মাওবাদীদের হিটলিস্টে মমতাসহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা! by সুব্রত আচার্য্য,
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা উচ্চারণ করার পরিণতি হিসেবে পশ্চিমবেঙ্গর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মোট ১১ জন শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে মাওবাদীরা।গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, মাওবাদীদের আর সময় দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, দলীয় কয়েকজন নেতাকে হত্যার পর পরই জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী অভিযানও শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি থেকে রাজ্য সরকারের সচিবালয় মহাকরণের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতমের কাছে এক বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। তবে এর পরই মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কি না, সেটা জানা না গেলেও মাওবাদীদের এমন হিটলিস্ট নিয়ে শঙ্কিত নন তৃণমূল নেতারা।
টেলিফোনে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মলি্লক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'উন্নয়নটাই আমাদের এখন বড় চিন্তা। কে কী হুমকি দিল, সেটা দেখার সময় নেই।
জঙ্গলমহলসহ গত ৩৪ বছরে রাজ্যে কোনো উন্নয়ন হয়নি। পিছিয়ে পড়া রাজ্যের মানুষ আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।' গতকালই সল্টলেকে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনের তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাওবাদীরা পোস্টার লাগিয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, 'মাওবাদীরা খুনের রাজনীতি বিশ্বাস করে। আর তৃণমূল সরকার উন্নয়নের রাজনীতি করে। হত্যা-অপহরণের ভয় দেখিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন উন্নয়নের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে।'
পূর্ব মেদিনীপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাওবাদী দমনে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে রাজ্য সরকার। আদিবাসীদের ও জঙ্গলমহলে পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে নিতে এই সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান ওই নেতা।
এ ছাড়া মাওবাদীদের হিটলিস্টে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নাম আছে বলে জানা গেছে।
টেলিফোনে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মলি্লক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'উন্নয়নটাই আমাদের এখন বড় চিন্তা। কে কী হুমকি দিল, সেটা দেখার সময় নেই।
জঙ্গলমহলসহ গত ৩৪ বছরে রাজ্যে কোনো উন্নয়ন হয়নি। পিছিয়ে পড়া রাজ্যের মানুষ আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।' গতকালই সল্টলেকে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনের তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাওবাদীরা পোস্টার লাগিয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, 'মাওবাদীরা খুনের রাজনীতি বিশ্বাস করে। আর তৃণমূল সরকার উন্নয়নের রাজনীতি করে। হত্যা-অপহরণের ভয় দেখিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন উন্নয়নের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে।'
পূর্ব মেদিনীপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাওবাদী দমনে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে রাজ্য সরকার। আদিবাসীদের ও জঙ্গলমহলে পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে নিতে এই সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান ওই নেতা।
এ ছাড়া মাওবাদীদের হিটলিস্টে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নাম আছে বলে জানা গেছে।
No comments