১৭ কোটি একর বন হারাচ্ছে ব্রাজিল
কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর নামে বনবিধি শিথিলের উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাজিল। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রস্তাবিত বিলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাসও হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত আইনটির বাস্তবায়ন হলে ব্রাজিলের সাড়ে ১৭ কোটি একর আয়তনের বন উজাড় হয়ে যাবে। যা সম্মিলিতভাবে জার্মানি, ইতালি ও অস্ট্রিয়ার আয়তনের সমান।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের আয়তন ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ বর্গকিলোমিটার। প্রস্তাবিত বিলটি এখন
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের আয়তন ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ বর্গকিলোমিটার। প্রস্তাবিত বিলটি এখন
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে তোলা হবে। শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে ব্রাজিলের বননীতিতে বেশকিছু বিধিমালার পরিবর্তন হবে।
বর্তমান নীতিমালায় ব্রাজিলের আমাজন এলাকার কৃষকদের নিজেদের জমির বেশকিছু অংশ সংরক্ষণ করতে হয়। বন ও জীববৈচিত্র্য বাঁচাতেই এ নিয়ম চালু হয়েছে। স্থানভেদে সংরক্ষিত এলাকার আয়তন ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। বিধি না মানার শাস্তি হিসেবে জরিমানারও বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে গড়ে প্রতি ১০ জন কৃষকের মধ্যে প্রায় ৯ জনই এ বিধি পুরোপুরি মানেন না।
প্রস্তাবিত বিলে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে বন উজাড়ে জড়িত ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের জরিমানা মওকুফ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকার বনে ও নদীর তীরে বনভূমিতে গাছকাটার নীতিমালাও শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে নদীতীরে ১০০ থেকে ৩৩০ ফুট বনভূমি সংরক্ষণের নিয়ম চালু রয়েছে। বিজ্ঞানী ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, বিদ্যমান নীতিমালাই বনভূমি সংরক্ষণে যথেষ্ট নয় অথচ সেখানে সরকার আরো বেশি ছাড় দিচ্ছে।
বনবিধি পরিবর্তনসংক্রান্ত বিলটি গত মে মাসে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। চলতি মাসেই উচ্চকক্ষ সিনেটে তোলা হবে সেটি। সিনেটের অনুমোদন পেলে প্রেসিডেন্ট দিউমা হুসেফের কাছে পাঠানোর আগে বিলটি আরো একবার নিম্নকক্ষে আসবে।
ব্রাজিলে আগামী জুনে জাতিসংঘের ধরিত্রী সম্মেলন 'রিও-টোয়েন্টি' হওয়ার কথা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডবি্লউডবি্লউএফ) সম্প্রতি ব্রাজিলের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, বৈশ্বিক পরিবেশ সংরক্ষণের নেতৃত্ব দেওয়ার পরও ব্রাজিল নিজের পরিবেশকেই হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
উপগ্রহের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নজরদারির কারণে ব্রাজিলের বন উজাড়ের হার কিছুদিন আগ পর্যন্তও কম ছিল। ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১০ সালের জুলাই পর্যন্ত গাছকাটার পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল। কিন্তু বনবিধি পরিবর্তনের উদ্যোগে পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। আইন পাস হওয়ার আগেই বন উজাড়ের হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, বিধিমালা পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্টটি আবাদি জমিতে পরিণত হতে পারে।
তবে ব্রাজিলের কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত আইনের পক্ষেই যুক্তি দেখাচ্ছে। ব্রাজিলিয়ান কনফেডারেশন অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইভস্টকের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটর কাতিয়া আবরেউ বলেন, পরিবেশসংক্রান্ত বিধিমালা শিথিল করা হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। সরকার বন উজাড়সংক্রান্ত জরিমানা মওকুফ না করলে কৃষকরা ১০ হাজার কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ লোকসানের মুখে পড়বেন। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
বর্তমান নীতিমালায় ব্রাজিলের আমাজন এলাকার কৃষকদের নিজেদের জমির বেশকিছু অংশ সংরক্ষণ করতে হয়। বন ও জীববৈচিত্র্য বাঁচাতেই এ নিয়ম চালু হয়েছে। স্থানভেদে সংরক্ষিত এলাকার আয়তন ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। বিধি না মানার শাস্তি হিসেবে জরিমানারও বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে গড়ে প্রতি ১০ জন কৃষকের মধ্যে প্রায় ৯ জনই এ বিধি পুরোপুরি মানেন না।
প্রস্তাবিত বিলে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে বন উজাড়ে জড়িত ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের জরিমানা মওকুফ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকার বনে ও নদীর তীরে বনভূমিতে গাছকাটার নীতিমালাও শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে নদীতীরে ১০০ থেকে ৩৩০ ফুট বনভূমি সংরক্ষণের নিয়ম চালু রয়েছে। বিজ্ঞানী ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, বিদ্যমান নীতিমালাই বনভূমি সংরক্ষণে যথেষ্ট নয় অথচ সেখানে সরকার আরো বেশি ছাড় দিচ্ছে।
বনবিধি পরিবর্তনসংক্রান্ত বিলটি গত মে মাসে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। চলতি মাসেই উচ্চকক্ষ সিনেটে তোলা হবে সেটি। সিনেটের অনুমোদন পেলে প্রেসিডেন্ট দিউমা হুসেফের কাছে পাঠানোর আগে বিলটি আরো একবার নিম্নকক্ষে আসবে।
ব্রাজিলে আগামী জুনে জাতিসংঘের ধরিত্রী সম্মেলন 'রিও-টোয়েন্টি' হওয়ার কথা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডবি্লউডবি্লউএফ) সম্প্রতি ব্রাজিলের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, বৈশ্বিক পরিবেশ সংরক্ষণের নেতৃত্ব দেওয়ার পরও ব্রাজিল নিজের পরিবেশকেই হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
উপগ্রহের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নজরদারির কারণে ব্রাজিলের বন উজাড়ের হার কিছুদিন আগ পর্যন্তও কম ছিল। ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১০ সালের জুলাই পর্যন্ত গাছকাটার পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল। কিন্তু বনবিধি পরিবর্তনের উদ্যোগে পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। আইন পাস হওয়ার আগেই বন উজাড়ের হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, বিধিমালা পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্টটি আবাদি জমিতে পরিণত হতে পারে।
তবে ব্রাজিলের কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত আইনের পক্ষেই যুক্তি দেখাচ্ছে। ব্রাজিলিয়ান কনফেডারেশন অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইভস্টকের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটর কাতিয়া আবরেউ বলেন, পরিবেশসংক্রান্ত বিধিমালা শিথিল করা হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। সরকার বন উজাড়সংক্রান্ত জরিমানা মওকুফ না করলে কৃষকরা ১০ হাজার কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ লোকসানের মুখে পড়বেন। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments