জাদু হোক স্বপ্নের মতো
আমি যখন দেশে ম্যাজিক শুরু করি তখন হাতেগোনা কিছু লোক ম্যাজিক করতেন। তবে এরা ছিলেন বিভিন্ন স্তরের। একদল খুব ভালোবাসত ম্যাজিককে। আরেক দল তেমন ম্যাজিক জানত না। রাস্তাঘাটে ম্যাজিক দেখানোর নাম করে মানুষ জড়ো করত তারা। একপর্যায়ে মানুষ জড়ো হলে তারা বিভিন্ন রকম উদ্ভট ওষুধ বিক্রি শুরু করে দিত। এ ওষুধ ছিল আবার স্বপ্নে পাওয়া। শুধু তাই নয়, তারা তাবিজও দিয়ে যেত। অষ্টধাতুর তাবিজ।
ভাবতে অবাক লাগে, তারা বলত, তাদের ওষুধ সব রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করবে, যা কখনও সম্ভব নয়। যারা এই রকম ম্যাজিক দেখাত তাদেরকে আমি কখনও ম্যাজিশিয়ান মনে করি না। তবে এদের মধ্যে আবার দু'একজন সত্যিকার ম্যাজিশিয়ানও দেখেছি। তারা স্কুলে গিয়ে গিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। আমার দেখা এমন একজন ম্যাজিশিয়ান হচ্ছেন উলফাত কবির। বর্তমানে তার বয়স ৬৪ বছর। তিনি জাদু দেখিয়েই জীবিকা অর্জন করেন। বাংলাদেশের গ্রাম-গ্রামান্তরে গিয়ে তিনি জাদু দেখান। গ্রামের যে শিশুদের সামনে তিনি জাদু উপস্থাপন করেন, তারা অনেকেই সুবিধাবঞ্চিত। এ শিশুরা আনন্দের মুখ দেখে না কখনও। আবার আনন্দের সামনে গেলেও যাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, তিনি সেই শিশুদের জাদু দেখান নিজের উদ্যোগে।
তাছাড়া আবদুুর রশিদ নামে অসাধারণ এক ম্যাজিশিয়ান দেখেছি। তার ম্যাজিক দেখে আমি অবাক হয়েছি। তার নিজের জাদুর প্যান্ডেল ছিল। অনেক পরিশ্রমী ছিলেন সেই ম্যাজিশিয়ান।
আমি ম্যাজিকে এসে রাস্তার ম্যাজিশিয়ান বা ওই সময়ের ম্যাজিশিয়ানদের মতো ম্যাজিক শুরু করিনি। আমি নতুন করে ম্যাজিক শুরু করি, যা ইতিপূর্বে দর্শকরা অন্যদের কাছে দেখেননি। আমার ম্যাজিক দর্শকদের কাছে নতুন মনে হওয়ার ফলে প্রচুর দর্শক আমার শো'তে আসা শুরু করে। যারা ম্যাজিকের আয়োজন করতেন তাদের কাছে আমি কখনও টাকা চাইতাম না। তবে কিছু দিন ম্যাজিক দেখানোর পর তারা আমাকে টাকা দিতে শুরু করলেন। এই টাকাগুলো আমার নতুন ম্যাজিক তৈরিতে কাজে দিত। এই টাকা পাওয়ার ফলেও আমি অন্য ম্যাজিশিয়ানদের তুলনায় একটু অন্যরকম হয়ে উঠলাম।
এক সময় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করা শুরু করলাম। টেলিভিশনে আমি আমার তৃতীয় অনুষ্ঠানটা আবদুুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে করি। আমার ম্যাজিক আমি নতুন গল্পের মতো শুরু করলাম, যা সমাজের সব দর্শকের মন জয় করল। আমিও একটা নতুন দল গঠন করলাম। তাদের নিয়ে শুরু করলাম ম্যাজিক। আগের ম্যাজিশিয়ানরা যে সম্মানটা পেতেন না; তা পেতে শুরু করলাম আমরা। বলা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই ম্যাজিশিয়ানদের মানুষ অনেকটা শ্রদ্ধার চোখে দেখা শুরু করল। আর ম্যাজিকে আসতে শুরু করল অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে। এদের মধ্যে অনেকেই ভালো করতে শুরু করল। আমার ম্যাজিকে সব সময় আমি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেসেজ দিয়ে দিতাম। এতে কাজও হয়েছে। আমার মতো করে এখন অনেকেই ম্যাজিক দেখায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাহীন শাহ, আলী রাজ। রাজের উপস্থাপনা খুবই সুন্দর। চট্টগ্রামের রাজিব বসাক। রংপুরের দুই ভাই-বোন। তারা খুবই ছোট। জাদু শিখেছে বাবার কাছ থেকে। এভাবে অনেকেই এসেছে ম্যাজিকে।
