স্মার্ট চোর
জেল থেকে পালিয়ে গিয়ে বড়দিন পালন করল এক চোর। আর সেই ছবি ফেসবুকে দিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বিদ্রূপ করল সে।জেলখানা থেকে পালিয়ে চোরেরা সাধারণত লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে, ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে চায় পুলিশের। কিন্তু ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের সাফকস্ হলেসলে বে জেলখানা থেকে পালানো চোর আটাশ বছর বয়সী ক্রেইং লেযি লিনচ, তা না করে তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের নিয়মিত আপডেট দিতে থাকে সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে।
বড়দিনে আপলোড করা একটি ছবিতে উদ্ভট সাজে সজ্জিত লিনচকে দেখা যায় রান্না করা টার্কি হাতে। বাজে ইঙ্গিত করতে থাকা সেই ছবিটার সঙ্গে ছিল তার কিছু কথা_ 'হ্যাঁ, হ্যাঁ, বড়দিনে আমিই এটা রান্না করেছি এবং আমি তাদের (জেলখানা কর্তৃপক্ষ) ফাঁকি দিতে পেরেছি আর আমি এটা খুব ভালোবাসি। আমার পরিবার, আমার বন্ধু, ভালোবাসার মানুষ, শুভানুধ্যায়ী, ভক্ত সবাইকে আমি ভালোবাসি। মেরি ক্রিসমাস। হো হো হো।'
তার একটা স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, সেদিনই সকালবেলা সে একটা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনকে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বলে ভুল করেছিল এবং সে ভয় পাচ্ছিল যে এবার হয়তো ধরা পড়তে যাচ্ছে সে।
এক রোববারে দেওয়া তার একটা স্ট্যাটাস ছিল এ রকম, 'বাইরে জমে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডা। আমি ভয় পাচ্ছি আগামী গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত আমি বাইরে (জেলখানায়) থাকতে পারব কি-না। হা হা হা।'
এসব স্ট্যাটাস থেকে বোঝা যায়, তার মধ্যে ধরা পড়ার ভয় ঠিকই ছিল।
সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ যখন সে জেল থেকে পালিয়েছিল তখন চুরির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তার মোট সাত বছরের সাজা প্রায় শেষের দিকে।
লিনচের অবস্থান সম্পর্কে যে কোনো ধরনের সূত্র খুঁজে পেতে তার ফেসবুক পেইজের ওপর কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। কিন্তু থাকলে কী হবে, তাদের চেয়ে এক পা এগিয়ে থাকতে কোনো জুড়ি ছিল না তার এবং এটা নিয়ে সে গর্বও করত।
একবার সে তার পেইজে জানাল, সে কেন্টে অবস্থিত বল্গু-ওয়াটার মলে যাচ্ছে বড়দিনের উপহার 'লিটল প্রিন্সেস' আনতে। তারপরও পুলিশ তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল।
তার এই পলায়নরত অদ্ভুত জীবন টেনেছিল অনেক মানুষকে। ফেসবুকে তার অনুসারী ছিল ৪০ হাজারেরও বেশি। ভক্তরা তাকে সমর্থন এবং শুভকামনা জানিয়ে বার্তা পাঠাত নিয়মিত।
ফেসবুকে তার অনুসারীরা সবাই যে তার ভক্ত ছিল তাও কিন্তু নয়। একজন অনুসারীর মতে, কীভাবে লোকজন লিনচকে হিরো ভাবে কে জানে! যেখানে হাজার হাজার তরুণ আফগানিস্তানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছে, লড়ছে। তারাই আসল হিরো।
জেল থেকে পলায়ন সম্পর্কে জানার জন্য চ্যানেল ফাইভ থেকে ডাকা হয়েছিল লিনচকে। সাক্ষাৎকারে সে দৃঢ়কণ্ঠে বলে, প্রথমত সে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। কিন্তু পরে লক্ষ্য করে, জেল কর্তৃপক্ষকে বিদ্রূপ করা বাক্যগুলোতে বেশ সাড়া পাচ্ছে সে। মামুলি একটা চুরির দায়ে দণ্ডিত হয়েছে বলে সে অভিমত প্রকাশ করে। সে আরও বিস্ময় প্রকাশ করে, লোকজন একটা চোরকে অনুসরণ করছে।
'আমি কখনোই তাদের আমাকে ধরার আনন্দ পেতে দেব না। প্রয়োজন হলে নিজে গিয়েই ধরা দেব।' লিনচ ছিল এতটাই আত্মবিশ্বাসী।
তবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'লিনচ যা করছে তা বাচ্চাসুলভ। তবে ফেসবুকে পুলিশকে উত্ত্যক্ত করে এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে আর কিছু নয় বরং সে তার নিজের শাস্তিকেই আরও কঠিন করে তুলছে।'
জেল থেকে পালানোর প্রায় চার মাস পর ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি অবশেষে এই স্মার্ট চোর ধরা পড়ে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের হাতে। লিনচের মতে, ফেসবুকহীন জীবন জেলে ফেরত যাওয়ার চেয়েও কষ্টকর! হ
তার একটা স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, সেদিনই সকালবেলা সে একটা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনকে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বলে ভুল করেছিল এবং সে ভয় পাচ্ছিল যে এবার হয়তো ধরা পড়তে যাচ্ছে সে।
এক রোববারে দেওয়া তার একটা স্ট্যাটাস ছিল এ রকম, 'বাইরে জমে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডা। আমি ভয় পাচ্ছি আগামী গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত আমি বাইরে (জেলখানায়) থাকতে পারব কি-না। হা হা হা।'
এসব স্ট্যাটাস থেকে বোঝা যায়, তার মধ্যে ধরা পড়ার ভয় ঠিকই ছিল।
সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ যখন সে জেল থেকে পালিয়েছিল তখন চুরির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তার মোট সাত বছরের সাজা প্রায় শেষের দিকে।
লিনচের অবস্থান সম্পর্কে যে কোনো ধরনের সূত্র খুঁজে পেতে তার ফেসবুক পেইজের ওপর কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। কিন্তু থাকলে কী হবে, তাদের চেয়ে এক পা এগিয়ে থাকতে কোনো জুড়ি ছিল না তার এবং এটা নিয়ে সে গর্বও করত।
একবার সে তার পেইজে জানাল, সে কেন্টে অবস্থিত বল্গু-ওয়াটার মলে যাচ্ছে বড়দিনের উপহার 'লিটল প্রিন্সেস' আনতে। তারপরও পুলিশ তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল।
তার এই পলায়নরত অদ্ভুত জীবন টেনেছিল অনেক মানুষকে। ফেসবুকে তার অনুসারী ছিল ৪০ হাজারেরও বেশি। ভক্তরা তাকে সমর্থন এবং শুভকামনা জানিয়ে বার্তা পাঠাত নিয়মিত।
ফেসবুকে তার অনুসারীরা সবাই যে তার ভক্ত ছিল তাও কিন্তু নয়। একজন অনুসারীর মতে, কীভাবে লোকজন লিনচকে হিরো ভাবে কে জানে! যেখানে হাজার হাজার তরুণ আফগানিস্তানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছে, লড়ছে। তারাই আসল হিরো।
জেল থেকে পলায়ন সম্পর্কে জানার জন্য চ্যানেল ফাইভ থেকে ডাকা হয়েছিল লিনচকে। সাক্ষাৎকারে সে দৃঢ়কণ্ঠে বলে, প্রথমত সে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। কিন্তু পরে লক্ষ্য করে, জেল কর্তৃপক্ষকে বিদ্রূপ করা বাক্যগুলোতে বেশ সাড়া পাচ্ছে সে। মামুলি একটা চুরির দায়ে দণ্ডিত হয়েছে বলে সে অভিমত প্রকাশ করে। সে আরও বিস্ময় প্রকাশ করে, লোকজন একটা চোরকে অনুসরণ করছে।
'আমি কখনোই তাদের আমাকে ধরার আনন্দ পেতে দেব না। প্রয়োজন হলে নিজে গিয়েই ধরা দেব।' লিনচ ছিল এতটাই আত্মবিশ্বাসী।
তবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'লিনচ যা করছে তা বাচ্চাসুলভ। তবে ফেসবুকে পুলিশকে উত্ত্যক্ত করে এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে আর কিছু নয় বরং সে তার নিজের শাস্তিকেই আরও কঠিন করে তুলছে।'
জেল থেকে পালানোর প্রায় চার মাস পর ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি অবশেষে এই স্মার্ট চোর ধরা পড়ে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের হাতে। লিনচের মতে, ফেসবুকহীন জীবন জেলে ফেরত যাওয়ার চেয়েও কষ্টকর! হ
No comments