কালান্তরের কড়চা-ডা. আইভীকে অভিনন্দন : অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

'ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি' কথাটা অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করেন। একটি বহুল প্রচলিত ব্যাখ্যা হলো, এই পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রথমে বিয়োগান্ত ঘটনায়, তারপর প্রহসনে। গত ৩০ অক্টোবর শীতলক্ষ্যা তীরে যে ঐতিহাসিক ভোটযুদ্ধ হলো, তাতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে; কিন্তু বিয়োগান্ত ঘটনা বা প্রহসন ঘটেনি। ঘটেছে জনগণের বিজয়ের এক অভূতপূর্ব পুনরাবৃত্তি।


আজ থেকে ৩৭ বছর আগে_১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রখ্যাত নেতা আলী আহমদ চুনকা। তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছেই আনুগত্য প্রকাশের জন্য ছুটে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, 'আমি তোমাকে মনোনয়ন দিইনি; কিন্তু দোয়া দিয়েছি।'
৩৭ বছর পর একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটি এবারই সিটি করপোরেশনে পরিণত হলো এবং তার মেয়র পদের নির্বাচন শেষে ফলও বেসরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে, চুনকাকন্যা ডা. সেলিনা হায়াত আইভী প্রত্যাশিতভাবেই তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পারিবারিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। দলের দুর্দিনে তার পতাকা বহন করে নারায়ণগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারপারসন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁর সততা ও দক্ষতার সুনাম আছে।
তবু দল তাঁকে নাসিকের মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি। বাবার মতোই তিনি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেননি। দলের প্রতি আনুগত্য রেখেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দলের ও দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আমার ধারণা, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এখানেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ বৈঠক থেকে মাত্র দেশে ফিরেছেন। তিনি নিশ্চয়ই নির্বাচনবিজয়ী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিপুল জনসমর্থিত প্রথম মেয়র ডা. আইভী যখন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাবেন, তখন তাঁকে বুকে জড়িয়ে বলবেন, 'তোমাকে মনোনয়ন দিতে পারিনি, কিন্তু দোয়া দিয়েছি।'
এই দোয়া দেওয়ার পেছনে যথার্থ কারণও আছে। এবার ৫৩তম কমনওয়েলথ বৈঠকের প্রধান থিমই (ঃযবসব) ছিল নারীর ক্ষমতায়ন। বৈঠকের উদ্বোধন করতে গিয়ে কমনওয়েলথপ্রধান রানি এলিজাবেথ নারীর ক্ষমতায়নকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, নারী হচ্ছে পরিবর্তনের প্রতিনিধি (ধমবহঃং ড়ভ পযধহমব)। এই বৈঠকে শেখ হাসিনা কমনওয়েলথের আরো দুজন নারী প্রধানমন্ত্রীর (অস্ট্রেলিয়া ও ত্রিনিদাদ-টোবাগো) সঙ্গে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। রানি তাঁদের সঙ্গে বিশেষ ফটোসেশন করেছেন।
এবারের কমনওয়েলথ বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত থিমের সাফল্য প্রমাণ করার জন্যই যেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে ডা. আইভীর এই বিপুল জয়। এর আগেও দু-দুবার নারায়ণগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারপারসন নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশেও কেবল নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, তার ক্ষমতায়নের যুগেরও সূচনা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের নেতানেত্রীদের মধ্যে শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষভাবে বিশ্বাসী। নাসিকের মেয়র নির্বাচনে ডা. আইভীর সাফল্যে সে জন্যই তিনি খুশি হবেন বলে আমার ধারণা। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তাঁরও একটি বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত প্রথম মেয়র হিসেবে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে আমি অন্তরঢালা অভিনন্দন জানাই। দেশের সব মানুষের সঙ্গে আমারও প্রত্যাশা ছিল, নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি না হলে ডা. আইভীই বিরাট জয়ের অধিকারী হবেন। তিনি তা হয়েছেন। এখন তাঁর কাছে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মতো আমারও প্রত্যাশা, আগের মিউনিসিপ্যালিটির দু-দুবারের চেয়ারপারসন হিসেবে তিনি যে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, এবার মেয়র হিসেবে আরো বহুগুণ বেশি সেই সততা ও দক্ষতার পরিচয় দেবেন এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, আবর্জনা ও যানজটমুক্ত একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার ঐকান্তিক চেষ্টা করবেন। তিনি তাঁর এক নির্বাচনী বক্তৃতায় বলেছেন, 'জনগণই আমার সেনাবাহিনী।' এই সেনাবাহিনীর সহায়তায় তিনি বুভুক্ষা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরো কঠোর সংগ্রামে অবতীর্ণ হবেন বলে দেশের মানুষের সঙ্গে আমিও আশা করি।
নাসিকের মেয়র নির্বাচনের সূচনাপর্ব থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ডা. আইভী জিতবেন। তিনি জিতবেন তাঁর সততা, দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার গুণে। তবু তাঁর এই অনিবার্য জয়ের ব্যাপারেও অনেকে সন্দিহান হয়েছিলেন, যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর অতিউৎসাহী নেতা আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমানই দলের মনোনীত প্রার্থী বলে প্রচার করতে শুরু করেন। এমনকি দলের কয়েকজন 'দুর্বৃত্ত নেতা' বলে পরিচিত ব্যক্তি যখন নারায়ণগঞ্জে গিয়ে শামীমের পক্ষে অবস্থান নেন, তখন অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হতে দেওয়া হবে কি না? আইভীকে জয়ী হতে দেওয়া হবে কি না?
