তিন মাসেও পাকিস্তানের ভিসা পান না বাংলাদেশি কূটনীতিকরা by মেহেদী হাসান
তিন মাসেও পাকিস্তানের ভিসা পাচ্ছেন না সে দেশের বাংলাদেশ মিশনে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা কূটনীতিক, কর্মকর্তা, অন্য সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। পাকিস্তানের ভিসা নীতির কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি মিশনে যোগদানের আদেশ পাওয়া বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা (পাকিস্তানের) পেতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগছে। বিশেষ করে গত ছয় মাস ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশন ও ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিক, কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা আবেদন 'এমপ্লয়মেন্ট/অ্যাসাইনমেন্ট' ক্যাটাগরিতে পড়ে। পাকিস্তান সরকারের নতুন ভিসা নীতির আওতায় এমপ্লয়মেন্ট/অ্যাসাইনমেন্ট ক্যাটাগরির ভিসা ছাড়পত্রের জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই ছাড়পত্র এলেই বাংলাদেশের কূটনীতিক বা কর্মকর্তাদের ভিসা দেওয়া হয়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে বাংলাদেশ মিশনের দ্বিতীয় সচিব (মনোনীত-ডেজিগনেট) ভিসার জন্য আবেদন করার পর ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন তাঁকে জানিয়েছে, ভিসা ছাড়পত্র আসতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। এদিকে পাকিস্তানে বাংলাদেশ মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য একজন গাড়িচালক গত চার মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। চার মাসেও তাঁর ভিসা ছাড়পত্র আসেনি।
পাকিস্তানের ভিসা পেতে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের দেরি হলেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশের ভিসার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের কূটনীতিকদের দুই কর্মদিবস এমনকি কখনো কখনো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও ভিসা দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি 'রিসিপ্রোকাল'। অর্থাৎ এক দেশ অপর দেশের নাগরিকদের জন্য যে প্রক্রিয়ায় ভিসা দিয়ে থাকে ওই দেশও তা অনুসরণ করে। পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তরিক হলেও ওই দেশের কাছ থেকে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কূটনৈতিকভাবেই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে বাংলাদেশ মিশনের দ্বিতীয় সচিব (মনোনীত-ডেজিগনেট) ভিসার জন্য আবেদন করার পর ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন তাঁকে জানিয়েছে, ভিসা ছাড়পত্র আসতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। এদিকে পাকিস্তানে বাংলাদেশ মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য একজন গাড়িচালক গত চার মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। চার মাসেও তাঁর ভিসা ছাড়পত্র আসেনি।
পাকিস্তানের ভিসা পেতে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের দেরি হলেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশের ভিসার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের কূটনীতিকদের দুই কর্মদিবস এমনকি কখনো কখনো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও ভিসা দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি 'রিসিপ্রোকাল'। অর্থাৎ এক দেশ অপর দেশের নাগরিকদের জন্য যে প্রক্রিয়ায় ভিসা দিয়ে থাকে ওই দেশও তা অনুসরণ করে। পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তরিক হলেও ওই দেশের কাছ থেকে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কূটনৈতিকভাবেই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
No comments