চিঠিপত্র-জনতার জয়
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীর নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিজয় হয়েছে। তাকে অভিনন্দন, শুভ কামনা তার নবপথের যাত্রায়। সাধুবাদ ও প্রশংসার দাবিদার নির্বাচন কমিশন ও সংশিষ্ট সকলেই, যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। একটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সমগ্র দেশের মানুষের এমন স্বতঃস্টম্ফূর্ত উৎসাহ এবং সজাগ দৃষ্টি সত্যিই অভূতপূর্ব।
এই বিজয় সরকারের জন্য যুগপৎ বার্তা এবং সতর্কতার ইঙ্গিত, এই বিজয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র চপেটাঘাত। গণতন্ত্রচর্চার গত দুই দশকেও ফিরে ফিরে জনতার রায়ই প্রতিফলিত হয়েছে, যদিও বিকল্প কোনো পথ না থাকায় দেশের মানুষ দুই বড় দলের আবর্তেই থেকেছে। নাসিক নির্বাচনে আইভির নিরঙ্কুশ বিজয় এখনও প্রমাণ করে এদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই একজন সন্ত্রাসীকে সমর্থন করে না। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে। জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অনেক অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে তাদের বিজয় দলের জন্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে
ওঠে। আজকে আওয়ামী লীগ যদি আইভীকে মনোনয়ন দিয়ে শামীমকে বর্জন করত এতে মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো, কিন্তু এখন দলের পরাজয় হয়েছে বহুমাত্রিক। এই নির্বাচনের ফলের পর প্রতিটি সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে মানুষের অসংখ্য মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। মন্তব্যগুলোতে প্রধানত আওয়ামী লীগ ও সরকারের তীব্র সমালোচনা ফুটে উঠেছে, আইভীর প্রতি তাদের সমর্থন ও শুভ কামনা প্রকাশ পেয়েছে। আইভী ও নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচন এদেশের রাজনীতিতে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন। এখান থেকেই রাজনীতিতে নতুন মাত্রার সূচনা হবে বলেই প্রত্যাশা।
রউফুল আলম
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন
বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়ি
সম্প্রতি ঈদ সামনে করে বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে ঈদকে ঘিরে এই প্রতারক চক্র ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই প্রতারণায় শিকার হচ্ছে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ। কোরবানির হাটে এই চক্র জাল নোট সাধারণ মানুষের মাঝে কীভাবে দেওয়া যায়, সে জন্য তারা ব্যাপকভাবে সক্রিয়। বর্তমান বাজারে প্রচলিত ৫০০ টাকার নোট পরিবর্তন করা না হলে এই জালিয়াত বন্ধ করা যাবে না। সাধারণ মানুষ জলছাপ ও সুতা দেখে আসল নকল চিহ্নিত করবে, কিন্তু তা চেনার কোনো উপায় নেই। ১০০ টাকার নোট দিয়ে তৈরি করা ৫০০ টাকার মূল্যমানের জাল নোট সব ধরনের চিহ্ন রয়েছে। মেশিনেও তা ধরা পড়ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এর কারণে অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ছে। বাজারে ১০০ টাকা আর ৫০০ টাকার নোট সমান আকৃতিতে হওয়ার কারণে জাল নোট শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে জালিয়াতি চক্র দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। সে সঙ্গে সাধারণ জনগণকে জাল নোট সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
বেলাল হোসাইন রাহাত
শিক্ষার্থী, জাবি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল
শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বলেছিলেন, কেন দুই মাসের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয় না এবং পরবর্তী রেজাল্ট ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বলা হয়। খবরটি পড়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। অনেকেই ব্যাপারটি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে ৬০ দিনে রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা ছিলাম আশাবাদী। এ বিশ্বাসে আমি সবাইকে বলেছিলাম এবার আমাদের রেজাল্ট ৬০ দিনের মধ্যেই হবে। উল্লেখ্য, আমরা ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও আমাদের অনার্স তৃতীয় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দীর্ঘ ১৯ মাস পর অনুষ্ঠিত হয়, যা হওয়ার কথা ছিল ১২ মাস পর। আমাদের তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা শেষ হয় ২ আগস্ট ২০১১। সে হিসাবে মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ৬০ দিন পার হয়ে গেছে। তাহলে আমরা কি মনে করব শিক্ষামন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নেই? এদেশে কি কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রশ্ন, সেশনজট থেকে আমরা বা আগামী সেশনের ছাত্রছাত্রীরা কবে মুক্তি পাবে? শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মোঃ মাজহারুল ইসলাম সুমন
