'উঁচা বিল্ডিং বানাইলে বন্যায় পড়ালেখা বন্ধ হইত না'
উঁচা করে বিল্ডিং বানাইলে বন্যার সময় আমাদের পড়া বন্ধ হইত না। স্কুলে পড়ালেখা কম হওয়ায় পরীক্ষায় ভালা রেজাল্ট হয় না।' এমন অনুযোগ হাকালুকি হাওরপারের হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাবি্বর আহমদের। শুধু সাবি্বর নয়, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার আওতাধীন হাকালুকি হাওরপারের ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীরা এভাবেই শিক্ষাবঞ্চনার কথা জানিয়েছে।
বস্তুত শিক্ষাবছর থেকে দীর্ঘ তিনটি মাস বাদ দিয়েই হাওর অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন চলছে।
সরেজমিনে হাকালুকিপারের হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের চারপাশে এলাকার লোকজন পানি সেচে মাছ ধরছে। কৃষক জয়নুল জানালেন, প্রতিবছর বন্যা এলেই বিদ্যালয়ে দু-তিন মাস পড়াশোনা বন্ধ থাকে। গত বছর বন্যার সময় চার মাস বন্ধ ছিল বিদ্যালয়টি। পানির সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাদের বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। সামর্থ্যবানরা সন্তানকে বন্যামুক্ত এলাকার স্কুলে ভর্তি করায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার, মৌসুমী, ইমরানসহ অনেকেই একযোগে বলে ওঠে, তাদের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার পেছনে মূল কারণ স্কুলটি সারা বছর খোলা থাকে না। কারণ বন্যার সময় স্কুল ভবনটির অনেকাংশ ডুবে যায়। মূল ভূখণ্ড থেকে তখন এটি যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুক্তি তুলে ধরে তারা জানায়, 'ভবন উঁচু করে বানাইলে বন্যার সময় নৌকা করে এসে আমরা স্কুলে পড়তে পারতাম। কিন্তু ভবন নিচু হওয়ায় বন্যার পানি ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে আপনা থেকেই স্কুলটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে পড়ে আমাদের লেখাপড়াও। কখন বন্যার পানি কমবে, স্কুলঘর জেগে উঠবে_সেই আশায় বাড়িতে বসে থাকতে হয়।'
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী জানান, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে পানি থাকায় টানা ১৫ দিন স্কুলটি বন্ধ রাখতে হয়। তবে গত বছর দীর্ঘ সময়ের বন্যার কারণে টানা তিন মাস স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে তাঁরা বাধ্য হন।
বড়লেখা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন বলেন, 'বন্যার সময় হাকালুকিপারের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলে।'
মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ দুই উপজেলায় হাকালুকিপারের ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার সময় বন্ধ থাকে। ব্যাহত হয়ে পড়ে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিবছর বন্যার সময় গড়ে দু-তিন মাস বন্ধ থাকা হাকালুকিপারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে বড়লেখার হাল্লা, খুটাউরা, গগড়া, শ্রীরামপুর, ইসলামপুর, ভোলারকান্দি, পাটনা, টেকাহালী, মুর্শিদাবাদকুরা, কলারতলী ও পাবজুরীপার বিদ্যালয়। জুড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো শাহেরপুর, নিশ্চিন্তপুর, বেলাগাঁও, পূর্ব বেলাগাঁও, নয়াগ্রাম, নয়াবাজার শিশুকল্যাণ, কালণীগড় ও তালতলা-খাগটেকা বিদ্যালয়। এ ছাড়া হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়, কানসাই হাকালুকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টেকাহালি উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্যার সময় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে হাকালুকিপারের হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের চারপাশে এলাকার লোকজন পানি সেচে মাছ ধরছে। কৃষক জয়নুল জানালেন, প্রতিবছর বন্যা এলেই বিদ্যালয়ে দু-তিন মাস পড়াশোনা বন্ধ থাকে। গত বছর বন্যার সময় চার মাস বন্ধ ছিল বিদ্যালয়টি। পানির সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাদের বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। সামর্থ্যবানরা সন্তানকে বন্যামুক্ত এলাকার স্কুলে ভর্তি করায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার, মৌসুমী, ইমরানসহ অনেকেই একযোগে বলে ওঠে, তাদের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার পেছনে মূল কারণ স্কুলটি সারা বছর খোলা থাকে না। কারণ বন্যার সময় স্কুল ভবনটির অনেকাংশ ডুবে যায়। মূল ভূখণ্ড থেকে তখন এটি যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুক্তি তুলে ধরে তারা জানায়, 'ভবন উঁচু করে বানাইলে বন্যার সময় নৌকা করে এসে আমরা স্কুলে পড়তে পারতাম। কিন্তু ভবন নিচু হওয়ায় বন্যার পানি ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে আপনা থেকেই স্কুলটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে পড়ে আমাদের লেখাপড়াও। কখন বন্যার পানি কমবে, স্কুলঘর জেগে উঠবে_সেই আশায় বাড়িতে বসে থাকতে হয়।'
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী জানান, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে পানি থাকায় টানা ১৫ দিন স্কুলটি বন্ধ রাখতে হয়। তবে গত বছর দীর্ঘ সময়ের বন্যার কারণে টানা তিন মাস স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে তাঁরা বাধ্য হন।
বড়লেখা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন বলেন, 'বন্যার সময় হাকালুকিপারের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলে।'
মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ দুই উপজেলায় হাকালুকিপারের ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার সময় বন্ধ থাকে। ব্যাহত হয়ে পড়ে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিবছর বন্যার সময় গড়ে দু-তিন মাস বন্ধ থাকা হাকালুকিপারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে বড়লেখার হাল্লা, খুটাউরা, গগড়া, শ্রীরামপুর, ইসলামপুর, ভোলারকান্দি, পাটনা, টেকাহালী, মুর্শিদাবাদকুরা, কলারতলী ও পাবজুরীপার বিদ্যালয়। জুড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো শাহেরপুর, নিশ্চিন্তপুর, বেলাগাঁও, পূর্ব বেলাগাঁও, নয়াগ্রাম, নয়াবাজার শিশুকল্যাণ, কালণীগড় ও তালতলা-খাগটেকা বিদ্যালয়। এ ছাড়া হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়, কানসাই হাকালুকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টেকাহালি উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্যার সময় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
No comments