বটতলা বস্তিতে আগুন ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগের অন্ত নেই

রাজধানীর রায়েরবাজারের বটতলা বস্তিতে অগি্নকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। ভয়াবহ আগুনে সব হারানোর পর তারা ঠাঁই নিয়েছে স্থানীয় একটি অর্ধনির্মিত ভবনের খোলা জায়গায়। সেখানে গাদাগাদি করে রাত কাটালেও তাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। আগামীর দিনগুলো কীভাবে কাটবে সেটাই এখন তাদের চিন্তার বিষয়। এদিকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সেখানে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার।


ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৃহস্পতিবারের অগি্নকাণ্ডে শুধু তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুই পুড়ে যায়নি, সহায়-সম্বল বলতে যা কিছু ছিল সবই শেষ হয়েছে। এখন তারা পুরোপুরি নিঃস্ব। রাতে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থাও নেই। এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক পুড়ে যাওয়া বস্তির পাশে কাদেরিয়া হাউজিংয়ের একটি অর্ধনির্মিত ভবনের ভেতরে অস্থায়ী ভিত্তিতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এক হাজারেরও বেশি মানুষের সেখানে ঠাঁই হওয়া মুশকিল। তারা কোনো রকমে রাত কাটিয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সেখানে তাদের তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ বিলকিস বেগম জানান, এখানে কোনো রকম থাকতে পারলেও বিছানাপত্রের অভাবে কেউ ঘুমাতে পারছেন না। প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারতে গিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, তার স্বামী পেশায় শ্রমিক। তার আয়েই সংসার চলে। এ ঘটনার পর গতকাল তার স্বামী কাজে যেতে পারেননি। এভাবে ক'দিন চলবে তিনি বুঝতে পারছেন না।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে। আগুনে আহতদের জন্য আজ শনিবার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য এলাকার বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.