হ্যাকিংয়ে জড়িত ৭০০ কিশোর-পাঁচ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নেতৃত্বে 'সাইবার আর্মি গ্রুপ' by রেজোয়ান বিশ্বাস
ওরা দুই কিশোর হ্যাকার। একে অপরকে কেউ কখনো দেখেনি। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই প্রথম দুজন একে অপরের মুখোমুখি হয়। রাসেল ভুঁইয়া ও শাহ মিজানুর রহমান ওরফে রায়হান নামের দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে বর্তমানে ৭০০ কিশোর জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল কালের কণ্ঠকে বলেন, রাসেল ও রায়হান নামের দুই কিশোর অত্যন্ত মেধাবী। এরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা কেউই কম্পিউটারের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেনি। কিন্তু কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ওপর তাদের পুরো দখল রয়েছে। এরা যেকোনো ওয়েবসাইটে ঢুকে আধা ঘণ্টার মধ্যে তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। এরপর তাদের ইচ্ছামতো ওই ওয়েবসাইটটি হ্যাকিং করে যে কাউকে বিপদে ফেলতে পারে। বিষয়টি আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ। এই আইনে অপরাধীদের কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
গ্রেপ্তারের পর দুই কিশোরকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানা হাজতে গিয়ে দেখা যায়, দুই কিশোর পাশাপাশি বসে গল্প করছে। এ অবস্থায় হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারা কালের কণ্ঠকে বলে, "আমরা হ্যাকার এটা কখনো জানতাম না। আমরা কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা নিতে গিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতাম। দীর্ঘদিন একই বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ঢুকেছি। দেশের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুকি। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সুরক্ষা করা। কোনো হ্যাকার যেন বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকে অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়টি আমরা সব সময় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নজরে রাখতাম। 'সাইবার আর্মি গ্রুপ' নামে আমাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। এই গ্রুপের পাঁচজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রয়েছে। এরা সৌদি আরব, আমেরিকা ও কুয়েত থেকে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় ছদ্মনাম ব্যবহার করি। বর্তমানে আমাদের গ্রুপে দেশ-বিদেশের প্রায় ৭০০ কিশোর রয়েছে। এরা কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকিং হলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়। তবে 'আমরা এটাকে হ্যাক হিসেবে নিইনি। এটা যে অবৈধ বা ক্রাইম আমরা কখনো তা অনুধাবন করিনি।"
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই কিশোর র্যাবকে জানায়, তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সু-উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ও ইন্টানেটের ওপর কাজ শিখে এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করে। মূলত ইন্টারনেট শিখতে গিয়ে ওয়েবসাইট বেইজ ত্রুটি শনাক্ত করার প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ জন্মায়। একপর্যায়ে তারা দেখতে পায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটটি হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তারা সাইটটির ত্রুটি খুঁজতে চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে সাইটির ত্রুটি খুঁজে পায় এবং সফলভাবে সম্পূর্ণ সাইটটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সমর্থ হয় এবং ওয়েবসাইটটি হ্যাক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায়, তাদের দুজনের বন্ধুত্ব ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়েছে। তারা ঘনিষ্ঠ ওয়েব-বন্ধু, তবে র্যাবের হাতে আটকের পরই তারা একে অপরকে দেখেছে।
দুই কিশোরের বক্তব্যের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা এম সোহায়েল আরো জানায়, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট রক্ষা করার দায়িত্ব কেউ তাদের দেয়নি। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ জেনেও ওই দুই কিশোর এমন ঝুঁকি নিয়েছে। অভিভাবকদের কারণে এসস কিশোর অল্প বয়সে সাইবার ক্রাইম করছে। বর্তমানে সমাজের ভয়ংকর অপরাধের সঙ্গে কিশোরদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলছে।
