'শেষ সুযোগ' হারিয়ে অবরোধের মুখে সিরিয়া
পর্যবেক্ষকদের ঢোকার অনুমতি দিতে সিরিয়াকে বেঁধে দেওয়া আরব লিগের সময়সীমা গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সময়সীমা পার হলেও সিরিয়া সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তুরস্ক বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে দেওয়া এটাই ছিল শেষ সুযোগ।সিরিয়ার বিষয়ে আজ শনিবার আরব লিগের অর্থমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন। সেখানে সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, অবরোধের আওতায় সিরিয়ার বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ওপর স্থগিতাদেশ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন স্থগিত এবং সরকারের সম্পদ জব্দ করা হতে পারে।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমননীতি বন্ধে আসাদ সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে আরব লিগ। এ মাসের শুরুতে সংস্থাটি সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। সহিংসতা বন্ধে আসাদ সরকারকে গত ১৬ নভেম্বর তিন দিনের সময় বেঁধে দেয় তারা। দাবি না মানলে অবরোধের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু সিরিয়া ওই হুমকি পাত্তা না দিয়ে সহিংসতা অব্যাহত রাখে। সিরীয় মানবাধিকারকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ৫১ জন মারা যায়। গত মার্চে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আরব লিগ সিরিয়ায় ৫০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আরব লিগের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার বিষয়ে মিসরে জরুরি বৈঠক করেন। শেষ সুযোগ হিসেবে আরব লিগের প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি চান তাঁরা। কায়রোয় এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে সইয়ের জন্য গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আরব লিগের প্রস্তাবের জবাবে সিরিয়া ৪০ জন পর্যবেক্ষককে দেশে ঢোকার অনমুতি দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব নেতারা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকেই প্রথমবারের জাতিসংঘকে সিরিয়া সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানান আরব নেতারা।
সিরিয়াকে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আগে গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, 'এটাই সিরিয়ার সর্বশেষ সুযোগ।'
তবে সিরিয়ার ওপর অবরোধের বিষয়ে সম্মতি না দেওয়ার কথা জানিয়েছে লেবানন। রাশিয়াও সিরিয়া সরকারের ওপর আরব লিগের ক্রমবর্ধমান চাপের বিরোধিতা করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেঙ্ান্দার লুকাশেভিচ গতকাল বলেন, 'এ পর্যায়ে সিরিয়ার ওপর কোনো প্রস্তাব, নিষেধাজ্ঞা বা চাপ দেওয়া উচিত নয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দলগুলোকে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। মানবাধিকারের অজুহাতে সেখানে অভিযান চালানো ঠিক হবে না। রাশিয়া এ ধরনের অভিযানের বিরোধিতা করবে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমননীতি বন্ধে আসাদ সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে আরব লিগ। এ মাসের শুরুতে সংস্থাটি সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। সহিংসতা বন্ধে আসাদ সরকারকে গত ১৬ নভেম্বর তিন দিনের সময় বেঁধে দেয় তারা। দাবি না মানলে অবরোধের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু সিরিয়া ওই হুমকি পাত্তা না দিয়ে সহিংসতা অব্যাহত রাখে। সিরীয় মানবাধিকারকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ৫১ জন মারা যায়। গত মার্চে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আরব লিগ সিরিয়ায় ৫০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আরব লিগের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার বিষয়ে মিসরে জরুরি বৈঠক করেন। শেষ সুযোগ হিসেবে আরব লিগের প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি চান তাঁরা। কায়রোয় এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে সইয়ের জন্য গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আরব লিগের প্রস্তাবের জবাবে সিরিয়া ৪০ জন পর্যবেক্ষককে দেশে ঢোকার অনমুতি দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব নেতারা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকেই প্রথমবারের জাতিসংঘকে সিরিয়া সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানান আরব নেতারা।
সিরিয়াকে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আগে গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, 'এটাই সিরিয়ার সর্বশেষ সুযোগ।'
তবে সিরিয়ার ওপর অবরোধের বিষয়ে সম্মতি না দেওয়ার কথা জানিয়েছে লেবানন। রাশিয়াও সিরিয়া সরকারের ওপর আরব লিগের ক্রমবর্ধমান চাপের বিরোধিতা করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেঙ্ান্দার লুকাশেভিচ গতকাল বলেন, 'এ পর্যায়ে সিরিয়ার ওপর কোনো প্রস্তাব, নিষেধাজ্ঞা বা চাপ দেওয়া উচিত নয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দলগুলোকে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। মানবাধিকারের অজুহাতে সেখানে অভিযান চালানো ঠিক হবে না। রাশিয়া এ ধরনের অভিযানের বিরোধিতা করবে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments