সেরা ৫ নতুন আর্থিক সফটওয়্যার by কবির আমাইন
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডিনেট এবং সিটি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করে সিটি ফিন্যান্সিয়াল আইটি কেস প্রতিযোগিতা [সিএফআইসিসি]। সহজে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ডেভেলপ করা নতুন সফটওয়্যার নিয়ে হাজির হন প্রতিযোগিতায়। লিখেছেন কবির আমাইনদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সফটওয়্যার তৈরিতে আগ্রহী করে তুলতে
ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক [ডিনেট] এবং সিিিট ফাউন্ডেশনের সিটি ব্যাংক আয়োজন করে সিটি ফিন্যান্সিয়াল আইটি কেস কম্পিটিশিন [সিএফআইসিসি]। ২০০৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় এই প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসর ছিল এবার। চলতি বছর ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬৫ দল অংশগ্রহণ করেছে। দলগুলো চারটি পর্বে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে। ৬৫ দল তাদের প্রকল্প জমা দিয়েছিল অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে বিচারকমণ্ডলী দ্বারা অনলাইন মূল্যায়নের পর ২৫টি দলকে প্রথম পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত ১ম পর্বে প্রতিযোগিতার পর ১০টি দলকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য বাছাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে গত ১ অক্টোবর নির্বাচিত করা হয় শ্রেষ্ঠ পাঁচটি দল।
শীর্ষ পাঁচ উদ্ভাবন :প্রতিযোগিতায় জমা পড়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিচারকদের বিচারে শীর্ষ পাঁচটি দলের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এ পাঁচটি দলের মধ্যে চারটি দলই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের [বুয়েট] শিক্ষার্থী। অন্য দলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের [আইবিএ]। বুয়েটের দলগুলোর নাম হচ্ছে 'চ্যারিয়ট', 'স্নাইপার', 'থান্ডারস্টর্ম' এবং 'স্পন্দন'। আর আইবিএর দলটির নাম 'ক্রোম'।
উন্নত ব্যাংকিংয়ের জন্য কৃত্রিম এজেন্ট : স্নাইপার দল তৈরি করেছে 'উন্নত ব্যাংকিংয়ের জন্য কৃত্রিম এজেন্ট' নামে সফটওয়্যার। স্নাইপারের সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটের সাজ্জাদ হোসেন, মেছবাহুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আবদুুল কাদের এবং এনামুল করিম। তারা জানান, সফটওয়্যারটি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম সফলভাবে ডাটা মাইনিংয়ের প্রবর্তন করেছে। আমাদের নির্মিত এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পূর্ববর্তী বছরগুলোর সব তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ ব্যাংকিং ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাটার্ন খোঁজা সহজ হবে।
অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট : স্বয়ংক্রিয় অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তিটি ডেভেলপ করেছে স্পন্দন দল। দলটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সঞ্জয় কুমার পাল, শুভ্রা পাল, সাদিয়া জাহিন এবং মাস-উদ হোসেন। ডেভেলপাররা জানান, প্রকল্পটি প্রতিটি গ্রাহকের সময় বাঁচাবে এবং ব্যাংকে তার কাজকে আরও সহজ করে দেবে। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো সেবা গ্রহণ করার জন্য আমাদের লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। ব্যাংক, হাসপাতাল, বাস কাউন্টার এসবের ক্ষেত্রে এটা বেশি প্রযোজ্য। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, এই অপেক্ষার সময়টা নূ্যনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনা। আমাদের উদ্ভাবন হচ্ছে একটি 'অটোমেটেড অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' তৈরি করা, যা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ভিড়ের ভারসাম্য তৈরি করবে। একজন ব্যক্তি যদি ব্যাংকের কোনো শাখায় যেতে চায়, সে আগে থেকে জানবে না সেখানে ভিড় কেমন। তবে আমাদের এ প্রযুক্তি সিস্টেম ক্রেতাদের বিভিন্ন শাখায় ভিড়ের অবস্থা জানাবে এবং তাদের পরামর্শ দেবে কোথায় গেলে সবচেয়ে কম সময়ে সেবা পাওয়া যাবে। সেবাটি অনলাইননির্ভর। তাই ওয়েবসাইটের সদস্যা হওয়ার মাধ্যমে এ সেবাটি পেতে হবে। চাইলে যে কেউ ওয়েবসাইট থেকে ১-২ দিন আগে অগ্রিম টোকেন নিতে পারবেন।
স্টক মার্কেটিয়ার : বুয়েটের থান্ডারস্টর্মের তৈরি করা সফটওয়্যারটি হলো স্টক মার্কেটিয়ার। থান্ডারস্টর্মের সদস্য ফরিদ ইউসুফ সাদেক, রিজাউর রহমান, কাজী তাসনিফ এবং লিসুল ইসলাম জানান, এটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে নিরাপদ করবে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো সাধারণ মুঠোফোনের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা ও বাজার পর্যবেক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এটি আমাদের দেশে এই মুহূর্তে প্রয়োগযোগ্য এবং নিঃসন্দেহে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ_ সবার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরি ব্যবস্থা বলে আমরা মনে করছি। এটি শেয়ার ব্রোকার হাউজে না গিয়ে যে কোনো লেনদেন করার সুবিধা দেবে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের জন্য যাতায়াত ব্যয়, কমিশন ব্যয় সর্বোপরি সময় কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এটি বর্তমানে প্রচলিত ম্যানুয়াল লেনদেন পরিচালনা ব্যবস্থায় যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হচ্ছে তা থেকে রেহাই দেবে। আর ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজকে তাদের সীমাবদ্ধ পরিসরে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারীকে স্থান সংকুলান করার সমস্যা কিংবা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাখা স্থাপনের ব্যয় থেকে মুক্তি দেবে।
মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট : বুয়েটের চ্যারিয়ট দল পদ্ধতিটি তৈরি করেছে। দলটির সদস্য শাহরিয়ার মাজিদ খান, সাজ্জাদুর রহমান, তৌসিফ আহমেদ এবং রাহাত ইবনে রফিক জানান, মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্টের (এম-এড) মাধ্যমে যে কোনো বিজ্ঞাপনদাতা মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। আর কেউ যদি নিজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখতে চান সেটিও সহজেই দেখতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপনদাতাকে নিবন্ধিত হতে হবে। এর পর তিনি সফটওয়্যারের ক্লাসিফায়েড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বিভাগে গিয়ে নিজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট সুবিধাটির মাধ্যমে বাড়ি/ফ্ল্যাট ভাড়া/ক্রয়-বিক্রয়, পড়াতে চাই/টিউটর আবশ্যক, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং পাত্র/পাত্রী চাই ইত্যাদি ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে।
এমএফআই বেজ : আইবিএর ক্রোম দলের তৈরি করা সফটওয়্যারটির নাম এমএফআই বেজ। এটি ক্ষুদ্র অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীয় অর্থ সংক্রান্ত ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। আইবিএর রাফাত ওয়াসিক আহমেদ, তানভির আলম, আশফাকুল হক চৌধুরী এবং হিসাম হায়দার দেওয়ান ক্রোম দলের সদস্য। তারা জানান, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের বিস্তারিত তথ্য এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে সংরক্ষণ করা যাবে। আর প্রয়োজনমতো সময়ে নির্দিষ্ট ঋণ গ্রহীতার লেনদেনের বিস্তারিত, ইনস্টলমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং তার ঋণ সংক্রান্ত সব তথ্যই পাওয়া যাবে অনলাইন থেকে। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্রাউজার এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও এ সেবা পাওয়া যাবে বলে জানান ডেভেলপাররা।
চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা আজ :প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পাঁচটি দলের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিজয়ীদের ক্রোম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আজই বিজয়ীদের ক্রম তালিকা প্রকাশ এবং বিজয়ী করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে আজ রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচটি দলকে যথাক্রমে ৩ হাজার, ২ হাজার, ১ হাজার, ৫০০ ও ১০০ ডলার সমপরিমাণ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ডিনেটের পরিচালক ড. অনন্য রায়হান বলেন, 'এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের আর্থিক খাতের তথ্যপ্রযুক্তির চাহিদা পূরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।'
শীর্ষ পাঁচ উদ্ভাবন :প্রতিযোগিতায় জমা পড়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিচারকদের বিচারে শীর্ষ পাঁচটি দলের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এ পাঁচটি দলের মধ্যে চারটি দলই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের [বুয়েট] শিক্ষার্থী। অন্য দলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের [আইবিএ]। বুয়েটের দলগুলোর নাম হচ্ছে 'চ্যারিয়ট', 'স্নাইপার', 'থান্ডারস্টর্ম' এবং 'স্পন্দন'। আর আইবিএর দলটির নাম 'ক্রোম'।
উন্নত ব্যাংকিংয়ের জন্য কৃত্রিম এজেন্ট : স্নাইপার দল তৈরি করেছে 'উন্নত ব্যাংকিংয়ের জন্য কৃত্রিম এজেন্ট' নামে সফটওয়্যার। স্নাইপারের সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটের সাজ্জাদ হোসেন, মেছবাহুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আবদুুল কাদের এবং এনামুল করিম। তারা জানান, সফটওয়্যারটি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম সফলভাবে ডাটা মাইনিংয়ের প্রবর্তন করেছে। আমাদের নির্মিত এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পূর্ববর্তী বছরগুলোর সব তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ ব্যাংকিং ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাটার্ন খোঁজা সহজ হবে।
অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট : স্বয়ংক্রিয় অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তিটি ডেভেলপ করেছে স্পন্দন দল। দলটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সঞ্জয় কুমার পাল, শুভ্রা পাল, সাদিয়া জাহিন এবং মাস-উদ হোসেন। ডেভেলপাররা জানান, প্রকল্পটি প্রতিটি গ্রাহকের সময় বাঁচাবে এবং ব্যাংকে তার কাজকে আরও সহজ করে দেবে। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো সেবা গ্রহণ করার জন্য আমাদের লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। ব্যাংক, হাসপাতাল, বাস কাউন্টার এসবের ক্ষেত্রে এটা বেশি প্রযোজ্য। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, এই অপেক্ষার সময়টা নূ্যনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনা। আমাদের উদ্ভাবন হচ্ছে একটি 'অটোমেটেড অনলাইন কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' তৈরি করা, যা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ভিড়ের ভারসাম্য তৈরি করবে। একজন ব্যক্তি যদি ব্যাংকের কোনো শাখায় যেতে চায়, সে আগে থেকে জানবে না সেখানে ভিড় কেমন। তবে আমাদের এ প্রযুক্তি সিস্টেম ক্রেতাদের বিভিন্ন শাখায় ভিড়ের অবস্থা জানাবে এবং তাদের পরামর্শ দেবে কোথায় গেলে সবচেয়ে কম সময়ে সেবা পাওয়া যাবে। সেবাটি অনলাইননির্ভর। তাই ওয়েবসাইটের সদস্যা হওয়ার মাধ্যমে এ সেবাটি পেতে হবে। চাইলে যে কেউ ওয়েবসাইট থেকে ১-২ দিন আগে অগ্রিম টোকেন নিতে পারবেন।
স্টক মার্কেটিয়ার : বুয়েটের থান্ডারস্টর্মের তৈরি করা সফটওয়্যারটি হলো স্টক মার্কেটিয়ার। থান্ডারস্টর্মের সদস্য ফরিদ ইউসুফ সাদেক, রিজাউর রহমান, কাজী তাসনিফ এবং লিসুল ইসলাম জানান, এটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে নিরাপদ করবে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো সাধারণ মুঠোফোনের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা ও বাজার পর্যবেক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এটি আমাদের দেশে এই মুহূর্তে প্রয়োগযোগ্য এবং নিঃসন্দেহে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ_ সবার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরি ব্যবস্থা বলে আমরা মনে করছি। এটি শেয়ার ব্রোকার হাউজে না গিয়ে যে কোনো লেনদেন করার সুবিধা দেবে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের জন্য যাতায়াত ব্যয়, কমিশন ব্যয় সর্বোপরি সময় কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এটি বর্তমানে প্রচলিত ম্যানুয়াল লেনদেন পরিচালনা ব্যবস্থায় যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হচ্ছে তা থেকে রেহাই দেবে। আর ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজকে তাদের সীমাবদ্ধ পরিসরে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারীকে স্থান সংকুলান করার সমস্যা কিংবা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাখা স্থাপনের ব্যয় থেকে মুক্তি দেবে।
মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট : বুয়েটের চ্যারিয়ট দল পদ্ধতিটি তৈরি করেছে। দলটির সদস্য শাহরিয়ার মাজিদ খান, সাজ্জাদুর রহমান, তৌসিফ আহমেদ এবং রাহাত ইবনে রফিক জানান, মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্টের (এম-এড) মাধ্যমে যে কোনো বিজ্ঞাপনদাতা মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। আর কেউ যদি নিজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখতে চান সেটিও সহজেই দেখতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপনদাতাকে নিবন্ধিত হতে হবে। এর পর তিনি সফটওয়্যারের ক্লাসিফায়েড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বিভাগে গিয়ে নিজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। মোবাইল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট সুবিধাটির মাধ্যমে বাড়ি/ফ্ল্যাট ভাড়া/ক্রয়-বিক্রয়, পড়াতে চাই/টিউটর আবশ্যক, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং পাত্র/পাত্রী চাই ইত্যাদি ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে।
এমএফআই বেজ : আইবিএর ক্রোম দলের তৈরি করা সফটওয়্যারটির নাম এমএফআই বেজ। এটি ক্ষুদ্র অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীয় অর্থ সংক্রান্ত ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। আইবিএর রাফাত ওয়াসিক আহমেদ, তানভির আলম, আশফাকুল হক চৌধুরী এবং হিসাম হায়দার দেওয়ান ক্রোম দলের সদস্য। তারা জানান, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের বিস্তারিত তথ্য এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে সংরক্ষণ করা যাবে। আর প্রয়োজনমতো সময়ে নির্দিষ্ট ঋণ গ্রহীতার লেনদেনের বিস্তারিত, ইনস্টলমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং তার ঋণ সংক্রান্ত সব তথ্যই পাওয়া যাবে অনলাইন থেকে। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্রাউজার এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও এ সেবা পাওয়া যাবে বলে জানান ডেভেলপাররা।
চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা আজ :প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পাঁচটি দলের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিজয়ীদের ক্রোম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আজই বিজয়ীদের ক্রম তালিকা প্রকাশ এবং বিজয়ী করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে আজ রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচটি দলকে যথাক্রমে ৩ হাজার, ২ হাজার, ১ হাজার, ৫০০ ও ১০০ ডলার সমপরিমাণ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ডিনেটের পরিচালক ড. অনন্য রায়হান বলেন, 'এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের আর্থিক খাতের তথ্যপ্রযুক্তির চাহিদা পূরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।'
No comments