এই সন্দেহ আমার মনেও ঢুকেছিল। শঙ্কিত মনে আমি ঢাকায় টেলিফোন করে, যার রাজনৈতিক প্রোফেসি অনেক সময় ফলতে দেখেছি, সেই বন্ধু কলামিস্ট এ বি এম মূসাকে জিজ্ঞাসা করেছি, নাসিকের মেয়র নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? তিনি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছেন, 'ভোট পাবেন আইভী, কিন্তু জয়ী হবেন শামীম ওসমান।' আমার বুঝতে বাকি থাকেনি, মূসা নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন এবং কারচুপিটি হবে সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষেই।
একই প্রশ্ন করেছিলাম আমার আরেক বন্ধু রাজনীতিক ও কলামিস্ট মোনায়েম সরকারকে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফল সম্পর্কে তাঁর প্রোফেসি শতভাগ ফলেছিল। তিনি বলেছিলেন, সত্তরের নির্বাচনের মতো বিশাল বিজয় হবে আওয়ামী লীগের। তাঁর প্রোফেসির অন্যথা হয়নি। গত ৩০ অক্টোবরের নাসিকের মেয়র নির্বাচন নিয়েও তিনি বলেছেন, আইভী শতকরা ৭০ ভাগ ভোট পাবেন। লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হবেন।
বিস্ময়ের কথা, এবারও তাঁর প্রোফেসি সঠিক হয়। ডা. আইভী পেয়েছেন শতকরা ৭০ ভাগ ভোট, শামীম পেয়েছেন ২৭ ভাগ। তাঁর সঙ্গে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আইভী জয়ী হয়েছেন। এই বিজয় শুধু চুনকাকন্যা আইভীর নয়; এই বিজয় নারায়ণগঞ্জের মানুষের বিজয়। গণমানুষের বিজয়ে যা হয়, ডা. আইভীর বিজয় ঘোষিত হওয়ার পরও তা হয়েছে। সারা নারায়ণগঞ্জ সিটি উৎসব নগরীতে পরিণত হয়েছিল।
নির্বাচনে কারচুপি হওয়া সম্পর্কে বন্ধুবর মূসার আশঙ্কা এবার সঠিক প্রমাণিত হয়নি। ঢাকায় আমার আরেক বন্ধু, এককালের বামপন্থী রাজনীতিক নির্মল বিশ্বাস (ভানু) আমাকে আগেই বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা যেকোনো কারণেই শামীম ওসমানের পক্ষে সমর্থন দিতে বাধ্য হয়ে থাকুন না কেন, তিনি নির্বাচনে কিছুতেই কারচুপি হতে দেবেন না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠান দ্বারা তিনি প্রমাণ করবেন, দূষিত ও ব্যর্থ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আর প্রয়োজন নেই। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও ক্ষমতাসীন সরকরের অধীনেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনও আওয়ামী লীগের সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান করে এটা তিনি প্রমাণ করবেন। বিএনপির মিথ্যা প্রচার দ্বারা জনগণকে তিনি আর বিভ্রান্ত হতে দেবেন না।'
নির্মল বিশ্বাসের এই বিশ্লেষণের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করি। দেশে দলীয় সরকারের অধীনে পুরসভাগুলোর নির্বাচন, এমনকি নাসিকের মতো সরকারি দলের মর্যাদার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত নির্বাচনকেও সুষ্ঠু ও অবাধে অনুষ্ঠিত হতে দিয়ে হাসিনা যে দৃঢ়চিত্ততা ও গণতান্ত্রিক নীতিনিষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে অকুণ্ঠ অভিনন্দন জানাই। তিনি দেশ ও জাতির প্রতি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। নাসিকের মেয়র নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে না দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের দুর্বল গণতন্ত্রও সবল ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। গণতান্ত্রিক সরকার আন্তরিক হলেই এটা সম্ভব। নাসিকের অবাধ ও সুষ্ঠু মেয়র নির্বাচন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরো জোরদার করবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিএনপি-গোষ্ঠী যত