সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এবারও দুই নেত্রীর সাক্ষাৎ অনিশ্চিত-'কয়েকজনের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার' by কাজী হাফিজ
আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে। গত বছরও সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা হয়নি তাঁদের। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যোগ দেননি। এ বছরও যোগ দেবেন কি না, এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, গত সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো
হয়েছে। অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া যোগ দেবেন কি না, দু-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।গতকাল শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি এখনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা জানান, বিএনপিপন্থী কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন অন্তত চার-পাঁচজন সেনা কর্মকর্তা। পদমর্যাদায় তাঁরা ছিলেন মেজর জেনারেল পর্যন্ত।
রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, 'একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছর পর আমাকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম বলে প্রত্যাহারের বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার এটি ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা।'
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, 'আমাকে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানোই হয়নি। রুহুল আলম চৌধুরীর বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।'
সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমি এখনো পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র পাইনি। তবে এখনো আশা করছি আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে। আমার কাছে ২১ নভেম্বর একটি পবিত্র দিন। প্রতিকূল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে ওই দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।'
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। আইএসপিআর থেকে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আমন্ত্রণপত্রই বিতরণ করা হচ্ছে।'
গত বছর এ দিবসে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে দাওয়াতপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সে কারণে তিনি যে অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকেন। তবে গত বছরের বিষয়টি ভিন্ন। ১৩ নভেম্বর মইনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর তিনি অনেকটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। তখন তাঁকে ওই দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াসহ চারদলীয় জোটের কোনো নেতাকেই দেখা যায়নি। সাবেক সেনাপ্রধানসহ অন্য সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হননি বিএনপিপ্রধান।
২০০৯ সালে সেনাকুঞ্জের শামিয়ানার নিচের দৃশ্যটি ছিল ভিন্ন। সেদিন সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কাছাকাছি হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁকে সংসদে যোগ দিতে আহ্বান জানান। ওই বছর আরো দুবার তাঁদের দেখা হয়েছিল।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা জানান, বিএনপিপন্থী কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন অন্তত চার-পাঁচজন সেনা কর্মকর্তা। পদমর্যাদায় তাঁরা ছিলেন মেজর জেনারেল পর্যন্ত।
রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, 'একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছর পর আমাকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম বলে প্রত্যাহারের বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার এটি ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা।'
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, 'আমাকে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানোই হয়নি। রুহুল আলম চৌধুরীর বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।'
সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমি এখনো পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র পাইনি। তবে এখনো আশা করছি আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে। আমার কাছে ২১ নভেম্বর একটি পবিত্র দিন। প্রতিকূল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে ওই দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।'
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। আইএসপিআর থেকে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আমন্ত্রণপত্রই বিতরণ করা হচ্ছে।'
গত বছর এ দিবসে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে দাওয়াতপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সে কারণে তিনি যে অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকেন। তবে গত বছরের বিষয়টি ভিন্ন। ১৩ নভেম্বর মইনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর তিনি অনেকটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। তখন তাঁকে ওই দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াসহ চারদলীয় জোটের কোনো নেতাকেই দেখা যায়নি। সাবেক সেনাপ্রধানসহ অন্য সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও ওই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হননি বিএনপিপ্রধান।
২০০৯ সালে সেনাকুঞ্জের শামিয়ানার নিচের দৃশ্যটি ছিল ভিন্ন। সেদিন সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কাছাকাছি হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁকে সংসদে যোগ দিতে আহ্বান জানান। ওই বছর আরো দুবার তাঁদের দেখা হয়েছিল।
No comments