দুর্ভোগের ঈদযাত্রা-আবারও সেই পুরনো ছবি
ঈদে বাড়ি ফেরা মানেই দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা। এ চিত্র প্রতিবছরের, প্রতি ঈদের। অন্য সময় যে টিকিট হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়, সেই টিকিট ঈদের আগে সোনার হরিণ। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিবছরের মতো এবারও ঘটেছে। কোথাও টিকিট নেই। প্রতিবছরই ঈদের আগে বাসের টিকিট পাওয়া যাবে না। ট্রেনের টিকিট হাওয়া হয়ে যায়, ফুরিয়ে যায় লঞ্চের টিকিট। কিন্তু তার পরও বাড়িতে ফিরতে হয়। ফিরতে হয় নাড়ির টানে।
বছরের সবচেয়ে বড় উৎসবের আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে সবাই উৎসুক। সে কারণেই বাড়িতে ফেরার তাড়া। হাজারো বিড়ম্বনা সয়ে ঈদের সময় ঘরে ফেরার ব্যাপারে যেন আপত্তি নেই কারো।
ঘরে ফেরার আগে টিকিটের বিড়ম্বনা, সেই টিকিট নিয়ে পথে বের হতেই আরেক বিড়ম্বনা যানজট। এর পাশাপাশি আরো অনেক বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় ঘরমুখী মানুষকে। অনেক কষ্ট করে একটি টিকিট হাতে পাওয়ার পর ঘরে ফিরতে পথের বিড়ম্বনাও কম নয়। শুধু এই রাজধানী ঢাকার কথাই যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে, ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যেকোনো শহরে যেতে ঈদের আগে বারো থেকে আঠারো ঘণ্টাও লেগে যায়। অথচ অন্য সময় এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এর মূলে রয়েছে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের যানজট। কাঁচপুর ব্রিজের অপর পাশ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, উত্তরবঙ্গের দিকে যাওয়া মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় মহাসড়কের যানজট ও বিড়ম্বনার প্রধান কারণ। এসব মোড়ে যত্রতত্র গাড়ি রাখা হয়। দূরপাল্লার অনেক বাস এখানে যাত্রী ওঠায়। ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এসব রুটে নিয়মিত যেসব যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে, সেসব বাসের তুলনায় ঈদের সময় বেশি বাস চলে। বাস কম্পানিগুলো অধিক যাত্রী পরিবহনের জন্য বেশিসংখ্যক বাস পথে রাখে। এ ছাড়া এ সময় অনেক প্রাইভেট কার রাস্তায় আসে। অধিক মুনাফার লোভে রাস্তায় চলে আসে রাজধানীর টাউন সার্ভিসের অনেক বাস। ফলে মহাসড়কগুলোতে অত্যধিক গাড়ির চাপ পড়ে। এতে দেখা যায়, রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেই যানজট বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। গত দুই দিনের যানজটের চিত্রটি তো রীতিমতো ভয়াবহ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় দুই দিন আগে ছিল ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। অন্যদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কেও এবার যে তীব্র যানজট হবে না, সে নিশ্চয়তা দিচ্ছে কে? আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আছে ভাঙা রাস্তার দুর্ভোগ।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সংস্কারকাজ হলেও সামান্য সময়ের ব্যবধানেই তা ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মহাসড়কের কোথাও কোথাও সড়কের মাঝখানে টিলার মতো উঁচু হয়ে আছে ইটের খোয়া। কোথাও বা সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো দৌলতদিয়া ঘাট-খুলনা মহাসড়কেও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের অনেক পর আসা-যাওয়া করেছে। এ কারণে ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন দিয়েছে। কিন্তু সেই ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়বে ও গন্তব্যে পেঁৗছবে_এমন নিশ্চয়তা নেই। লঞ্চরুটেও একই অবস্থা। কিন্তু তার পরও মানুষকে যেতে হবে প্রিয়জনের সানি্নধ্যে। ভাগ করে নিতে হবে ঈদের আনন্দ।
ঘরে ফেরার আগে টিকিটের বিড়ম্বনা, সেই টিকিট নিয়ে পথে বের হতেই আরেক বিড়ম্বনা যানজট। এর পাশাপাশি আরো অনেক বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় ঘরমুখী মানুষকে। অনেক কষ্ট করে একটি টিকিট হাতে পাওয়ার পর ঘরে ফিরতে পথের বিড়ম্বনাও কম নয়। শুধু এই রাজধানী ঢাকার কথাই যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে, ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যেকোনো শহরে যেতে ঈদের আগে বারো থেকে আঠারো ঘণ্টাও লেগে যায়। অথচ অন্য সময় এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এর মূলে রয়েছে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের যানজট। কাঁচপুর ব্রিজের অপর পাশ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, উত্তরবঙ্গের দিকে যাওয়া মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় মহাসড়কের যানজট ও বিড়ম্বনার প্রধান কারণ। এসব মোড়ে যত্রতত্র গাড়ি রাখা হয়। দূরপাল্লার অনেক বাস এখানে যাত্রী ওঠায়। ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এসব রুটে নিয়মিত যেসব যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে, সেসব বাসের তুলনায় ঈদের সময় বেশি বাস চলে। বাস কম্পানিগুলো অধিক যাত্রী পরিবহনের জন্য বেশিসংখ্যক বাস পথে রাখে। এ ছাড়া এ সময় অনেক প্রাইভেট কার রাস্তায় আসে। অধিক মুনাফার লোভে রাস্তায় চলে আসে রাজধানীর টাউন সার্ভিসের অনেক বাস। ফলে মহাসড়কগুলোতে অত্যধিক গাড়ির চাপ পড়ে। এতে দেখা যায়, রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেই যানজট বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। গত দুই দিনের যানজটের চিত্রটি তো রীতিমতো ভয়াবহ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় দুই দিন আগে ছিল ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। অন্যদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কেও এবার যে তীব্র যানজট হবে না, সে নিশ্চয়তা দিচ্ছে কে? আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আছে ভাঙা রাস্তার দুর্ভোগ।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সংস্কারকাজ হলেও সামান্য সময়ের ব্যবধানেই তা ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মহাসড়কের কোথাও কোথাও সড়কের মাঝখানে টিলার মতো উঁচু হয়ে আছে ইটের খোয়া। কোথাও বা সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো দৌলতদিয়া ঘাট-খুলনা মহাসড়কেও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের অনেক পর আসা-যাওয়া করেছে। এ কারণে ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন দিয়েছে। কিন্তু সেই ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়বে ও গন্তব্যে পেঁৗছবে_এমন নিশ্চয়তা নেই। লঞ্চরুটেও একই অবস্থা। কিন্তু তার পরও মানুষকে যেতে হবে প্রিয়জনের সানি্নধ্যে। ভাগ করে নিতে হবে ঈদের আনন্দ।
No comments