আদালতে আইনজীবীদের বিব্রত হওয়া কনটেম্পট অব কোর্ট by জাকিয়া আহমেদ
আইনজীবীরা কখনোও আদালতে বিব্রত হতে পারেন না। তাদের বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যুদ্ধাপরাধী এবং দুনীতিবাজদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই জামায়াতের আইনজীবীরা আদালতেও ওয়াকআউটের মতো অপসংস্কৃতি চালু করেছে। জামায়াতের আইনজীবীদের আচরণ আদালত অবমাননার শামিল। তাদের এই আচরণ কনটেম্পট অব কোর্ট। জামায়াতের আইনজীবীদের আদালতে বিব্রত হওয়া সম্পর্কে এমন অভিমত প্রকাশ করেন দেশের বেশ ক’জন শীর্ষ আইন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী।
গত ১৬ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষ থেকে বিব্রত বোধ করে বের হয়ে যান জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়ে তারা সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা ওয়াকআউট করেছি।’
উল্লেখ্য, সেদিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে বিচারপতি নিজামুল হকের থাকা না থাকা নিয়ে জামায়াতের আইনজীবীরা বিব্রত বোধ করছি বলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। আইনজীবীদের এই ওয়াকআউট নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন বিচারক বলেছেন, ‘এটি শুধু কনটেম্পট অব কোর্টই নয়, বার কাউন্সিলের বিধিমালারও পরিপন্থী। নিঃসন্দেহে এটি অদালত অবমাননা, এর চেয়ে বড় কথা আর হতে পারে না।’
এ বিষয়ে শনিবার আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি এখন আদালত থেকেও ওয়াকআউট করার নতুন পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এবং দুর্নীতিবাজদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে আদালতেও তারা ওয়াকআউটের মতো অপসংস্কৃতি চালু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বিচার প্রক্রিয়াকে ভয় পায়। এ কারণেই দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি আদালতেও ওয়াকআউটের মতো অপসংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা করছে।
আইনজীবীদের ওয়াকআউট সম্পর্কে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আইনজীবীরা কোন্ওভাবেই আদালতে বিব্রত হতে পারেন না। এটি আদালতের প্রতি অবমাননা। তাদের এই আচরণ কনটেম্পট অব কোর্ট।’
আইনজীবীদের এই আচরণ কনটেম্পট অব কোর্ট হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা জামায়াতের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কী-না জানতে চাইলে অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, ‘এসব করতে গেলে আবার অনেক সময় প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘এটি তো জামায়াতের আইনজীবীরা করেছে বিচারকাজকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করা। কিন্তু আমরা যারা এই বিচার চাই তারা তো এটা হতে দিতে পারি না। কারণ, পুরো জাতি তাকিয়ে আছে এই বিচারের দিকে।’
অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল যখন গঠিত হয় তখন তো এই অভিযোগ তারা করেননি। আজ যখন দেখছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে তখনই তারা এসব অভিযোগ আনলেন। এ সব কিছুর মূলেই হলো এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা।’
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বাংলানিউজকে বলেন, “ওয়াক আউট” শব্দটি আইনের কোন ভাষা হতে পারে না। এটি সংসদীয় টার্ম। আইনজীবীদের এজলাসকক্ষ ত্যাগ করতে হলে অবশ্যই বিচারপতির অনুমতি নিতে হবে। আর বিচারক-ই কেবল আদালতে বিব্রত হতে পারেন। আইনজীবীরা কখনো বিব্রত হতে পারেন না।’’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের আইনজীবীরা সেদিন ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। এটি “কনটেম্পট অব কোর্ট।”
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কী-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি আমাদের সুবিবেচনায় রয়েছে।’
আদালত বর্জন সম্পর্কে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘আইনজীবীদের বিব্রত বোধ করার কোনও সুযোগ আছে কী-না আমার জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আইনজীবীরা বলতে পারেন যে, এই আদালতের ওপর আমার আস্থা নেই। এই কথাটা বলারও পদ্ধতি এবং আইন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে বক্তব্য রাখতে গেলে আইনের আওতায় রাখতে হবে। রাস্তার ভাষায় আদালতে বক্তব্য রাখা যায় না। আমি মনে করি, তারা যখন সকলেই কালো কোট পরিধান করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন তখন তাদের আইনি ভাষার আওতার মধ্যে থাকা উচিত। এটা অত্যন্ত খারাপ নজির হয়ে থাকছে। নিজেদের পক্ষে রায় না গেলেই এবং স্বার্থে আঘাত লাগলেই আইনের ভাষা পরিহার করে রাস্তার ভাষা ব্যবহারের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে।’