শিক্ষার্থী, কারমাইকেল কলেজ রংপুর
ওঠে। আজকে আওয়ামী লীগ যদি আইভীকে মনোনয়ন দিয়ে শামীমকে বর্জন করত এতে মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো, কিন্তু এখন দলের পরাজয় হয়েছে বহুমাত্রিক। এই নির্বাচনের ফলের পর প্রতিটি সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে মানুষের অসংখ্য মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। মন্তব্যগুলোতে প্রধানত আওয়ামী লীগ ও সরকারের তীব্র সমালোচনা ফুটে উঠেছে, আইভীর প্রতি তাদের সমর্থন ও শুভ কামনা প্রকাশ পেয়েছে। আইভী ও নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচন এদেশের রাজনীতিতে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন। এখান থেকেই রাজনীতিতে নতুন মাত্রার সূচনা হবে বলেই প্রত্যাশা।
রউফুল আলম
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন
বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়ি
সম্প্রতি ঈদ সামনে করে বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে ঈদকে ঘিরে এই প্রতারক চক্র ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই প্রতারণায় শিকার হচ্ছে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ। কোরবানির হাটে এই চক্র জাল নোট সাধারণ মানুষের মাঝে কীভাবে দেওয়া যায়, সে জন্য তারা ব্যাপকভাবে সক্রিয়। বর্তমান বাজারে প্রচলিত ৫০০ টাকার নোট পরিবর্তন করা না হলে এই জালিয়াত বন্ধ করা যাবে না। সাধারণ মানুষ জলছাপ ও সুতা দেখে আসল নকল চিহ্নিত করবে, কিন্তু তা চেনার কোনো উপায় নেই। ১০০ টাকার নোট দিয়ে তৈরি করা ৫০০ টাকার মূল্যমানের জাল নোট সব ধরনের চিহ্ন রয়েছে। মেশিনেও তা ধরা পড়ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এর কারণে অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ছে। বাজারে ১০০ টাকা আর ৫০০ টাকার নোট সমান আকৃতিতে হওয়ার কারণে জাল নোট শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে জালিয়াতি চক্র দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। সে সঙ্গে সাধারণ জনগণকে জাল নোট সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
বেলাল হোসাইন রাহাত
শিক্ষার্থী, জাবি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল
শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বলেছিলেন, কেন দুই মাসের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয় না এবং পরবর্তী রেজাল্ট ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বলা হয়। খবরটি পড়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। অনেকেই ব্যাপারটি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে ৬০ দিনে রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা ছিলাম আশাবাদী। এ বিশ্বাসে আমি সবাইকে বলেছিলাম এবার আমাদের রেজাল্ট ৬০ দিনের মধ্যেই হবে। উল্লেখ্য, আমরা ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও আমাদের অনার্স তৃতীয় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দীর্ঘ ১৯ মাস পর অনুষ্ঠিত হয়, যা হওয়ার কথা ছিল ১২ মাস পর। আমাদের তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা শেষ হয় ২ আগস্ট ২০১১। সে হিসাবে মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ৬০ দিন পার হয়ে গেছে। তাহলে আমরা কি মনে করব শিক্ষামন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নেই? এদেশে কি কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রশ্ন, সেশনজট থেকে আমরা বা আগামী সেশনের ছাত্রছাত্রীরা কবে মুক্তি পাবে? শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মোঃ মাজহারুল ইসলাম সুমন
শিক্ষার্থী, কারমাইকেল কলেজ রংপুর
No comments