দাম বাড়ল বিদ্যুতের-বোরো উৎপাদনেও প্রভাব পড়তে পারে
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য সংবাদটি শুভ নয়। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে_এমন আশঙ্কা গত সপ্তাহেই করা হয়েছে। সে আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হবে। এ নিয়ে এটা তৃতীয় পর্যায়ের মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি ও আগস্টে দুই ধাপে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। আগামী বছরের শুরুতে আরো এক দফা
বাড়বে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধির চাপ ভোক্তা পর্যায়ে সব দিক থেকেই পড়বে। এর পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও বিদ্যুতের এই বাড়তি মূল্যের বিরূপ প্রভাব পড়বে। বেড়ে যাবে উৎপাদন খরচ। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আবারও সেই পুরনো যুক্তি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির খবরে বলা হয়েছে, এবার পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দাম দুই দফায় ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে গড় মূল্য প্রতি কিলোওয়াট দুই টাকা ৮০ পয়সা থেকে তিন টাকা ২৭ পয়সায় উন্নীত করা হয়েছে। এ মূল্য কার্যকর হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। আর দ্বিতীয় দফায় প্রতি কিলোওয়াট তিন টাকা ৭৪ পয়সায় উন্নীত করা হয়েছে। এ হার কার্যকর হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থার জন্য রেয়াতি মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ এবার বোরো চাষেও বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবেই বোরো মৌসুমে সেচপাম্প চালাতে গড়ে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বোরো মৌসুমে সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা খোদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেরই। তাদের ধারণা, চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেচ মৌসুমের পিক পিরিয়ড ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংকটের কারণে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে।
একদিকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের চাপ, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, দুদিক সামাল দিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো আপাত বিকল্পও বোধ হয় পিডিবি বা বিইআরসির কাছে ছিল না। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এই চাপটা একবারে না দিয়ে দুইবারে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা হলেও চাপ প্রশমনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। আশ্বাসের বিষয় হচ্ছে, এরপর স্বল্প সময়ে দাম বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে লোকসান গুনতে হচ্ছে, উৎপাদন বাড়িয়ে সেটা পূরণ করা কতখানি সম্ভব_সেটা বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার বিষয়।
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির ফলে তার যে চাপ ভোক্তা পর্যায়ে পড়ে, সেটা বর্তমান সময়ের বিবেচনায় বোধ হয় অনেকটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাবে। ডিসেম্বরে প্রথমবার এবং ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের জীবনযাত্রায় তার প্রভাব যে পড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই বাড়তি চাপ কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায় হতে পারে দায়িত্বশীলতা। ভোক্তা, উৎপাদক ও বিতরকারী_সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কমাতে হবে বিদ্যুতের অপচয়।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির খবরে বলা হয়েছে, এবার পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দাম দুই দফায় ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে গড় মূল্য প্রতি কিলোওয়াট দুই টাকা ৮০ পয়সা থেকে তিন টাকা ২৭ পয়সায় উন্নীত করা হয়েছে। এ মূল্য কার্যকর হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। আর দ্বিতীয় দফায় প্রতি কিলোওয়াট তিন টাকা ৭৪ পয়সায় উন্নীত করা হয়েছে। এ হার কার্যকর হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থার জন্য রেয়াতি মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ এবার বোরো চাষেও বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবেই বোরো মৌসুমে সেচপাম্প চালাতে গড়ে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বোরো মৌসুমে সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা খোদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেরই। তাদের ধারণা, চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেচ মৌসুমের পিক পিরিয়ড ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংকটের কারণে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে।
একদিকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের চাপ, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, দুদিক সামাল দিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো আপাত বিকল্পও বোধ হয় পিডিবি বা বিইআরসির কাছে ছিল না। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এই চাপটা একবারে না দিয়ে দুইবারে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা হলেও চাপ প্রশমনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। আশ্বাসের বিষয় হচ্ছে, এরপর স্বল্প সময়ে দাম বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে লোকসান গুনতে হচ্ছে, উৎপাদন বাড়িয়ে সেটা পূরণ করা কতখানি সম্ভব_সেটা বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার বিষয়।
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির ফলে তার যে চাপ ভোক্তা পর্যায়ে পড়ে, সেটা বর্তমান সময়ের বিবেচনায় বোধ হয় অনেকটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাবে। ডিসেম্বরে প্রথমবার এবং ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের জীবনযাত্রায় তার প্রভাব যে পড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই বাড়তি চাপ কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায় হতে পারে দায়িত্বশীলতা। ভোক্তা, উৎপাদক ও বিতরকারী_সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কমাতে হবে বিদ্যুতের অপচয়।
No comments