েছেন নির্মল সেনের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা। এমন অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষ তাঁর চিকিৎসা কিংবা আর্থিক সহায়তার কথাই বলতে পারে। কিন্তু নির্মল সেন চিরলালিত আত্মসম্মানকে টিকিয়ে রেখেছেন এই পর্যায়েও। তিনি আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেননি। বলেননি তাঁর চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বললেন, তাঁর খুব ইচ্ছা তাঁর এলাকার মেয়েদের শিক্ষা সুবিধা সম্প্রসারণ করা। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার সঙ্গে তাঁরও মিল হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জানান। বলেন, হ্যাঁ, তাই হবে। নির্মল সেনের নামে সেখানে একটি মহিলা কলেজ হবে। নির্মল সেন নিজের সম্পত্তি থেকে এক একর ৬৯ শতক জমি দিচ্ছেন কলেজের জন্য। এখানেই নির্মল সেনের বৈশিষ্ট্য। নির্মল সেন নিজের আত্মসম্মানকে টিকিয়ে রেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী একজন প্রবীণ সাংবাদিককে সম্মান জানিয়ে নিজে সম্মানীয় হয়েছেন। আর এলাকাও উন্নয়নের আশ্বাস পেয়েছে নারীশিক্ষার পথ প্রশস্ত করার মাধ্যমে। সুখের কথা, প্রধানমন্ত্রী নির্মল সেনের চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মাসে ১০ হাজার টাকা প্রদানেরও নির্দেশ দেন।
নির্মল সেনের আট বছরের অসুস্থতার ইতিহাস আমাদের আত্মবিশ্লেষণের কথা মনে করিয়ে দেয়। ২০০৩ সালে কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত নির্মল সেনের জন্য যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে, তাকে কি আমরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য যথার্থ বলে মনে করতে পারি? কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যখন পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয় তখনো রাষ্ট্রের কোনো সংগঠন এগিয়ে আসেনি। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই সেই খরচ বহন করতে হয়। নিকটজনরাই তাঁর কাজে এগিয়ে এসেছে। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে তাঁকে দেশে চলে আসতে হয়েছিল ২০০৪ সালে, সেও তো অর্থ সংকটের কারণে। ভাবতে অবাক লাগে, সে সময়ও আমরা সাংবাদিকরা তাঁর জন্য এগিয়ে আসিনি। পারিবারিকভাবে জানা যায়, মোসাদ্দেক হোসেন স্বপন, ডাক্তার তিসা, স্বপনের এক আত্মীয় সিঙ্গাপুরে তাঁর সহযোগিতায় ভূমিকা রাখেন। পরে খুশী কবির, অজয় রায়, আ ব ম ফারুক, রাশেদ খান মেনন, আবুল বারকাত, মোসাদ্দেক হোসেন স্বপন প্রমুখের প্রচেষ্টায় সিঙ্গাপুরের সেই দেনা শোধ করা সম্ভব হলেও নিজের চিকিৎসা ব্যয় চালিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপি সরকার এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ কিছু আর্থিক সহযোগিতা করলেও একজন সাংবাদিকের বিপদকালে স্থায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি এখন পর্যন্ত। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও নির্মল সেন রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা পেতে পারতেন। দেশের সিনিয়র একজন নাগরিক হিসেবেও তাঁর পাওনা ছিল রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য। কিন্তু আমরা দেখলাম প্রয়োজনীয় আনুকূল্য তিনি পাননি রাষ্ট্রের কাছ থেকে। ভারতে চিকিৎসা সুবিধা নেওয়ার সময় সে দেশের আরএসপি সহযোগিতা করেছে। দেশে সিআরপির সহযোগিতাকে স্মরণ করা যায়। মডার্ন ডায়াগনস্টিকে মিসেস ডোনার সহযোগিতায় চিকিৎসার কথাও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতাসহ স্মরণ করছেন। সবশেষে কঙ্কন সেন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষকে। তারা এই প্রবীণ সাংবাদিকের চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মাসিক সহযোগিতা করে আসছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাব, প্রথম আলো, আমার দেশ, ডেইলি স্টার, নিউজ টুডে এবং ব্যক্তিগতভাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তাঁর ৮১তম জন্মদিনে অর্থ উপহার দিয়েছেন। নির্মল সেনের এই অবস্থায় আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমাদের সাংবাদিক সম্প্রদায়ের জন্য পেনশন জাতীয় কিছু সুবিধার জন্য বড় কোনো তহবিল কি গঠিত হতে পারে না? সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ আছে এখন। সাংবাদিকদের স্থায়ী পেনশন সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে পারে। যার আওতায় সরকারি-বেসরকারি সব সাংবাদিক সুবিধা পাবেন। সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলা হয়, আর সেই বিবেকদের যদি এমন দুরবস্থায় পড়তে হয় তাহলে জাতির বিবেকই যে সংকটে পড়বে। সরকার এবং সাংবাদিক কমিউনিটির উচিত কোনো তহবিল গঠন করা, যাতে অবসরকালে আর্থিক নিয়মিত সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
mhussain_71@yahoo.com
সেই শিরোনাম সাংবাদিকদের শিখিয়ে দিয়েছিল, একজন সাংবাদিককে একটি লেখার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এমন গুরুজন কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামে বার্ধক্যের কশাঘাতে জর্জরিত। আমাদের জানতে হচ্ছে অর্থ সংকটে এমন একজন সাংবাদিকের চিকিৎসা হয়নি এমন তথ্যও। সরকারি-বেসরকারি যেসব সহযোগিতা পাওয়া গেছে সেগুলোও যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে সবই ক্ষণস্থায়ী মাত্র। একজন বিদগ্ধ মানুষের জন্য যা করা প্রয়োজন, রাষ্ট্র তা করেনি এবং এখনো করছে না। হুইল চেয়ারে বসে তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার। এখনো তিনি প্রত্যাশা করেন এই জাতিকে তিনি কিছু দিতে চান। তিনি মনে করেন, মাতৃভূমির জন্য তাঁরও কিছু করার আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার কোটালীপাড়া যাওয়ার পর তাই তিনি একটাই দাবি করেছেন_তাঁর গ্রামে যেন একটি মহিলা কলেজ করা হয়। কারণ তাঁর এলাকায় নারী শিক্ষাক্ষেত্রে এখনো উন্নয়ন ঘটেনি আশানুরূপ। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, 'কলেজটি করে দাও, আমি জমি লিখে দেব।'
আশার কথা প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন নির্মল সেনকে। নিজের আসন ছেড়ে চলে গেছেন দর্শকের সারিতে। জানতে চেয়েছেন নির্মল সেনের স্বাস্থ্যের খবর। কথা প্রসঙ্গেই তিনি জানতে চেয়েছেন নির্মল সেনের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা। এমন অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষ তাঁর চিকিৎসা কিংবা আর্থিক সহায়তার কথাই বলতে পারে। কিন্তু নির্মল সেন চিরলালিত আত্মসম্মানকে টিকিয়ে রেখেছেন এই পর্যায়েও। তিনি আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেননি। বলেননি তাঁর চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বললেন, তাঁর খুব ইচ্ছা তাঁর এলাকার মেয়েদের শিক্ষা সুবিধা সম্প্রসারণ করা। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার সঙ্গে তাঁরও মিল হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জানান। বলেন, হ্যাঁ, তাই হবে। নির্মল সেনের নামে সেখানে একটি মহিলা কলেজ হবে। নির্মল সেন নিজের সম্পত্তি থেকে এক একর ৬৯ শতক জমি দিচ্ছেন কলেজের জন্য। এখানেই নির্মল সেনের বৈশিষ্ট্য। নির্মল সেন নিজের আত্মসম্মানকে টিকিয়ে রেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী একজন প্রবীণ সাংবাদিককে সম্মান জানিয়ে নিজে সম্মানীয় হয়েছেন। আর এলাকাও উন্নয়নের আশ্বাস পেয়েছে নারীশিক্ষার পথ প্রশস্ত করার মাধ্যমে। সুখের কথা, প্রধানমন্ত্রী নির্মল সেনের চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মাসে ১০ হাজার টাকা প্রদানেরও নির্দেশ দেন।