ম্যাজিকের ক্ষেত্রে জেনেটিক একটা ব্যাপারও কাজ করে। আমাদের দেশের সবার না হলেও কিছু কিছু ম্যাজিশিয়ানের ম্যাজিক অনেক ভালো। তবে এতেই তুষ্ট হয়ে বসে থাকলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, যে পর্যায়েই আমরা পেঁৗছাই না কেন, তা মূলত একটা পর্যায়-ই। আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এগিয়ে যেতে হলে জাদুশিল্পীদেরও জাদুকে ভালোবাসতে হবে। অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আর জাদুকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সমাজ এবং দেশের সাপোর্টও লাগবে। তবেই হবে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। তখন সত্যিকার অর্থেই জাদু হয়ে উঠবে স্বপ্নের মতো।
তাছাড়া আবদুুর রশিদ নামে অসাধারণ এক ম্যাজিশিয়ান দেখেছি। তার ম্যাজিক দেখে আমি অবাক হয়েছি। তার নিজের জাদুর প্যান্ডেল ছিল। অনেক পরিশ্রমী ছিলেন সেই ম্যাজিশিয়ান।
আমি ম্যাজিকে এসে রাস্তার ম্যাজিশিয়ান বা ওই সময়ের ম্যাজিশিয়ানদের মতো ম্যাজিক শুরু করিনি। আমি নতুন করে ম্যাজিক শুরু করি, যা ইতিপূর্বে দর্শকরা অন্যদের কাছে দেখেননি। আমার ম্যাজিক দর্শকদের কাছে নতুন মনে হওয়ার ফলে প্রচুর দর্শক আমার শো'তে আসা শুরু করে। যারা ম্যাজিকের আয়োজন করতেন তাদের কাছে আমি কখনও টাকা চাইতাম না। তবে কিছু দিন ম্যাজিক দেখানোর পর তারা আমাকে টাকা দিতে শুরু করলেন। এই টাকাগুলো আমার নতুন ম্যাজিক তৈরিতে কাজে দিত। এই টাকা পাওয়ার ফলেও আমি অন্য ম্যাজিশিয়ানদের তুলনায় একটু অন্যরকম হয়ে উঠলাম।
এক সময় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করা শুরু করলাম। টেলিভিশনে আমি আমার তৃতীয় অনুষ্ঠানটা আবদুুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে করি। আমার ম্যাজিক আমি নতুন গল্পের মতো শুরু করলাম, যা সমাজের সব দর্শকের মন জয় করল। আমিও একটা নতুন দল গঠন করলাম। তাদের নিয়ে শুরু করলাম ম্যাজিক। আগের ম্যাজিশিয়ানরা যে সম্মানটা পেতেন না; তা পেতে শুরু করলাম আমরা। বলা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই ম্যাজিশিয়ানদের মানুষ অনেকটা শ্রদ্ধার চোখে দেখা শুরু করল। আর ম্যাজিকে আসতে শুরু করল অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে। এদের মধ্যে অনেকেই ভালো করতে শুরু করল। আমার ম্যাজিকে সব সময় আমি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেসেজ দিয়ে দিতাম। এতে কাজও হয়েছে। আমার মতো করে এখন অনেকেই ম্যাজিক দেখায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাহীন শাহ, আলী রাজ। রাজের উপস্থাপনা খুবই সুন্দর। চট্টগ্রামের রাজিব বসাক। রংপুরের দুই ভাই-বোন। তারা খুবই ছোট। জাদু শিখেছে বাবার কাছ থেকে। এভাবে অনেকেই এসেছে ম্যাজিকে।
ম্যাজিকের ক্ষেত্রে জেনেটিক একটা ব্যাপারও কাজ করে। আমাদের দেশের সবার না হলেও কিছু কিছু ম্যাজিশিয়ানের ম্যাজিক অনেক ভালো। তবে এতেই তুষ্ট হয়ে বসে থাকলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, যে পর্যায়েই আমরা পেঁৗছাই না কেন, তা মূলত একটা পর্যায়-ই। আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এগিয়ে যেতে হলে জাদুশিল্পীদেরও জাদুকে ভালোবাসতে হবে। অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আর জাদুকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সমাজ এবং দেশের সাপোর্টও লাগবে। তবেই হবে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। তখন সত্যিকার অর্থেই জাদু হয়ে উঠবে স্বপ্নের মতো।
No comments