যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার তিন শতাধিক
ওয়াল স্ট্রিট দখল করো' আন্দোলনের দুই মাস পূর্তি উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ৩০০ জনের বেশি। শুধু নিউ ইয়র্কেই ২৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপের কয়েকটি দেশে এ আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।
পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে পুঁজিপতি ও বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থলোভ, সীমাহীন দুর্নীতি, সরকারি নীতি নির্ধারণে ধনবাদী পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যায় প্রভাব, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের 'অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট' আন্দোলন শুরু হয়। নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটে অবস্থিত স্টক এঙ্চেঞ্জের সামনে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
গত বৃহস্পতিবারকে 'গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন' হিসেবে পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীরা। ওই দিন সকালে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী নিউ ইয়র্ক স্টক এঙ্চেঞ্জ ঘেরাও করে। হাতে হাত রেখে এলাকাটি ঘিরে রাখে তারা। 'ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ', 'আমরাই ৯৯ শতাংশ', 'কাদের সড়ক? আমাদের' বলে স্লোগান দেয় তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট কাজ বন্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। কোলাহল বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ রাস্তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা লোয়ার ম্যানহাটানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার রে ক্যালি জানান, সংঘর্ষে সাত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের আরেক মুখপাত্র।
সকালে স্টক এঙ্চেঞ্জের সামনে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভকারীরা ফের একত্রিত হয়ে ব্রুকলিন ব্রিজের দিকে মিছিল করে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানেও বৃহস্পতিবার করপোরেটবিরোধী আন্দোলন হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের মাত্র কয়েক মিটার দূরেই ২০০ জনেরও বেশি লোক বিক্ষোভ করে। লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রায় ৫০০ লোক শহরে কেন্দ্রস্থলের একটি রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। ডালাসে সিটি হলের সামনে ছয় সপ্তাহ ধরে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, বার্লিংটন
অবস্থান ছাড়বে না লন্ডনের বিক্ষোভকারীরা : লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের সামনে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীরা ওই জায়গা থেকে সরতে অসম্মতি জানিয়েছে। লন্ডন স্টক এঙ্চেঞ্জ দখলের আন্দোলন করছে তারা। গত বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন সিটি করপোরেশন প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে ওই স্থান ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পেন ও গ্রিসেও একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সূত্র : বিবিস, এএফপি।
গত বৃহস্পতিবারকে 'গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন' হিসেবে পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীরা। ওই দিন সকালে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী নিউ ইয়র্ক স্টক এঙ্চেঞ্জ ঘেরাও করে। হাতে হাত রেখে এলাকাটি ঘিরে রাখে তারা। 'ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ', 'আমরাই ৯৯ শতাংশ', 'কাদের সড়ক? আমাদের' বলে স্লোগান দেয় তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট কাজ বন্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। কোলাহল বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ রাস্তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা লোয়ার ম্যানহাটানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার রে ক্যালি জানান, সংঘর্ষে সাত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের আরেক মুখপাত্র।
সকালে স্টক এঙ্চেঞ্জের সামনে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভকারীরা ফের একত্রিত হয়ে ব্রুকলিন ব্রিজের দিকে মিছিল করে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানেও বৃহস্পতিবার করপোরেটবিরোধী আন্দোলন হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের মাত্র কয়েক মিটার দূরেই ২০০ জনেরও বেশি লোক বিক্ষোভ করে। লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রায় ৫০০ লোক শহরে কেন্দ্রস্থলের একটি রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। ডালাসে সিটি হলের সামনে ছয় সপ্তাহ ধরে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, বার্লিংটন
অবস্থান ছাড়বে না লন্ডনের বিক্ষোভকারীরা : লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের সামনে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীরা ওই জায়গা থেকে সরতে অসম্মতি জানিয়েছে। লন্ডন স্টক এঙ্চেঞ্জ দখলের আন্দোলন করছে তারা। গত বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন সিটি করপোরেশন প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে ওই স্থান ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পেন ও গ্রিসেও একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সূত্র : বিবিস, এএফপি।
No comments