মুম্বাই হামলায় জড়িতদের ভারতে হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছিলেন জারদারি!
পাকিস্তানের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযানে ওসামা বিন লাদেন হত্যার পর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি চরম বেকায়দায় পড়েছিলেন। সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন তিনি। এতটাই শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে, সম্ভাব্য অভ্যুত্থান ঠেকাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। পাশাপাশি মুম্বাই হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত পাকিস্তানিদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার
করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তৎকালীন প্রধান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেনের কাছে জারদারির পাঠানো গোপন নথি থেকে এসব কথা জানা গেছে।
ফরেন পলিসি সাময়িকীর ব্লগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নথিটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন একটি নিরাপত্তাদলও গঠন করতে চেয়েছিলেন জারদারি। নথিতে জারদারি বলেন, 'নতুন নিরাপত্তাদলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ভারত সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব; ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের ভেতরে, বাইরে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থায়_যেখানেই কর্মরত থাকুক না কেন। এর মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ মিলবে তাদের ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।' এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি মেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
জারদারির নথিতে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি, তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরেরও অঙ্গীকার করেছেন। এসব নেতাকে ধরতে বা হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালানোর ব্যাপারে 'সবুজ সংকেত' দেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে নথিতে।
প্রসঙ্গত, ওই নথির বিষয়টি গত মাসে জনসমক্ষে আনেন মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর মাধ্যমেই নথিটি মুলেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। গত ১০ অক্টোবর ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে ইজাজ নিজেই নথিটির কথা ফাঁস করেন। ইজাজের ভাষ্য মতে, গত ২ মে বিন লাদেন হত্যার পর মুলেনকে চিঠিটি দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি চিঠিটির খসড়া লিখেছিলেন। তবে হাক্কানি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জন কিরবে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, গোপন নথি কিংবা এর বিষয়বস্তু কোনোটাই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে মুলেনের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না। এ ধরনের কোনো চিঠি মুলেন পাননি বলে তিনি জানান। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, দ্য নিউজ, এনডিটিভি।
ফরেন পলিসি সাময়িকীর ব্লগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নথিটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন একটি নিরাপত্তাদলও গঠন করতে চেয়েছিলেন জারদারি। নথিতে জারদারি বলেন, 'নতুন নিরাপত্তাদলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ভারত সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব; ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের ভেতরে, বাইরে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থায়_যেখানেই কর্মরত থাকুক না কেন। এর মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ মিলবে তাদের ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।' এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি মেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
জারদারির নথিতে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি, তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরেরও অঙ্গীকার করেছেন। এসব নেতাকে ধরতে বা হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালানোর ব্যাপারে 'সবুজ সংকেত' দেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে নথিতে।
প্রসঙ্গত, ওই নথির বিষয়টি গত মাসে জনসমক্ষে আনেন মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর মাধ্যমেই নথিটি মুলেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। গত ১০ অক্টোবর ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে ইজাজ নিজেই নথিটির কথা ফাঁস করেন। ইজাজের ভাষ্য মতে, গত ২ মে বিন লাদেন হত্যার পর মুলেনকে চিঠিটি দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি চিঠিটির খসড়া লিখেছিলেন। তবে হাক্কানি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জন কিরবে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, গোপন নথি কিংবা এর বিষয়বস্তু কোনোটাই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে মুলেনের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না। এ ধরনের কোনো চিঠি মুলেন পাননি বলে তিনি জানান। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, দ্য নিউজ, এনডিটিভি।
No comments