ভাবনার বাতাসে পরাজয়ের ছোঁয়া
সময়ের সঙ্গে চলতে চলতে মান-অভিমানের রঙ-তুলিতে ছবি আঁকি। জানি না কখন কোন কাছের মানুষের মনের মন্দিরে আঘাত হানে সে ছবি। চঞ্চল স্বভাবের হওয়ার কারণে কে দূরের, কে কাছের_ আমার কাছে তা অভিন্ন। কখনও নিজের অজান্তে মানব-মানবীকে আপন ভেবে কাছে যাই। অথচ তুমি নিজের অবস্থান থেকে একটুও এগিয়ে আসোনি। বরং উল্টো মাঝেমধ্যে অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছ। সময়ের পালাবদলে তোমার সে অভিনয় প্রকাশ হয়ে যায় দিবালোকে।
যুক্তি দিয়ে তুমি বলবে অনেক কিছু! কিন্তু সত্যের কাছে যুক্তির পরাজয় তাতে ঠেকানো যাবে কি? আজ অনেক দিনের রঙমাখা স্বপ্ন মৃত্যুর দুয়ারে। মনের গভীরে হাজারো প্রশ্ন, যার উত্তর খোঁজা মানে দিগন্তরেখার কাছে পেঁৗছে যাওয়া। তবুও বলি, কেন এমন ঘৃণ্য অভিনয় করলে? অনেক আশা আর স্বপ্ন দেখালে? আর এর পরিণতি কী হয় তা খুব ভালো করেই বুঝছি।
আমার এ লেখা তোমার পড়া হবে কি-না জানি না। তারপরও নীল কষ্টের ফেরিওয়ালার মতো আমি কষ্টগুলোকে বিলিয়ে দিচ্ছি। পেঁৗছে দিচ্ছি লাখো মানুষের মনের মন্দিরে। হাওয়ার শব্দহীন নূপুর পরিয়ে দিচ্ছি কষ্টের আলতা-রাঙা পায়ে। আর ঝরা পাতাদের গনিগুনিয়ে শুনিয়ে যাচ্ছি আমার পতনের গান।
তুমি সত্যিই অসাধারণ! তোমার কাছে এসব যন্ত্রণার গল্প খুবই মামুলি, তাই না? এসব ঝামেলা পুষে রেখে কী লাভ বলো? তাই তো এই চিকন বিড়ম্বনা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছ তুমি। সত্য কথা হচ্ছে, 'যে কৃষ্ণ রাধার অলি, তারে ভোলায় চন্দ্র বলি'।
নীল অভিমানে আর কষ্টে পুড়ে এখন কয়লা মূর্তি। জটিল কোনো গাণিতিক সমস্যায় আজ আমি আটকা। ক্লাস পালানো গণিতভীতু স্কুলছাত্রের পীথাগোরাসের উপপাদ্যের মতো দুর্বোধ্যই মনে হচ্ছে। এতো জটিলতা চলার পথে? যদি পারতাম পাখির নীড়ে ফিরে যেতে! যদি পারতাম মেঘের কাছে মনের সব ব্যথা রেখে আসতে! যদি পারতাম নস্টালজিক সেই দিনগুলোতে আরেক বার অন্তত একবার ফিরে যেতে! কিন্তু কই, তা তো পারছি না। মেঘের কারণে নীড়ও খুঁজে পাচ্ছি না দিক হারা এই অচেতন আমি। মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসার মাঝে পাওয়া কিছু আনন্দ ও সুখ এখন বিশাল সম্পদ। সেই অনুরাগে রঙ মেখে বন্ধ দু'নয়নে অবুঝ শিশুর মতো কত কি আঁকি! যা দেখলে মনে হয় ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা! কতই না রঙিন ছিল সেই দিনগুলো। বারবার আবেগতাড়িত হয় ব্যথাতুর মন। তবু ধুকে পড়তে পড়তে থমকে দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যে আবার ভাবি, এবার দিগন্তে হারিয়ে যাব কিংবা পাখির মতো উড়াল দেব। রোদ্দুর মাঝে মেলে দেব নীল ডানা। নদী-সাগর, পাহাড় পাড়ি দিয়ে ঘর বাঁধব ওই নীল আসমানে। অনুরাগে অভিমানী মন আমার রোদ না পাক, চন্দ্র না পাক; জ্যোৎস্নায় খুঁজে নিক সামান্য ঠাঁই। তাও যদি না হয়, তবে যত্ন করে ভুলে যেও আমায়; ভাবনায় নাইবা আনলে আমায়; বারণ নেই। তবে বলতে লজ্জা হচ্ছে, কণ্ঠে আমার পরাজয়ের ছোঁয়া লেগেছে। পরাজয়ের ছোঁয়া লেগেছে আমার ভাবনার নীল আকাশেও। তুমি মনে রেখো, রোদ যেমন একান্তই সূর্যের, তেমনি এই সময়টাও শুধুই একান্ত তোমার। তাই তো তুমি আছ সুখে। প্রজাপতির রঙ গায়ে মেখে। দীর্ঘ দিনের লালিত একটি স্বপ্ন থেকে তুমি আমাকে বঞ্চিত করেছ। আর কিছু না হোক, সব অভিমান ফেলে দিলাম আবর্জনায়। তার পরও একটি ভবিষ্যৎ থেকে সাত সাগর দূরে রাখলে কেন? এ প্রশ্নটা মনের কোণে বারবার উঁকি দিয়ে যায়। তবু তোমার কোনো অকল্যাণ কামনা আমার মন থেকেই আসে না। মন থেকে তর তর করে বেরিয়ে আসে রাজ্যের আবেগমাখা দরদ।
