মিরসরাই ট্র্যাজেডি এলাকাবাসীর প্রশ্ন-'ওদের পাঁচজনকে কেন ধুঁকে ধুঁকে মরতে হলো?' by মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,
মিরসরাইয়ের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এর পরও হাসপাতালের বিছানায় ধুঁকে ধুঁকে মরতে হলো পাঁচ শিক্ষার্থীকে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। দুর্ঘটনার পর উন্নত চিকিৎসার্থে আহতদের বিদেশে নেওয়া হলে হয়তো মৃত্যুর মিছিল এত দীর্ঘ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
মিরসরাই ট্র্যাজেডির শিকার আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বশেষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয়ন শীলের মৃত্যুর পর আবু তোরাব এলাকায় বেড়েছে ক্ষোভ। আবু তোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর সাদেক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার বিদ্যালয়ের ৩১ জন ছাত্র হারিয়ে গেল মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল ১৩ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে পাঁচজন মারা গেছে, তাদের সবাই এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।' দুর্ঘটনার পরপর ওদের বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১১ জুলাই ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের শোকাবহ ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ৩৯ জন। পুত্রশোকে মারা যান এক বাবা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সর্বশেষ নয়ন শীলসহ হাসপাতালে মারা যায় পাঁচজন। ফলে এ ট্র্যাজেডিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ জনে। সর্বশেষ পাঁচজনের বাঁচা-মরার মাঝখানে সরকারের দোদুল্যমান সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করে এলাকাবাসী।
গতকাল নয়ন শীলের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি মধ্যম মায়ানীতে এসে পেঁৗছালে একদিকে কান্নার রোল পড়ে, অন্যদিকে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ। ছেলেহারা বাবা আবু রিদোয়ান বলেন, সরকার চাইলে এদের বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারত। তাহলে অন্তত আরো পাঁচটি জীবন রক্ষা পেত।
দুর্ঘটনায় আহতদের চট্টগ্রাম এবং মিরসরাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন চিকিৎসা নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে ঘটনার সপ্তম দিন, ১৭ জুলাই। ফিরে এসে উদ্বিগ্ন স্বজনদের মুখে কিঞ্চিত হাসি ফুটিয়েছিল তারা। এই দলে ছিল কাজল চন্দ্র নাথ, রায়হান উদ্দিন শুভ ও জুয়েল বড়ুয়াও। কয়েক দিনের মাথায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এ তিন ছাত্রকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ৪ আগস্ট কাজল, ৭ সেপ্টেম্বর শুভ ও ১৯ সেপ্টেম্বর জুয়েল মারা যায়। একই সঙ্গে চিকিৎসারত নয়ন শীল মারা যায় গত বৃহস্পতিবার রাতে। এর আগে ১৫ জুলাই চট্টগ্রামের সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবু রায়হান।
এ পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাদের প্রধান সমস্যা ছিল মাথায়। চিকিৎসকদের মতে, কাদা জমে তাদের দেহের অভ্যন্তরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিয়েছিল। ফলে তারা কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিল না।
সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের মধ্যে তখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা তিনজনকে ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতার অভাবে শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। নয়নকে বাঁচানোর জন্য সর্বশেষ তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল; কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যায়।
আহতদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি ছিল না দাবি করে মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গিয়াসউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যখন তাদের অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে, তখনই তাদের ভারতে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে তারা বিমানে চড়ার সক্ষমতা হারায়।'
গত ১১ জুলাই ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের শোকাবহ ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ৩৯ জন। পুত্রশোকে মারা যান এক বাবা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সর্বশেষ নয়ন শীলসহ হাসপাতালে মারা যায় পাঁচজন। ফলে এ ট্র্যাজেডিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ জনে। সর্বশেষ পাঁচজনের বাঁচা-মরার মাঝখানে সরকারের দোদুল্যমান সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করে এলাকাবাসী।
গতকাল নয়ন শীলের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি মধ্যম মায়ানীতে এসে পেঁৗছালে একদিকে কান্নার রোল পড়ে, অন্যদিকে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ। ছেলেহারা বাবা আবু রিদোয়ান বলেন, সরকার চাইলে এদের বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারত। তাহলে অন্তত আরো পাঁচটি জীবন রক্ষা পেত।
দুর্ঘটনায় আহতদের চট্টগ্রাম এবং মিরসরাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন চিকিৎসা নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে ঘটনার সপ্তম দিন, ১৭ জুলাই। ফিরে এসে উদ্বিগ্ন স্বজনদের মুখে কিঞ্চিত হাসি ফুটিয়েছিল তারা। এই দলে ছিল কাজল চন্দ্র নাথ, রায়হান উদ্দিন শুভ ও জুয়েল বড়ুয়াও। কয়েক দিনের মাথায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এ তিন ছাত্রকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ৪ আগস্ট কাজল, ৭ সেপ্টেম্বর শুভ ও ১৯ সেপ্টেম্বর জুয়েল মারা যায়। একই সঙ্গে চিকিৎসারত নয়ন শীল মারা যায় গত বৃহস্পতিবার রাতে। এর আগে ১৫ জুলাই চট্টগ্রামের সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবু রায়হান।
এ পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাদের প্রধান সমস্যা ছিল মাথায়। চিকিৎসকদের মতে, কাদা জমে তাদের দেহের অভ্যন্তরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিয়েছিল। ফলে তারা কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিল না।
সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের মধ্যে তখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা তিনজনকে ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতার অভাবে শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। নয়নকে বাঁচানোর জন্য সর্বশেষ তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল; কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যায়।
আহতদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি ছিল না দাবি করে মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গিয়াসউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যখন তাদের অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে, তখনই তাদের ভারতে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে তারা বিমানে চড়ার সক্ষমতা হারায়।'
No comments