নির্মল সেনের আট বছরের অসুস্থতার ইতিহাস আমাদের আত্মবিশ্লেষণের কথা মনে করিয়ে দেয়। ২০০৩ সালে কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত নির্মল সেনের জন্য যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে, তাকে কি আমরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য যথার্থ বলে মনে করতে পারি? কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যখন পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয় তখনো রাষ্ট্রের কোনো সংগঠন এগিয়ে আসেনি। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই সেই খরচ বহন করতে হয়। নিকটজনরাই তাঁর কাজে এগিয়ে এসেছে। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে তাঁকে দেশে চলে আসতে হয়েছিল ২০০৪ সালে, সেও তো অর্থ সংকটের কারণে। ভাবতে অবাক লাগে, সে সময়ও আমরা সাংবাদিকরা তাঁর জন্য এগিয়ে আসিনি। পারিবারিকভাবে জানা যায়, মোসাদ্দেক হোসেন স্বপন, ডাক্তার তিসা, স্বপনের এক আত্মীয় সিঙ্গাপুরে তাঁর সহযোগিতায় ভূমিকা রাখেন। পরে খুশী কবির, অজয় রায়, আ ব ম ফারুক, রাশেদ খান মেনন, আবুল বারকাত, মোসাদ্দেক হোসেন স্বপন প্রমুখের প্রচেষ্টায় সিঙ্গাপুরের সেই দেনা শোধ করা সম্ভব হলেও নিজের চিকিৎসা ব্যয় চালিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপি সরকার এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ কিছু আর্থিক সহযোগিতা করলেও একজন সাংবাদিকের বিপদকালে স্থায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি এখন পর্যন্ত। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও নির্মল সেন রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা পেতে পারতেন। দেশের সিনিয়র একজন নাগরিক হিসেবেও তাঁর পাওনা ছিল রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য। কিন্তু আমরা দেখলাম প্রয়োজনীয় আনুকূল্য তিনি পাননি রাষ্ট্রের কাছ থেকে। ভারতে চিকিৎসা সুবিধা নেওয়ার সময় সে দেশের আরএসপি সহযোগিতা করেছে। দেশে সিআরপির সহযোগিতাকে স্মরণ করা যায়। মডার্ন ডায়াগনস্টিকে মিসেস ডোনার সহযোগিতায় চিকিৎসার কথাও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতাসহ স্মরণ করছেন। সবশেষে কঙ্কন সেন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষকে। তারা এই প্রবীণ সাংবাদিকের চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মাসিক সহযোগিতা করে আসছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাব, প্রথম আলো, আমার দেশ, ডেইলি স্টার, নিউজ টুডে এবং ব্যক্তিগতভাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তাঁর ৮১তম জন্মদিনে অর্থ উপহার দিয়েছেন। নির্মল সেনের এই অবস্থায় আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমাদের সাংবাদিক সম্প্রদায়ের জন্য পেনশন জাতীয় কিছু সুবিধার জন্য বড় কোনো তহবিল কি গঠিত হতে পারে না? সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ আছে এখন। সাংবাদিকদের স্থায়ী পেনশন সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে পারে। যার আওতায় সরকারি-বেসরকারি সব সাংবাদিক সুবিধা পাবেন। সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলা হয়, আর সেই বিবেকদের যদি এমন দুরবস্থায় পড়তে হয় তাহলে জাতির বিবেকই যে সংকটে পড়বে। সরকার এবং সাংবাদিক কমিউনিটির উচিত কোনো তহবিল গঠন করা, যাতে অবসরকালে আর্থিক নিয়মিত সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
mhussain_71@yahoo.com
No comments