গত ১১ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স অ্যান্ড রিসার্চ অফিসার আজিজুল হক টেলিফোন করে বিষয়টি তাঁদের আইটি ইনচার্জ পারভেজ আনোয়ারকে জানালে তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন এবং ওয়েবসাইটটি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করেন। কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি সার্চ করে একই ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম পারভেজ আনোয়ার তাৎক্ষণিক মন্তব্যে জানান, বিষয়টি হ্যাকিং নয়, এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ। তবে সেটি হ্যাকিং হিসেবেই প্রমাণিত হয়। ১১ নভেম্বর ওয়েবসাইটটিতে (যঃঃঢ়://িি.িংঁঢ়ৎবসবপড়ঁৎঃ.মড়া.নফ) গেলে ইংরেজিতে 'ওপস...ইউ গট হ্যাকড' লেখা দেখা যায়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কালো জমিনে লাল-সবুজ রঙে লেখা পাতাটির শেষে ইংরেজিতে 'অল রাইট রিজার্ভ বাই থ্রি এঙ্পি আই আর থ্রি সাইবার আর্মি' লেখা দেখা যায়।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে ওই পাতায় বলা হয়, 'একজন সাংবাদিক, লেখক ও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, দেশের প্রতি তোমাদের আরো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। জনগণ তোমাদের বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে এবং অনুসরণ করে। তোমরা যা-ই লেখো না কেন, যা কিছুই উপস্থাপন করো না কেন, তাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয়। কলম ও ক্যামেরার সাহায্যে তোমরা এমন কিছু করো, যা সাধারণ বাংলাদেশিরা করতে পারে না। সুতরাং আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, অপশক্তি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই তোমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করো। সৎ হও, জনগণকে বিপথে পরিচালিত কোরো না। টাকা এবং খ্যাতি জীবনে ক্ষণস্থায়ী। অসৎ রাজনীতিকদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করো। ইতিমধ্যে তাঁরা অনেক ক্ষতি করেছেন।'
র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপত্তিকর, বিকৃত ও ব্যঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ ও বিক্রি করা সাইবার অপরাধের অংশ। এর আগেও র্যাব সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। র্যাব গত ১২ নভেম্বর সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারে, সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটটি হ্যাকের কবলে পড়েছে। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদরদপ্তরের কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমআইএস উইং এবং র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইংয়ের সমন্বয়ে র্যাবের এন্টি সাইবার ক্রাইম টিম গত কয়েক দিন ধরে আসামিদের ধরেতে অভিযান চালায়।
র্যাব সূত্র জানায়, রায়হান হবিগঞ্জ আলিফ সোবাহান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র। আর রাসেল পড়ে চট্টগ্রামের ম্যাঙ্ পলিটেকনিক্যালে। রায়হানের বাবার নাম মো. হাফিজ শাহ ওরফে ওবাইদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার বহুবল। রাসেল ভুইয়ার বাবার নাম মো. আবদুল কুদ্দুস। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার গাজীপুরের বুড়িচংয়ে।
গ্রেপ্তারের পর দুই কিশোরকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানা হাজতে গিয়ে দেখা যায়, দুই কিশোর পাশাপাশি বসে গল্প করছে। এ অবস্থায় হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারা কালের কণ্ঠকে বলে, "আমরা হ্যাকার এটা কখনো জানতাম না। আমরা কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা নিতে গিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতাম। দীর্ঘদিন একই বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ঢুকেছি। দেশের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুকি। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সুরক্ষা করা। কোনো হ্যাকার যেন বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকে অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়টি আমরা সব সময় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নজরে রাখতাম। 'সাইবার আর্মি গ্রুপ' নামে আমাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। এই গ্রুপের পাঁচজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রয়েছে। এরা সৌদি আরব, আমেরিকা ও কুয়েত থেকে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় ছদ্মনাম ব্যবহার করি। বর্তমানে আমাদের গ্রুপে দেশ-বিদেশের প্রায় ৭০০ কিশোর রয়েছে। এরা কোনো ওয়েবসাইট হ্যাকিং হলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়। তবে 'আমরা এটাকে হ্যাক হিসেবে নিইনি। এটা যে অবৈধ বা ক্রাইম আমরা কখনো তা অনুধাবন করিনি।"
