জহুরুল হক স্মারক বক্তৃতায়-ভূমিকম্প এক অনিশ্চিত দুর্যোগ
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু ঢাকা শহরের মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, নাজুক দালানকোঠা ও মাটি ভরাট করে বসতি নির্মাণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের ঝুকি তৈরি করেছে। বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে গত ১৯ নভেম্বর অধ্যাপক জহুরুল হক স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তরা এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী। এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড.মেহেদী আহমেদ আনসারী।
অনুষ্ঠানটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, আমাদের দেশে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল পাঁচটি। এর মধ্যে হালুয়াঘাট, কিশোরগঞ্জ হয়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ঢাকা দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকলেও নরম মাটির ওপর বাড়িঘর তৈরি বেড়ে যাওয়ায় বড় ভূমিকম্পে বহু মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা আছে সেই সঙ্গে সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সম্প্রতি এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হবে। উল্লেখ্য, নরম মাটিতে নির্মাণ হওয়ার কারণে ১৯৯৯ সালে মহেশখালীতে মাত্র ৫ দশমিক ৩ মাত্রার এবং ২০০৩ সালে রাঙামাটিতে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সেমিনারে অধ্যাপক জহুরুল হকের জীবনী নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করা হয়। এই ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে প্রথম একাত্তরের ডায়েরি লিখেছিলেন। স্বাধীনতা, একুশে, বাংলা একাডেমী পদকসহ বরেণ্য এ মানুষটি অনেক পুরস্কার পেলেও তাকে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তিনি বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর হারুন অর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল হক, ড. এআর খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, আমাদের দেশে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল পাঁচটি। এর মধ্যে হালুয়াঘাট, কিশোরগঞ্জ হয়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ঢাকা দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকলেও নরম মাটির ওপর বাড়িঘর তৈরি বেড়ে যাওয়ায় বড় ভূমিকম্পে বহু মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা আছে সেই সঙ্গে সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সম্প্রতি এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হবে। উল্লেখ্য, নরম মাটিতে নির্মাণ হওয়ার কারণে ১৯৯৯ সালে মহেশখালীতে মাত্র ৫ দশমিক ৩ মাত্রার এবং ২০০৩ সালে রাঙামাটিতে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সেমিনারে অধ্যাপক জহুরুল হকের জীবনী নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করা হয়। এই ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে প্রথম একাত্তরের ডায়েরি লিখেছিলেন। স্বাধীনতা, একুশে, বাংলা একাডেমী পদকসহ বরেণ্য এ মানুষটি অনেক পুরস্কার পেলেও তাকে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তিনি বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর হারুন অর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল হক, ড. এআর খান প্রমুখ।
No comments