সাবাস নারায়ণগঞ্জবাসী by ইকবাল হোসেন
৩০ অক্টোবর, ২০১১ দেশে গণতন্ত্র চর্চার একটি স্মরণীয় দিবস, যা নারায়ণগঞ্জবাসী পুরো জাতিকে উপহার দিল। সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে, রাজনৈতিক হীনম্মন্যতা পরিহারের মাধ্যমে প্রধান দুই দলের গণ্ডিমুক্ত হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের অভিভাবক নির্ধারণ করতে যে অবিচল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন তারা করেছেন তা অনন্য। পুরো জাতি তাদের এই অনন্য কীর্তির জন্য একবাক্যে বলছে, সাবাস নারায়ণগঞ্জবাসী!
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অত্যন্ত উত্তপ্ত অবস্থায় সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়। এমন উৎকণ্ঠার নির্বাচনের ক্ষণ যতই এগিয়ে যাচ্ছিল ততই সব নাটকীয়তার জন্ম নিচ্ছিল। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি, প্রার্থীর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, জনতাকে নিজের সেনাবাহিনী বলে বিশ্বাস, হেভিওয়েট প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনসহ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন নারায়ণগঞ্জবাসী অত্যন্ত নীরবে, নিজেদের যোগ্য নগর-মাতা নির্বাচনের মাধ্যমে।
আইন অনুযায়ী স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও মূলত পর্দার অন্তরালে ভোটযুদ্ধ হয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয় নিজেদের জনপ্রিয়তার তারতম্য নিয়ে। ঠিক একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয় নাসিক নির্বাচনে। সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি ও ভোট কারচুপির আশঙ্কায় প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সরকারি দলের সমর্থিত ও বিরোধী প্রার্থীর মধ্যে বিরাজমান দা-কুমড়া সম্পর্ক তীব্র হয়ে ওঠে। আশঙ্কা ছিল আওয়ামী লীগের মধ্যে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ কোন্দল তা হয়তো আরও ভয়ানক হবে। কিন্তু সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার পেল নারায়ণগঞ্জবাসী। অন্যদিকে পরাজিত প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ উত্থাপন করলেও ফল মেনে নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জবাসী সব ভয়ভীতি উপক্ষো করে তাদের যোগ্য নগর-মাতা নির্বাচিত করার জন্য যেভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তারা দেশের জন্য আইকন হিসেবে থাকবেন। যোগ্য অভিভাবক নির্ধারণ করতে তারা কারও দোর্দণ্ড প্রতাপ বা দলীয় পরিচয়কে বিবেচনা করেননি। আমরা আশা করব, জয়ী প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীও তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পালন করবেন।
iqbalhossain221@yahoo.com
আইন অনুযায়ী স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও মূলত পর্দার অন্তরালে ভোটযুদ্ধ হয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয় নিজেদের জনপ্রিয়তার তারতম্য নিয়ে। ঠিক একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয় নাসিক নির্বাচনে। সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি ও ভোট কারচুপির আশঙ্কায় প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সরকারি দলের সমর্থিত ও বিরোধী প্রার্থীর মধ্যে বিরাজমান দা-কুমড়া সম্পর্ক তীব্র হয়ে ওঠে। আশঙ্কা ছিল আওয়ামী লীগের মধ্যে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ কোন্দল তা হয়তো আরও ভয়ানক হবে। কিন্তু সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার পেল নারায়ণগঞ্জবাসী। অন্যদিকে পরাজিত প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ উত্থাপন করলেও ফল মেনে নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জবাসী সব ভয়ভীতি উপক্ষো করে তাদের যোগ্য নগর-মাতা নির্বাচিত করার জন্য যেভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তারা দেশের জন্য আইকন হিসেবে থাকবেন। যোগ্য অভিভাবক নির্ধারণ করতে তারা কারও দোর্দণ্ড প্রতাপ বা দলীয় পরিচয়কে বিবেচনা করেননি। আমরা আশা করব, জয়ী প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীও তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পালন করবেন।
iqbalhossain221@yahoo.com
No comments