এস.এম. খালেদুল হক
smkhaledh@gmail.com
আমার এ লেখা তোমার পড়া হবে কি-না জানি না। তারপরও নীল কষ্টের ফেরিওয়ালার মতো আমি কষ্টগুলোকে বিলিয়ে দিচ্ছি। পেঁৗছে দিচ্ছি লাখো মানুষের মনের মন্দিরে। হাওয়ার শব্দহীন নূপুর পরিয়ে দিচ্ছি কষ্টের আলতা-রাঙা পায়ে। আর ঝরা পাতাদের গনিগুনিয়ে শুনিয়ে যাচ্ছি আমার পতনের গান।
তুমি সত্যিই অসাধারণ! তোমার কাছে এসব যন্ত্রণার গল্প খুবই মামুলি, তাই না? এসব ঝামেলা পুষে রেখে কী লাভ বলো? তাই তো এই চিকন বিড়ম্বনা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছ তুমি। সত্য কথা হচ্ছে, 'যে কৃষ্ণ রাধার অলি, তারে ভোলায় চন্দ্র বলি'।
নীল অভিমানে আর কষ্টে পুড়ে এখন কয়লা মূর্তি। জটিল কোনো গাণিতিক সমস্যায় আজ আমি আটকা। ক্লাস পালানো গণিতভীতু স্কুলছাত্রের পীথাগোরাসের উপপাদ্যের মতো দুর্বোধ্যই মনে হচ্ছে। এতো জটিলতা চলার পথে? যদি পারতাম পাখির নীড়ে ফিরে যেতে! যদি পারতাম মেঘের কাছে মনের সব ব্যথা রেখে আসতে! যদি পারতাম নস্টালজিক সেই দিনগুলোতে আরেক বার অন্তত একবার ফিরে যেতে! কিন্তু কই, তা তো পারছি না। মেঘের কারণে নীড়ও খুঁজে পাচ্ছি না দিক হারা এই অচেতন আমি। মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসার মাঝে পাওয়া কিছু আনন্দ ও সুখ এখন বিশাল সম্পদ। সেই অনুরাগে রঙ মেখে বন্ধ দু'নয়নে অবুঝ শিশুর মতো কত কি আঁকি! যা দেখলে মনে হয় ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা! কতই না রঙিন ছিল সেই দিনগুলো। বারবার আবেগতাড়িত হয় ব্যথাতুর মন। তবু ধুকে পড়তে পড়তে থমকে দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যে আবার ভাবি, এবার দিগন্তে হারিয়ে যাব কিংবা পাখির মতো উড়াল দেব। রোদ্দুর মাঝে মেলে দেব নীল ডানা। নদী-সাগর, পাহাড় পাড়ি দিয়ে ঘর বাঁধব ওই নীল আসমানে। অনুরাগে অভিমানী মন আমার রোদ না পাক, চন্দ্র না পাক; জ্যোৎস্নায় খুঁজে নিক সামান্য ঠাঁই। তাও যদি না হয়, তবে যত্ন করে ভুলে যেও আমায়; ভাবনায় নাইবা আনলে আমায়; বারণ নেই। তবে বলতে লজ্জা হচ্ছে, কণ্ঠে আমার পরাজয়ের ছোঁয়া লেগেছে। পরাজয়ের ছোঁয়া লেগেছে আমার ভাবনার নীল আকাশেও। তুমি মনে রেখো, রোদ যেমন একান্তই সূর্যের, তেমনি এই সময়টাও শুধুই একান্ত তোমার। তাই তো তুমি আছ সুখে। প্রজাপতির রঙ গায়ে মেখে। দীর্ঘ দিনের লালিত একটি স্বপ্ন থেকে তুমি আমাকে বঞ্চিত করেছ। আর কিছু না হোক, সব অভিমান ফেলে দিলাম আবর্জনায়। তার পরও একটি ভবিষ্যৎ থেকে সাত সাগর দূরে রাখলে কেন? এ প্রশ্নটা মনের কোণে বারবার উঁকি দিয়ে যায়। তবু তোমার কোনো অকল্যাণ কামনা আমার মন থেকেই আসে না। মন থেকে তর তর করে বেরিয়ে আসে রাজ্যের আবেগমাখা দরদ।
এস.এম. খালেদুল হক
smkhaledh@gmail.com
No comments