স্ট্রাউসের মনে সেরা হওয়ার দুর্ভাবনা
ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে কদিন আগে টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছে ইংল্যান্ড। অন্তত কাগজে-কলমে হলেও এখন তারাই বিশ্বের সেরা টেস্ট দল। কিন্তু বিশ্বসেরা হওয়ার হ্যাপাও তো আছে! ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মনে করিয়ে দিচ্ছেন সেটাই। তাঁর এখন মনে হচ্ছে, এত দিন ইংল্যান্ড ছিল শিকারি, এখন ভূমিকা বদলে তারাই পরিণত হয়েছে শিকারে!
ব্যাপারটা বুঝতে একটু মাথা খাটাতে হবে। এমনিতে তো শিকারের চেয়ে শিকারিরই শক্তি বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু স্ট্রাউস ব্যাপারটাকে দেখছেন অন্যভাবে, বিশ্বের সেরা দলকে তো হারাতে চাইবে সবাই! এত দিন অন্যরা বিশ্বসেরা ছিল আর ইংল্যান্ড তাদের তাড়া করে ফিরত, কিন্তু এবার তারা বিশ্বসেরা হওয়ায় বিশ্বের অন্য সব দল তাড়া করবে তাদের। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের চারটি সিরিজকে তাই অন্য রকম চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, 'আগামী ১২টা মাস আমাদের জন্য হবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। শিকারি থেকে শিকারে পরিণত হবো আমরা। তাই মানসিকতায়ও আসবে পরিবর্তন।'
জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন টেস্টের সিরিজ খেলার পর মার্চে শ্রীলঙ্কায় দুটি আর তারপর নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টের আরো দুটি সিরিজ আছে স্ট্রাউসদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বাকি তিনটি দলই দারুণ শক্তিশালী। বিশ্বসেরাদের বিপক্ষে অন্য রকম অনুপ্রেরণা নিয়ে খেলতে নামবে ক্যারিবীয়রাও। অন্যদের মানসিকতায় এ পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তনটাও মনে রাখছেন স্ট্রাউস, 'শীর্ষে থাকতে হলে আমাদের কিন্তু আগের মতোই উন্নতি করে যাওয়ার মানসিকতাটা ধরে রাখতে হবে।' চ্যালেঞ্জটাকে অবশ্য উপভোগই করছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, 'আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত এ চ্যালেঞ্জের কথা ভেবে, তবে চ্যালেঞ্জটাকে মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। জানি এখন আমাদের পেছনে থাকা অনেকগুলো দলই চাইবে আমাদের হারাতে।'
সেই চ্যালেঞ্জে সবার আগে দেখা হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার স্পট-ফিঙ্ংি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর দুদলের এটাই প্রথম দেখা। তবে স্ট্রাউস মনে করছেন, মাঠে ওই ঘটনার প্রভাব পড়বে না, 'সিরিজটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, কারণ ওরা সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। তবে আমার বিশ্বাস দুদলেরই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ক্রিকেট, অন্য কিছু নয়।'
পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা সফরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটাকে মনে করা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ, কিন্তু স্ট্রাউস মোটেই সে রকম ভাবছেন না, 'সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে পুনরুত্থানের আভাস দেখছি, আমাদের জন্য সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ হবে।'
আর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্তত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সাম্প্রতিক সাফল্যের পর সেটাই মনে হচ্ছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের, 'ওদের বোলিং আক্রমণটা খুবই শক্তিশালী, এখানে ওদের রেকর্ডও বেশ ভালো। আর কোনো সন্দেহ নেই, এ মুহূর্তে বিশ্বসেরার শিরোপা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইবে যারা, তাদের দলেই থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী এক-দেড় বছরে তারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের জন্য।' বিবিসি অনলাইন
জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন টেস্টের সিরিজ খেলার পর মার্চে শ্রীলঙ্কায় দুটি আর তারপর নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টের আরো দুটি সিরিজ আছে স্ট্রাউসদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বাকি তিনটি দলই দারুণ শক্তিশালী। বিশ্বসেরাদের বিপক্ষে অন্য রকম অনুপ্রেরণা নিয়ে খেলতে নামবে ক্যারিবীয়রাও। অন্যদের মানসিকতায় এ পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তনটাও মনে রাখছেন স্ট্রাউস, 'শীর্ষে থাকতে হলে আমাদের কিন্তু আগের মতোই উন্নতি করে যাওয়ার মানসিকতাটা ধরে রাখতে হবে।' চ্যালেঞ্জটাকে অবশ্য উপভোগই করছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, 'আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত এ চ্যালেঞ্জের কথা ভেবে, তবে চ্যালেঞ্জটাকে মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। জানি এখন আমাদের পেছনে থাকা অনেকগুলো দলই চাইবে আমাদের হারাতে।'
সেই চ্যালেঞ্জে সবার আগে দেখা হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার স্পট-ফিঙ্ংি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর দুদলের এটাই প্রথম দেখা। তবে স্ট্রাউস মনে করছেন, মাঠে ওই ঘটনার প্রভাব পড়বে না, 'সিরিজটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, কারণ ওরা সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। তবে আমার বিশ্বাস দুদলেরই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ক্রিকেট, অন্য কিছু নয়।'
পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা সফরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটাকে মনে করা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ, কিন্তু স্ট্রাউস মোটেই সে রকম ভাবছেন না, 'সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে পুনরুত্থানের আভাস দেখছি, আমাদের জন্য সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ হবে।'
আর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্তত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সাম্প্রতিক সাফল্যের পর সেটাই মনে হচ্ছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের, 'ওদের বোলিং আক্রমণটা খুবই শক্তিশালী, এখানে ওদের রেকর্ডও বেশ ভালো। আর কোনো সন্দেহ নেই, এ মুহূর্তে বিশ্বসেরার শিরোপা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইবে যারা, তাদের দলেই থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী এক-দেড় বছরে তারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের জন্য।' বিবিসি অনলাইন
No comments