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই কিশোর র্যাবকে জানায়, তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সু-উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ও ইন্টানেটের ওপর কাজ শিখে এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করে। মূলত ইন্টারনেট শিখতে গিয়ে ওয়েবসাইট বেইজ ত্রুটি শনাক্ত করার প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ জন্মায়। একপর্যায়ে তারা দেখতে পায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটটি হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তারা সাইটটির ত্রুটি খুঁজতে চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে সাইটির ত্রুটি খুঁজে পায় এবং সফলভাবে সম্পূর্ণ সাইটটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সমর্থ হয় এবং ওয়েবসাইটটি হ্যাক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায়, তাদের দুজনের বন্ধুত্ব ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়েছে। তারা ঘনিষ্ঠ ওয়েব-বন্ধু, তবে র্যাবের হাতে আটকের পরই তারা একে অপরকে দেখেছে।
দুই কিশোরের বক্তব্যের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা এম সোহায়েল আরো জানায়, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট রক্ষা করার দায়িত্ব কেউ তাদের দেয়নি। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ জেনেও ওই দুই কিশোর এমন ঝুঁকি নিয়েছে। অভিভাবকদের কারণে এসস কিশোর অল্প বয়সে সাইবার ক্রাইম করছে। বর্তমানে সমাজের ভয়ংকর অপরাধের সঙ্গে কিশোরদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলছে।
গত ১১ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স অ্যান্ড রিসার্চ অফিসার আজিজুল হক টেলিফোন করে বিষয়টি তাঁদের আইটি ইনচার্জ পারভেজ আনোয়ারকে জানালে তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন এবং ওয়েবসাইটটি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করেন। কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি সার্চ করে একই ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম পারভেজ আনোয়ার তাৎক্ষণিক মন্তব্যে জানান, বিষয়টি হ্যাকিং নয়, এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ। তবে সেটি হ্যাকিং হিসেবেই প্রমাণিত হয়। ১১ নভেম্বর ওয়েবসাইটটিতে (যঃঃঢ়://িি.িংঁঢ়ৎবসবপড়ঁৎঃ.মড়া.নফ) গেলে ইংরেজিতে 'ওপস...ইউ গট হ্যাকড' লেখা দেখা যায়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কালো জমিনে লাল-সবুজ রঙে লেখা পাতাটির শেষে ইংরেজিতে 'অল রাইট রিজার্ভ বাই থ্রি এঙ্পি আই আর থ্রি সাইবার আর্মি' লেখা দেখা যায়।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে ওই পাতায় বলা হয়, 'একজন সাংবাদিক, লেখক ও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, দেশের প্রতি তোমাদের আরো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। জনগণ তোমাদের বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে এবং অনুসরণ করে। তোমরা যা-ই লেখো না কেন, যা কিছুই উপস্থাপন করো না কেন, তাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয়। কলম ও ক্যামেরার সাহায্যে তোমরা এমন কিছু করো, যা সাধারণ বাংলাদেশিরা করতে পারে না। সুতরাং আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, অপশক্তি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই তোমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করো। সৎ হও, জনগণকে বিপথে পরিচালিত কোরো না। টাকা এবং খ্যাতি জীবনে ক্ষণস্থায়ী। অসৎ রাজনীতিকদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করো। ইতিমধ্যে তাঁরা অনেক ক্ষতি করেছেন।'
র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপত্তিকর, বিকৃত ও ব্যঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ ও বিক্রি করা সাইবার অপরাধের অংশ। এর আগেও র্যাব সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। র্যাব গত ১২ নভেম্বর সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারে, সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটটি হ্যাকের কবলে পড়েছে। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদরদপ্তরের কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমআইএস উইং এবং র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইংয়ের সমন্বয়ে র্যাবের এন্টি সাইবার ক্রাইম টিম গত কয়েক দিন ধরে আসামিদের ধরেতে অভিযান চালায়।
র্যাব সূত্র জানায়, রায়হান হবিগঞ্জ আলিফ সোবাহান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র। আর রাসেল পড়ে চট্টগ্রামের ম্যাঙ্ পলিটেকনিক্যালে। রায়হানের বাবার নাম মো. হাফিজ শাহ ওরফে ওবাইদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার বহুবল। রাসেল ভুইয়ার বাবার নাম মো. আবদুল কুদ্দুস। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার গাজীপুরের বুড়িচংয়ে।
No comments