মনগড়া অভিযোগই তুলুক, নির্বাচন কমিশন এবার প্রমাণ করেছে, তারা নিরপেক্ষভাবে মোটামুটি স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনায় সক্ষম। নাসিকের মেয়র নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে সামরিক বাহিনী মোতায়েনে তাদের অনুরোধ রক্ষা না হওয়ায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নির্বাচনের পর ব্যাপারটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে ফয়সালা করার কথা বলেছে। এ ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনচিত্ততার প্রকাশ ঘটেছে।
নির্বাচনের ঠিক আগের দিন যখন জানা গেল, নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না, তখন আমিও হাসিনা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম এবং সন্দেহ করেছিলাম, এর পেছনেও সরকারের কোনো দুরভিসন্ধি আছে। এই অহেতুক সন্দেহ পোষণের জন্য আমি এখন দুঃখিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে নতুন করে অভিনন্দন জানাই এ জন্য যে তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনানির্ভরতা ত্যাগ করে এবং অসামরিক ব্যবস্থায়ই শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান যে সম্ভব, এটা প্রমাণ করার জন্য যদি সাহসী ঝুঁকি নিয়ে থাকেন, তা দেশকে গণতন্ত্রের ভিত্তি দৃঢ় করার পথে আরেক পা এগিয়ে দিয়েছে।
অবশ্য এ জন্য নির্বাচন কমিশনের কঠোরতা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতাকেও ধন্যবাদ জানাতে হয়। নির্বাচনের আগে থেকেই তারা কঠোরভাবে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আসছিল, কোনো ভোটকেন্দ্রে সামান্যতম উচ্ছৃঙ্খলা দেখা দিলেও তারা ভোটগ্রহণ ও ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেবে। নির্বাচন কমিশনের এই দৃঢ় ভূমিকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জবাসীর সাহস ও সতর্কতা। তাদের ঐক্যবদ্ধ ভিজিল্যান্সের ফলে কোনো প্রার্থীর মনে কোনো ধরনের কারচুপি বা পেশিশক্তির ব্যবহার দেখানোর ইচ্ছা থাকলেও তার বা তাদের ইচ্ছাপূরণ সম্ভব হয়নি।
আমি আগের এক নিবন্ধে লিখেছি, নাসিকের মেয়র নির্বাচন দেশের আর দশটা নির্বাচনের মতো সাধারণ নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের ওপর দেশের আগামী দিনের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এই নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে না হলে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতো, এমনকি বিপন্ন হতে পারত।
নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার পর অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, এই নির্বাচনে ডা. আইভীর বিজয়ের তাৎপর্য কী, মেসেজ কী? আমি তাঁদের বলেছি, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করার ব্যাপারে দেশের মানুষ এখন দারুণভাবে সজাগ হয়ে উঠেছে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তদের মোকাবিলায় তারা সংকল্পবদ্ধ। বিএনপি যতই চেষ্টা করুক, তাদের তারেক-বাবর-মামুন গংকে আর দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগও পারবে না তাদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির গডফাদারদের আবার রাজনীতির কর্তৃত্বে ফিরিয়ে আনতে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন থেকে দেশের দুটি প্রধান দলই এই ক্লিয়ার মেসেজ পেয়েছে। এই মেসেজ অগ্রাহ্য করলে পরিবর্তনের ঝড়ো হাওয়ায় তাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে।
লন্ডন, ৩১ অক্টোবর, সোমবার, ২০১১

No comments

Powered by Blogger.