ওয়ানডে অভিষেকে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

ন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কম ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। কিন্তু আজকের ম্যাচটি ভিন্ন রকম। এর পরও ক্রিকেট-কন্যারা আরো অনেক ম্যাচ খেলবেন নিশ্চিতভাবেই। তবুও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি অন্য রকম। এটি যে বাংলাদেশের অভিষেক ওয়ানডে!পুরুষ ক্রিকেট দলের ব্যাপারটি ছিল আলাদা। ওয়ানডে স্ট্যাটাস প্রাপ্তি গত শতকের শেষ দশকের শেষ দিকের ঘটনা হলেও প্রথম ওয়ানডে হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আছে '৮৬-র


এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটি। মহিলা ক্রিকেটে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার আগের ম্যাচগুলোকে আর ওয়ানডে হিসেবে গণ্য করা হয় না। বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য তাই আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। ৩১ মার্চ ১৯৮৬ তারিখটি যেমন স্মরণীয় হয়ে আছে পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য, ২৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখটি তেমনি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য।
বিকেএসপির এই ম্যাচের আগে সালমা-পান্না-কুবরারা কি খানিকটা স্নায়ুচাপে থাকবেন! ওয়ানডে স্ট্যাটাসের চাপটা কি চেপে বসবে তাঁদের ওপর! প্রসঙ্গটা পাত্তাই পেল না তাঁদের কাছে। অধিনায়ক সালমা খাতুন যেমন বললেন, 'কোনো চাপই থাকবে না। আমরা শুরু থেকে যেমন খেলছি, সেভাবেই খেলব। সবাইকে দেখিয়ে দেব যে ওয়ানডে খেলার যোগ্যতা আমাদের আছে।' সেটি দেখাতে হলে তো আজ জিততে হবে আইরিশদের বিপক্ষে। এখানে বাংলাদেশ প্রেরণা পেতে পারে গ্রুপ পর্ব থেকে। সেখানে আয়ারল্যান্ডকে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। সেটির পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনায় বুঁদ হয়ে আছেন অধিনায়ক, 'গ্রুপ পর্বে ওদের আমরা হারিয়ে দেখিয়েছি। অবশ্যই আবারও ওদের হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আমরা জয় দিয়ে শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি।'
কান পাতলে বাংলাদেশ দলের সর্বত্র শোনা যায় এই আত্মবিশ্বাসের অনুরণন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ জয়ের জন্য একেবারে আকুল হয়ে আছে তাঁরা। 'ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাড়তি প্রেরণা নিয়ে খেলতে নামব আমরা। ওদের যেহেতু আগে হারিয়েছি, তাই আত্মবিশ্বাস আমাদেরই থাকবে বেশি'_বলেছেন এ পর্যন্ত ১৭ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট আলো করা অফ স্পিনার খাদিজাতুল কুবরা। অলরাউন্ডার পান্না ঘোষও ভিন্ন কিছু বলেননি, 'দেখবেন, আজ আমরা ঠিকই জিতব। পুরো দলের সবারই আত্মবিশ্বাস খুব উঁচুতে।'
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের এই প্রথম ওয়ানডেতে জিতলে বাংলাদেশের মহিলা দল কিন্তু একদিক দিয়ে এগিয়ে যাবে পুরুষদের চেয়েও। প্রথম জয়ের জন্য পুরুষদের অপেক্ষা ছিল এক যুগের, ২৩ ম্যাচের। সেখানে মহিলাদের সামনে প্রথম ম্যাচেই জয়ের হাতছানি! পারবেন না সালমা, শুকতারা, কুবরারা?

No comments

Powered by Blogger.