অপরদিকে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেদিন জামায়াতের আইনজীবীরা ওয়াকআউটও করেনি, আদালত বয়কটও করে নি। তারা কোর্টের অনুমতি নিয়েই আদালত থেকে বের হয়ে এসেছেন।’
উল্লেখ্য, সেদিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে বিচারপতি নিজামুল হকের থাকা না থাকা নিয়ে জামায়াতের আইনজীবীরা বিব্রত বোধ করছি বলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। আইনজীবীদের এই ওয়াকআউট নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন বিচারক বলেছেন, ‘এটি শুধু কনটেম্পট অব কোর্টই নয়, বার কাউন্সিলের বিধিমালারও পরিপন্থী। নিঃসন্দেহে এটি অদালত অবমাননা, এর চেয়ে বড় কথা আর হতে পারে না।’
এ বিষয়ে শনিবার আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি এখন আদালত থেকেও ওয়াকআউট করার নতুন পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এবং দুর্নীতিবাজদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে আদালতেও তারা ওয়াকআউটের মতো অপসংস্কৃতি চালু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বিচার প্রক্রিয়াকে ভয় পায়। এ কারণেই দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি আদালতেও ওয়াকআউটের মতো অপসংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা করছে।
আইনজীবীদের ওয়াকআউট সম্পর্কে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আইনজীবীরা কোন্ওভাবেই আদালতে বিব্রত হতে পারেন না। এটি আদালতের প্রতি অবমাননা। তাদের এই আচরণ কনটেম্পট অব কোর্ট।’
আইনজীবীদের এই আচরণ কনটেম্পট অব কোর্ট হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা জামায়াতের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কী-না জানতে চাইলে অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, ‘এসব করতে গেলে আবার অনেক সময় প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘এটি তো জামায়াতের আইনজীবীরা করেছে বিচারকাজকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করা। কিন্তু আমরা যারা এই বিচার চাই তারা তো এটা হতে দিতে পারি না। কারণ, পুরো জাতি তাকিয়ে আছে এই বিচারের দিকে।’
অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল যখন গঠিত হয় তখন তো এই অভিযোগ তারা করেননি। আজ যখন দেখছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে তখনই তারা এসব অভিযোগ আনলেন। এ সব কিছুর মূলেই হলো এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা।’
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বাংলানিউজকে বলেন, “ওয়াক আউট” শব্দটি আইনের কোন ভাষা হতে পারে না। এটি সংসদীয় টার্ম। আইনজীবীদের এজলাসকক্ষ ত্যাগ করতে হলে অবশ্যই বিচারপতির অনুমতি নিতে হবে। আর বিচারক-ই কেবল আদালতে বিব্রত হতে পারেন। আইনজীবীরা কখনো বিব্রত হতে পারেন না।’’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের আইনজীবীরা সেদিন ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। এটি “কনটেম্পট অব কোর্ট।”
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কী-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি আমাদের সুবিবেচনায় রয়েছে।’
আদালত বর্জন সম্পর্কে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘আইনজীবীদের বিব্রত বোধ করার কোনও সুযোগ আছে কী-না আমার জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আইনজীবীরা বলতে পারেন যে, এই আদালতের ওপর আমার আস্থা নেই। এই কথাটা বলারও পদ্ধতি এবং আইন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে বক্তব্য রাখতে গেলে আইনের আওতায় রাখতে হবে। রাস্তার ভাষায় আদালতে বক্তব্য রাখা যায় না। আমি মনে করি, তারা যখন সকলেই কালো কোট পরিধান করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন তখন তাদের আইনি ভাষার আওতার মধ্যে থাকা উচিত। এটা অত্যন্ত খারাপ নজির হয়ে থাকছে। নিজেদের পক্ষে রায় না গেলেই এবং স্বার্থে আঘাত লাগলেই আইনের ভাষা পরিহার করে রাস্তার ভাষা ব্যবহারের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে।’
অপরদিকে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেদিন জামায়াতের আইনজীবীরা ওয়াকআউটও করেনি, আদালত বয়কটও করে নি। তারা কোর্টের অনুমতি নিয়েই আদালত থেকে বের হয়ে এসেছেন।’
No comments